রতন কাহার একজন ভারতীয় বাঙালি ঝুমুর ও ভাদু গানের প্রবীণ লোকসঙ্গীত শিল্পী ও গীতিকার। ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি পদ্মশ্রী পুরস্কারে সম্মানিত হন।[২] তাঁর রচিত বড় লোকের বিটি লো, লম্বা লম্বা চুল লোকগানটির জন্য তিনি বিখ্যাত।

রতন কাহার
জন্ম১৯৩৫
পেশাঝুমুর, ভাদু গায়ক কবি, সুরকার লোকশিল্পী
কর্মজীবন১৯৬৪ - বর্তমান
দাম্পত্য সঙ্গীশান্তি কাহার (স্ত্রী)
সন্তাননাড়ুগোপাল কাহারসহ তিন পুত্র ও এক কন্যা শ্রাবণী [১]
পুরস্কারপদ্মশ্রী(২০২৪)

জীবনী সম্পাদনা

রতন কাহারের জন্ম ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ ভারতের অধুনা পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার কেন্দুলিতে এক দরিদ্র দিনমজুরের পরিবারে। পিতা অশোক কাহার ছিলেন দিনমজুর এবং পিতামহ রাখহরি কাহারও দিনমজুর ছিলেন পরে অন্ধ হওয়ার কারণে ভিক্ষা করে বেড়াতেন। রতন কাহার পড়াশোনা তেমন করতে পারেন নি, চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত পড়েছেন। তারপর অভাবের জন্য চলে আসেন তার মামার বাড়ি সিউড়িতে। [৩] দরিদ্র শ্রমজীবি পরিবারে জন্ম রতন কাহার শৈশব থেকেই আর্থিক সংকটে বড় হয়েছেন। পল্লী বাংলার ভাদু উৎসবে গান রচনা ও গাওয়ায় পারদর্শী হয়ে ওঠেন। ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দের তার রচিত বিখ্যাত বড় লোকের বিটি লো গানটি স্বপ্না চক্রবর্তীর কণ্ঠে জনপ্রিয়তা পায়। এই গানটির মূল লাইন লাল গেন্দা ফুল জনপ্রিয় র‍্যাপ শিল্পী বাদশা তার "গেন্দা ফুল"-এ ২০২০ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হলে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। সেই বিতর্কের কারণে রতন কাহারের সঙ্গীতসৃষ্টি, কৃতিত্ব, গান, শিল্পীসত্ত্বার পরিচয় সর্বসমক্ষে আসে। বাদশা তাকে পাঁচ লক্ষ টাকা দিয়ে বিরোধ মিটিয়ে নেন।[৪] সিউড়ির ভট্টাচার্য পাড়ার বাসিন্দা প্রবীণ লোকসঙ্গীত শিল্পী রতন কাহার একসময় 'আলকাপ'-এর দলে যোগ দিয়েছিলেন। যাত্রাদলে 'ছুকরি' সাজতেন। তার জীবন কষ্টে কাটলেও, তিনি গান ভালবাসেন। পাহাড়ী সান্যাল তাকে আকাশবাণীতে নিয়ে আসেন।[৫] পরে তিনি দূরদর্শনেও কাজ করেছেন। এ পর্যন্ত তিনি প্রায় দু-হাজার গান রচনা করেছেন।[১] তার অন্যান্য গানগুলি হল -

  • দিদি জানো কি গো জান না
  • পালা রে পালা রে রাবণ
  • ⁠ঠেলে দে মালের গাড়ি চাপাব বস্তা
  • ⁠অঘ্রানেতে নবান খেতে আমার বন্ধু কেন এল না

সম্মাননা সম্পাদনা

২০২৪ খ্রিস্টাব্দে ভারত সরকার দেশের সর্বোচ্চ চতুর্থ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মশ্রীতে সম্মানিত করে।[২]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা