সামন্ত লাল সেন

বাংলাদেশী চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী

অধ্যাপক ডাঃ সামন্ত লাল সেন (জন্ম ২৪ নভেম্বর ১৯৪৯) একজন বাংলাদেশি বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জন যিনি বর্তমানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ইতিপূর্বে তিনি শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। চিকিৎসাসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি তাকে ২০১৮ সালে সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করে।[১] তিনি বাংলাদেশ প্লাস্টিক সার্জন সোসাইটির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।[২] দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে টানা চতুর্থবারের আওয়ামী লীগ সরকারের টেকনোক্র‍্যাট কোটায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান।[৩]

সামন্ত লাল সেন
মন্ত্রী, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
১১ জানুয়ারি ২০২৪
প্রধানমন্ত্রীশেখ হাসিনা
পূর্বসূরীজাহিদ মালেক
প্রধান সমন্বয়ক
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট
কাজের মেয়াদ
১৯ জুলাই ২০১৯ – ১১ জানুয়ারি ২০২৪
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1949-11-24) ২৪ নভেম্বর ১৯৪৯ (বয়স ৭৪)
হবিগঞ্জ জেলা, পূর্ববঙ্গ
জাতীয়তাবাংলাদেশি
প্রাক্তন শিক্ষার্থীচট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ
পেশাচিকিৎসক
পুরস্কারবাংলা একাডেমি ফেলোশিপ (২০১৮)

প্রারম্ভিক জীবন সম্পাদনা

সামন্ত ১৯৪৯ সালের ২৪ নভেম্বর তৎকালীন পূর্ববঙ্গের সিলেটের হবিগঞ্জের নাগুরা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।[৪] তার পিতার নাম জিতেন্দ্র লাল সেন যিনি সরকারি চাকরি করতেন।[৫] তিনি সেন্ট ফিলিস হাইস্কুল থেকে ১৯৬৪ সালে মাধ্যমিক সম্পন্ন করে সুরেন্দ্রনাথ কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন।[৫] ১৯৭৩ সালে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন।[৬] ১৯৮০ সালে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা থেকে ‘ডিপ্লোমা ইন স্পেশালাইজড সার্জারি’ ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে জার্মানিইংল্যান্ডে সার্জারিতে আরো প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।[৫]

কর্মজীবন সম্পাদনা

সামন্ত এমবিবিএস পাস করার পর ১৯৭৫ সালে হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে তার কর্মজীবন শুরু করেন।[৬] পরে ঢাকায় বদলি হয়ে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যোগ দেন। ১৯৮০ সালে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যোগদান করেন।[৬] ডা. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর নেতৃত্বে ঢাকা মেডিকেলে ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশের প্রথম বার্ন বিভাগ চালু হয়।[৫] সামন্ত এই বিভাগ চালু করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।[৬][৭] পরে ২০০৩ সালে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারির জন্য সতন্ত্র একটি ইউনিট প্রতিষ্ঠা করা হয়।[৬][৮] তিনি এ ইউনিটের প্রতিষ্ঠাকালীন পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে অবসরে যান।[৪] পরে সরকার তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করে।[৪] পরবর্তীতে এই ইউনিটটিকে একটি স্বতন্ত্র ইন্সটিটিউটে রুপান্তর করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট নামে ২০১৯ সালের ৪ জুলাই এখান থেকে চিকিৎসা সেবা প্রদান শুরু হয়। শুরু থেকেই সামন্ত এর প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব পান।

ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা

সামন্ত ব্যক্তিগত জীবনে রত্না সেনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এই দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।[৫]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ ও পুরস্কার পেলেন ১১ বিশিষ্টজন"চ্যানেল আই। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ 
  2. "Dr. Samanta Lal Sen"12th Asia Pacific Burn Congress (ইংরেজি ভাষায়)। ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ 
  3. Pratidin, Bangladesh (২০২৪-০১-১০)। "টেকনোক্র্যাট কোটায় মন্ত্রী হচ্ছেন ইয়াফেস ওসমান ও ডা. সামন্ত লাল সেন"বাংলাদেশ প্রতিদিন। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০১-১১ 
  4. "চিকিৎসাসেবায় নিবেদিতপ্রাণ ডা. সামন্ত লাল সেন"জাগো নিউজ। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ 
  5. "নিজেকে-উত্তম-কুমার-মনে-হতো--ডা.-সামন্ত-লাল-সেন"এনটিভি। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ 
  6. "পোড়া রোগীদের যন্ত্রণা"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ 
  7. "In Conversation With Dr. Samanta Lal Sen"Daily Sun (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ 
  8. "'ভগবান, দুটো বছর বাঁচিয়ে রাখো, যেন হাসপাতালটা বানিয়ে মরতে পারি'"বাংলা ট্রিবিউন। ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০