বহুলাড়া

পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার ওন্দা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের একটি গ্রাম

বহুলাড়া পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার ওন্দা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি সেন্সাস গ্রাম। এটি ওন্দা থেকে ৫ কিলোমিটার (৩.১ মাইল) এবং বিষ্ণুপুর থেকে ২৫ কিলোমিটার (১৬ মাইল) দূরে অবস্থিত।[১]

বহুলাড়া
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিহিন্দুধর্ম
অবস্থান
অবস্থানবহুলাড়া, বাঁকুড়া
স্থাপত্য
ধরনইষ্টকনির্মিত রেখ দেউল

সিদ্ধেশ্বর মন্দির সম্পাদনা

বহুলাড়ার সিদ্ধেশ্বর শিবের মন্দির একটি স্বতন্ত্র্য স্থাপত্যশৈলী এবং মন্দিরগাত্রের অপূর্ব অলংকরণের জন্য প্রসিদ্ধ।[২] মন্দিরটি গ্রাম্য শিবমন্দির হলেও এটি পাল যুগের রেখ দেউল শৈলীর একটি বিশিষ্ট নিদর্শন। মন্দিরের অভ্যন্তরে শিবলিঙ্গের পাশাপাশি গণেশ, জৈন তীর্থঙ্কর পার্শ্বনাথ এবং মহিষাসুরমর্দিনীর মূর্তি বিরাজমান। মন্দিরের বহির্গাত্রের অলংকরণ অতীব সুন্দর। এই মন্দির চত্বর একাধিক প্রাচীন ধ্বংসস্তুপ ও ঢিবিতে পরিপূর্ণ। [৩] মন্দিরের উচ্চতা ১৯.২ মিটার |

নলিনী ভট্টশালীর মতে, দ্বারকেশ্বর নদের তীরে অবস্থিত "বাঁকুড়া জেলার বহুলাড়ার সিদ্ধেশ্বর মন্দির সম্ভবত মধ্যযুগীয় বাংলার ইষ্টকনির্মিত 'রেখ দেউল' মন্দিরশৈলীর শ্রেষ্ঠ নিদর্শন।" মন্দিরে শীর্ষভাগ বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্ত। প্রতি বছর চৈত্র মাসে এখানে তিন দিন ধরে বহুলাড়া শিব গাজন উৎসব চলে। শতাধিক পূণ্যার্থী এই উৎসবে অংশ নেন।[৪]

বৌদ্ধ ও জৈন কেন্দ্র সম্পাদনা

বহুলাড়া মন্দিরের আশেপাশে একাধিক ঢিবিতে পুরাতাত্ত্বিক খননকার্য চালিয়ে অনুমান করা হয় যে কোনো এক কালে এটি একটি বৌদ্ধ কেন্দ্র ছিল। এই ঢিবিগুলিকে বৌদ্ধ চৈত্য মনে করা হয়। এখানে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের দেহাবশেষ সমাধিস্থ করা হত। শৈবধর্মের বিকাশের পূর্বে এই অঞ্চলটিতে বৌদ্ধজৈনধর্মের প্রভাব ছিল। খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতাব্দী নাগাদ এখানে জৈনধর্ম বিকাশলাভ করে।[৫]

নিকটবর্তী অন্যান্য স্থান সম্পাদনা

বিষ্ণুপুর, সোনাতাপাল, বীরসিংহপুর, শ্যামচাঁদ মন্দির, কনকলতা মন্দির, ধারাপাট, অযোধ্যা প্রভৃতি ।

পাদটীকা সম্পাদনা

  1. "Bahulara"। India9.com। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৩-১৭ 
  2. "Incredible India"West Bengal। India tourism। ২০০৮-০৩-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৩-১৭ 
  3. "Bahulara"West Bengal। blessingsonthenet.com। ২০০৭-১১-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৩-১৭ 
  4. "Temples of West Bengal"Siddheswari temple। Hindu Links Universe। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৩-১৭ 
  5. Ghosh, Binoy, Paschim Banger Sanskriti, (in Bengali), part I, 1976 edition, p. 363, Prakash Bhaban