অছুৎ কন্যা

হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্র

অছুৎ কন্যা (ইংরেজি: Achhut Kannya; উর্দু: اچھوت کنیا ‎‎; হিন্দি: अछूत कन्या; বাংলা অনুবাদ: অস্পৃশ্য কন্যা) ১৯৩৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি হিন্দী চলচ্চিত্র। মুম্বাইয়ের চলচ্চিত্র উদ্যোগের প্রারম্ভিক কালের সুপার-হিট এই ছবিটিতে একজন দলিত মেয়ের ব্যর্থ প্রেম এবং আত্মত্যাগের কাহিনী চিত্রিত করা হয়েছে। বিংশ শতকের প্রথমের ভারতীয় সমাজটিতে দেখতে পাওয়া জাতিভেদের প্রাবল্যের প্রমাণ ছবিটিতে পাওয়া যায়।[২]

অছুৎ কন্যা
Poster
পরিচালকFranz Osten
প্রযোজকহিমাংশু রায়
রচয়িতাNiranjan Pal
শ্রেষ্ঠাংশেঅশোক কুমার
দেবিকা রাণী
সুরকারSaraswati Devi
Jamuna Swarup Kashyap (lyrics)
চিত্রগ্রাহকJosef Wirsching
মুক্তি
  • ১৯৩৬ (1936)
স্থিতিকাল135 Minutes 59 Seconds [১]
দেশBritish Raj
ভাষাহিন্দি

বোম্বে টকীজ দ্বারা নির্মিত অনেকগুলি সফল ছবির অন্যতম ছিল অছুৎ কন্যা। ছবির পরিচালক ছিলেন ফ্রেঞ্জ্ ওষ্টেন, সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন সরস্বতী দেবী এবং গানের রচয়িতা ছিলেন জে.এস. কাশ্যপ। মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন অশোক কুমার এবং দেবীকা রাণী।[১]

কাহিনী সম্পাদনা

 
Devika Rani and Ashok Kumar in Achhoot Kanya

গাঁয়ের গেলামাল দোকানী মোহনের পুত্র প্রতাপ (অশোক কুমার) এবং রেলওয়ে লেভেল ক্রসিঙের রক্ষী দুখীয়ার কন্যা কস্তুরী (দেবিকা রাণী) শিশুকালের বন্ধু। বড়ো হয়ে আসার সাথে সাথে একজন আরেকজনের গভীর প্রেমে পড়ে। কিন্তু দুজনের মধ্যে বিবাহ সম্ভব হয় না। কারণ প্রতাপ ছিল ব্রাহ্মণ সন্তান এবং কস্তুরী ছিল একজন অচ্ছুৎ কন্যা অর্থাৎ নিম্নজাতির মেয়ে। সেইসময়ের ভারতীয় সমাজ-ব্যবস্থায় অসবর্ণ বিবাহ প্রায় অসম্ভব ছিল।

প্রতাপ বিয়ে করে মীরা নামের একজন মেয়েকে। অন্যদিকে কস্তুরীর পিতা দুখীয়ার মতো লেভেল ক্রসিঙের রক্ষীর চাকরি করা মনু নামের ইতঃপূর্বে বিবাহিত একজন ছেলের সাথে বিয়ে হয়। যদিও বিয়ের পরে দুজন-দুজনের সাথে মানিয়ে নিতে পারেনি, তথাপি নিজের নিজের সংসারের দায়িত্ব পালন করতে চেষ্টা চালিয়ে গেল। এদিকে মনুর প্রথম পত্নী কাজরী তার স্বামীর জীবনে অন্য একজন মেয়ের প্রবেশকে সহজভাবে নিতে পারেনি। তাই সে প্রতাপের পত্নী মীরার সাথে এক হয়ে কস্তুরীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে থাকে। সেই ষড়যন্ত্রের অংশস্বরূপ তারা দুজনেই একদিন কস্তুরীকে কাছের গাঁয়ে বসা মেলাতে নিয়ে গেল এবং ফেরার পথে একা ছেড়ে দিয়ে এল। সেই মেলায় প্রতাপও একটি দোকান দিয়েছিল। উপায়হীন হয়ে কস্তুরী দোকান করে ঘরের দিকে গরুরগাড়ীতে ফিরে আসা প্রতাপের সাথে একসাথে আসতে বাধ্য হল। কাজরী এবং মীরা গিয়ে মনুকে প্রতাপ ও কস্তুরী একসাথে আছে বলে উস্কানি দিল।

গরুরগাড়ী এসে লেভেল ক্রসিঙের কাছে এলে ক্রোধান্বিত মনু প্রতাপকে আক্রমণ করে। রেলপথের উপরে দুজনের মারা-মারি শুরু হয়। এই কাজিয়াকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিল। এদিকে একটি ট্রেন এসে পড়েছে। আসন্ন দুর্ঘটনা রোধ করতে কস্তুরী রেলপথ দিয়ে দৌড়ে গিয়ে রেলগাড়িটি থামাতে চেষ্টা করে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশতঃ সে রেলে কাটা পড়ে মৃত্যুবরণ করে।[১]

সমাজে অস্পৃশ্য বলে গণ্য করা একজন নির্দোষ মেয়ে নিজের জীবন দিয়ে আসন্ন সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ থেকে গ্রামটিকে রক্ষা করে যায়। তখন গ্রামবাসী সেই সাধারণ মেয়েটির মহত্ব উপলব্ধি করে।

ভূমিকা সম্পাদনা

  • দেবিকা রাণী ... কস্তুরী
  • অশোক কুমার ... প্রতাপ
  • পি.এফ. পিঠাবালা ... মোহন, প্রতাপের পিতা
  • কামতা প্রসাদ ... দুখীয়া, কস্তুরীর পিতা
  • কিশোরী লাল ... বাবুলাল বৈদ্য
  • কুসুম কুমারী
  • প্রমিলা
  • আনবার
  • ইশরাত

তথ্যউৎস সম্পাদনা

  1. "Achhut Kanya"। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০১৫ 
  2. "Achhut Kanya 1936 film"। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০১৫ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা