[১]

অর্থনীতি বর্ণমালা ও লিখন পদ্ধতিতে অবদান আলোচনা করা হলো :

ভুমিকা :

গ্রিক শব্দ 'Phoenix' থেকে ফিনিশীয় নামের উদ্ভব। এর অর্থ হলো purple বা বেগুনী রং। দ্বিতীয় সহস্রাব্দের মধ্যে ভাগে বস্ত্র রং করার জন্য ভূমধ্যসাগর থেকে খোলস যুক্ত মাছের শরীর থেকে রং সংগ্রহ করত। আর এই রং সংগ্রহ করার সাথে ফিনিশীয়রা যুক্ত ছিল বলে গ্রিকরা তাদেরকে বেগুনি রঙের মানুষ বলতো। খ্রিস্টপূর্ব অষ্টম শতকের গ্রীক অন্ধ কবি হোমারের লেখায় প্রথম ফিনিশীয় শব্দটির ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।

ফিনিশিওদের উৎপত্তি :

ফিনিশীয়দের উৎপত্তি সম্পর্কে ধারণা করা হয় যে, খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ অব্দে উত্তর মেসোপটেমিয়ার গোষ্ঠীভুক্ত একদল যাযাবর লেবানন পর্বতমালা ও ভূমধ্যসাগরের বসতি গড়ে তুলেন। পর্যায়ক্রমে তারা সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল ও মরুভূমির পশ্চিমাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। ফিনিশীয়রা পৃথিবীর মধ্যে একটি শক্তিশালী বাণিজ্যিক সভ্যতা করে তোলে। দীর্ঘ দিন যাবত ফিনিশীয়দের সাথে মিশরীয়দের একটা বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে এক সময় হিট্রাইট দের পতন, মিশরের কেন্দ্রীয় সরকারের দুর্বলতা এবং ব্যাবিলনীয় শাসকদের দুর্বলতা সুযোগে ফিনিশিয়রা শক্তিশালী হয়ে ওঠে তারা সমৃদ্ধ রাজনৈতিক কাঠামো ও সাম্রাজ্য গড়ে তোলার চেয়ে ব্যবসায়িক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করতে অধিক আগ্রহী ছিল।

অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অবদান :

১. কৃষি ও পশু পালন :

জীবনধারণের ক্ষেত্রে কৃষি ও পশুপালনে ফিনিশীয়রা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল। তারা পাহাড় ও সমতল এলাকার উপত্যকায় বিভিন্ন ধরনের শস্য দানা যেমন আঙ্গুর, জলপাই ও খেজুর ইত্যাদির চাষ করত। এগুলো চাষের ক্ষেত্রে তাদের কৃত্রিম জল সেচের ব্যবস্থা ছিল। তাছাড়া পশু পালনের বিভিন্ন ধরনের গবাদি পশু উল্লেখ পাওয়া যায়। জল ও স্থলপথে ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষেত্রে যথেষ্ট অবদান রেখেছিল। তারা জিব্রাল্টার প্রণালী ও আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে আফ্রিকায় পাড়ি জমিয়েছিল। এ সময় বিভিন্ন দেশে বাণিজ্যিক পণ্যের চাহিদা অনুযায়ী মূল্য নির্ধারণ করত। ফিনিশীয়রা রাতে সমুদ্র পাড়ি দেওয়ার ক্ষেত্রে ধ্রুবতারা লক্ষ্য করে যাতায়াত করত। স্পেন থেকে স্বর্ণ রৌপ্য ওপিন সংগ্রহ করে বিভিন্ন জায়গাতে বিক্রি করতো। তাছাড়া আফ্রিকা থেকে হাতির দাঁত, উট পাখির পালক এবং আরব দেশ থেকে বিভিন্ন প্রকারের সুগন্ধি দ্রব্য ও মসলা আমদানি করতো।

লিখন পদ্ধতি :

সভ্যতার ইতিহাসে ফিনিশীয়দের সবচেয়ে বড় অবদান ছিল লিখন পদ্ধতিতে তার ব্যবহারে সম্ভবত খ্রিস্টপূর্ব ১৮০০ থেকে ১৫০০ অব্দের মধ্যে মিশরীয়র দের সাথে প্রভাবিত হয়েছিল এবং এ ধরনের শিখন পদ্ধতির আবিষ্কার করেছিল যদিও ফিনিসিয়াদের ভাষার উৎপত্তি সম্পর্কে বিভিন্ন প্রকার মতবাদ রয়েছে ফরাসী পণ্ডিত ধুনা ১৯২৯ থেকে ৩০ সালে নতুন একটি লিখন পদ্ধতি আবিষ্কার করে। এক্ষেত্রে ধুনা মনে করে যে, এই লিপির হরফগুলোই পরবর্তীতে সহজ সরল করে ফিনিশীয়রা তাদের ভাষার উপযোগী করে তুলেন। তিনি আরো বলেন দুটি লিপি আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ২০০০ থেকে ১৭০০ অব্দের মধ্যে লেখা এবং বর্ণমালার সৃষ্টির ক্ষেত্রে সম্ভবত এটাই ছিল প্রথম প্রয়াস। ডঃ গ্রাডিনারের মতে কেনানাইট লিপি থেকে ফিনিশিয় লিপির উৎপত্তি। রজারস ও অ্যাডামসের মতে হিব্রু ভাষার কিছু কিছু শব্দের সাথে ফিনিশিয় ভাষা শব্দের মিল থাকলেও দুটি ভাষা পৃথকভাবে বিকাশ লাভ করেছিল।

বর্ণমালা :


বাশার খান

  1. "আবুল বাশার" ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ