বাদী গীত হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাঢ় অঞ্চলের কৃষিজীবী মানুষদের দীর্ঘকাল ধরে প্রচলিত একপ্রকার দলবদ্ধ গান বা গানের লড়াই। বাদী গীতে নারী-পুরুষের দেহপ্রসঙ্গ নিয়ে কৃষির অনুষঙ্গে জমির উর্বরাশক্তি বৃদ্ধির অনুরূপ জাদুবিশ্বাস পাওয়া যায়। পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর প্রভৃতি অঞ্চলে প্রচলিত ছিল।[১]

পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গীত
বীরভূমে বাউল গানের একটি অনুষ্ঠান
ধারা
নির্দিষ্ট ফর্ম
ধর্মীয় সঙ্গীত
জাতিগত সঙ্গীত
ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীত
গণমাধ্যম ও অনুষ্ঠান
সঙ্গীত মাধ্যমবেতার

টেলিভিশন

ইন্টারনেট

অঞ্চলিক সঙ্গীত
সম্পর্কিত এলাকা
অন্যান্য অঞ্চল

বৈশিষ্ট্য সম্পাদনা

রাঢ় অঞ্চলের কৃষকরা জমিতে ধান রুইবার সময় কৃষিকাজের সাথে নারী ও পুরুষের দেহ ও যৌন প্রসঙ্গের অবতারণা ঘটিয়ে এই গান বাঁধতেন; দুইপক্ষ গানের সহযোগে বাদ-বিবাদ করতেন। এর পিছনে কৃষির সাথে আদিম উর্বরাশক্তির বিশ্বাসের যোগসূত্র মেলে— বাদী গীতের মাধ্যমে 'মানবজমি' ও 'ধানজমি' উভয়েরই আবাদ করে গৃহস্থ কৃষক মহার্ঘ ফসল ফলাতে চায়।

জমিতে বাদীর লড়াই যত বেশি হবে, ফসল তত ভালো হবে— এটিই ছিল তাদের বিশ্বাস। এই গানে প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষেরাই কেবল অংশ নিতেন, মহিলা ও ছোটদের এতে প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। বর্তমানে পরিবেশ ও কৃষিশিক্ষার বিস্তার ঘটায় এই গানেরও প্রচলন উঠে গেছে।[১]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. চক্রবর্তী, ড. বরুণকুমার সম্পাদিত (১৯৯৫)। বঙ্গীয় লোকসংস্কৃতিকোষ। কলকাতা: অপর্ণা বুক ডিস্ট্রিবিউটার্স। পৃষ্ঠা ২৬৩–২৬৪। আইএসবিএন 81-86036-13-X