মিয়ানমারের জনপরিসংখ্যান

মায়ানমারের দুই-তৃতীয়াংশ লোক বর্মী জাতির লোক। এরা তিব্বতি ও চীনাদের সমগোত্রীয়। এছাড়াও দেশটিতে অনেকগুলি সংখ্যালঘু জাতি আছে, যাদের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি আছে। এদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল কারেন ও শান জাতি। দুইটি জাতিই জনসংখ্যার ১০%-এরও কম। এছাড়াও আরাকানি, মন, চিন, কাচিন, ইত্যাদি ছোট ছোট সম্প্রদায় আছে। কারেন জাতির লোকেরা মূলত থাইল্যান্ডের সাথে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ও ব-দ্বীপ অঞ্চলে গ্রামে বাস করে। শান জাতির লোকেরা বিস্তীর্ণ শান মালভূমিতে বাস করে। মন জাতির লোকেরা তেনাসসেরিম উপকূলে এবং আরাকানি জাতির লোকেরা বাংলাদেশের কাছে আরাকান উপকূলে বাস করে। চিন জাতির লোকেরা ভারতের সাথে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে শানদের সাথে একত্রে বাস করে। কাচিন জাতির লোকেরা উত্তরে চীন সীমান্তের কাছে বাস করে। ব্রিটিশ আমলে (১৮২৬-১৯৪৮) মায়ানমারের শহর অঞ্চলে বেশ বড় সংখ্যক চীনা ও ভারতীয় লোক বাস করত। তবে অনেক চীনাই বর্মীদের সাথে আন্তঃবিবাহ করে মিশে গেছে। আর বেশির ভাগ ভারতীয়ই মায়ানমার ছেড়ে চলে গেছে। তবে অনেক টভারতীয় মুসলিম আরাকান উপকূলে তাদের ঐতিহ্যবাহী মাতৃভূমিতে এখনও বাস করে।

১৯৬১-২০০৩ জনসংখ্যা বৃদ্ধির গ্রাফ

মায়ানমারের বেশির ভাগ সংখ্যালঘু জাতিই সীমান্তবর্তী এলাকায় বাস করে এবং ব্রিটিশ আমলে এদেরকে আলাদাভাবে শাসন করা হত। বার্মার স্বাধীনতার পর এরা অসহিষ্ণু হয়ে ওঠে। ১৯৪৮ সাল থেকে কারেন জাতির লোকেরা সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু করে এবং ১৯৫০-এর দশকে কাচিন জাতির লোকেরাও এদের সাথে যোগ দেয়। শানদের বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনও মাঝে মাঝে বিদ্রোহী হয়ে উঠেছে।