অতীন্দ্রনাথ বসু
অতীন্দ্রনাথ বসু (জন্ম: ৩ ফেব্রুয়ারি ১৮৭৩ - মৃত্যু: ১০ জুন ১৯৬৫) একজন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনকারী বাঙালি বিপ্লবী।
অতীন্দ্রনাথ বসু | |
---|---|
জন্ম | ৩ ফেব্রুয়ারি ১৮৭৩ |
মৃত্যু | ১০ জুন ১৯৬৫ |
নাগরিকত্ব | ![]() ![]() |
পরিচিতির কারণ | বিপ্লবী নায়ক |
রাজনৈতিক দল | স্বাধীনতার পুর্বে যুগান্তর দল, |
আন্দোলন | ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন |
পরিবারসম্পাদনা
কলকাতার জোড়াবাগানের বসু পরিবারে তার জন্ম হয়। তার পিতার নাম অপূর্বকৃষ্ণ বসু। অতীন্দ্রনাথের পুত্র উত্তর কলকাতার নেতৃস্থানীয় অমর বসু পিতার সকল কাজে যুক্ত ছিলেন।[১] অতীন্দ্রনাথ নিজে একজন কুস্তিগীর ছিলেন। ময়মনসিংহের রাজা জগৎকিশোর আচার্য চৌধুরী ছিলেন তার শিক্ষাগুরু। সিমলা ব্যায়াম সমিতির প্রাঙ্গনে ভারতীয় প্রথায় কুস্তি প্রতিযোগিতার আয়োজন তিনিই প্রথম করেছিলেন।[১]
বিপ্লবী কর্মকাণ্ডসম্পাদনা
অতীন্দ্রনাথ বসু যুগান্তর বিপ্লবী দলের অন্যতম নেতৃস্থানীয় ছিলেন। তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামে কয়েকবার কারাবরণ করেছিলেন। ১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দ থেকে পরবর্তী পাঁচবছর ব্রিটিশবিরোধী বিপ্লবী কেন্দ্র পরিচালনার অপরাধে তাকে নির্বাসনদণ্ড ভোগ করতে হয়। তিনি রবীন্দ্রনাথের পরামর্শে 'মহেশালয়' নামের একটি বিদ্যালয় স্থাপনা করেছিলেন। ১৯০৫ খ্রিষ্টাব্দে তিনি 'ভারত ভান্ডার' নামের একটি সংস্থা তৈরি করেন।[১][২] অতীন্দ্রনাথ যুবকদের দেহে ও মনে শক্তিমান করে তোলার উদ্দেশ্যে ১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দের ২রা এপ্রিল সিমলা ব্যায়াম সমিতি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দে তিনি সার্বজনীন দুর্গা পূজার প্রচলন করেন যাতে দেশের মানুষ বিভেদ ভুলে একত্রে উৎসবে মেতে উঠতে পারে। এই পূজা প্রাঙ্গনে স্বদেশী মেলারও আয়োজন হত। ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দে ইংরেজ সরকার সিমলা ব্যায়াম সমিতিকে শরীরচর্চার আড়ালে বিপ্লবী তৈরির আখড়া সন্দেহ করে এটিকে বেআইনি বলে ঘোষণা করে।[১][২] নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু, দেশপ্রিয় যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত, ডাঃ জে. এম. দাশগুপ্ত প্রভৃতি নেতৃবর্গ সিমলা ব্যায়াম সমিতির কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।[১]