প্রফুল্লকুমার সেন

ভারতীয় বাঙালি ভাস্কুলার এবং কার্ডিওথোরাসিক সার্জন

অধ্যাপক ডা.প্রফুল্লকুমার সেন এমএস (৭ ডিসেম্বর ১৯১৫ - ২২ জুলাই ১৯৮২) (ডক্টর পি কে সেন নামে পরিচিত) ছিলেন একজন ভারতীয় বাঙালি ভাস্কুলার এবং কার্ডিওথোরাসিক সার্জন। তিনি ১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দের ভারতে প্রথম মানব হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়ার নেতৃত্ব দেন এবং কার্ডিওথোরাসিক সার্জন হিসাবে বিশ্বের চতুর্থ সার্জনের স্থান লাভ করেন। তার এই পদ্ধতির চিকিৎসা প্রচেষ্টা বিশ্বে ষষ্ঠ স্থানে ছিল। মূলত, তিনিই ছিলেন ভারতে কার্ডিওথোরাসিক সার্জারির প্রতিষ্ঠাতা। [১]

প্রফুল্লকুমার সেন
জন্ম(১৯১৫-১২-০৭)৭ ডিসেম্বর ১৯১৫
মৃত্যু২২ জুলাই ১৯৮২(1982-07-22) (বয়স ৬৬)
মৃত্যুর কারণহৃদরোগ
জাতীয়তাভারতীয়
শিক্ষামুম্বই বিশ্ববিদ্যালয়
পেশাকার্ডিওথোরাসিক সার্জন
পরিচিতির কারণভারতে প্রথম মানব হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন (১৯৬৮)
আত্মীয়মেরি বার্নস
মেডিকেল কর্মজীবন
প্রতিষ্ঠানকিং এডওয়ার্ড মেমোরিয়াল হাসপাতাল
শেঠ গোরধনদাস সুন্দরদাস মেডিকেল কলেজ
বিশেষজ্ঞতাট্রান্সপ্লান্ট সার্জারি
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার পদ্মভূষণ (১৯৬৯)

১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দের ভারত সরকার চিকিৎসাক্ষেত্রে তার অসামান্য অবদানের জন্য দেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মভূষণে সম্মানিত করে। [২]

তিনি স্নাতকোত্তর স্তরের পড়াশোনার সময় থেকেই তিনি অস্ত্রোপচার প্রশিক্ষণে সক্রিয় অংশ নিতেন এবং ১৯৫০-এর দশকে ভারতে মহাধমনী অস্ত্রোপচারের প্রথম সার্জনদের একজন ছিলেন তিনি। ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে ভারতে প্রথম রিউম্যাটিক মাইট্রাল ভালভোটমি করার এক বছরের মধ্যে তিনি মহাধমনীর একটি কোরকটেশন মেরামত করেন।

ডাঃ প্রফুল্লকুমার সেন একজন কবি এবং চিত্রশিল্পীও ছিলেন। তাঁর আঁকা ছবি একবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এবং দুবার ভারতে প্রদর্শিত হয়েছিল।

জন্ম ও প্রারম্ভিক জীবন সম্পাদনা

প্রফুল্লকুমার সেনের জন্ম ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দের ৭ ডিসেম্বর ব্রিটিশ ভারতের কলকাতায়[৩] [৪] তার পিতা ছিলেন একজন সরকারী কর্মচারী এবং তার এক ভগিনী ছিল। [৫]

প্রফুল্লকুমারের বিদ্যালয়ের পড়াশোনা অধুনা ঝাড়খণ্ডের জামতাড়ার এক পাবলিক স্কুলে। এরপর তিনি নাগপুরের ভিক্টোরিয়া কলেজ অফ সায়েন্সে হতে বিজ্ঞানে স্নাতক হন। পরবর্তীতে ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি চিকিৎসাশাস্ত্র নিয়ে পড়ার জন্য মুম্বাইয়ের জি এস মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন এবং ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে এমবিবিএস পাশ করেন। ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে শল্য চিকিৎসায় মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স অফ সার্জারি (এমএস) ডিগ্রি অর্জন করেন। [৪]

কলেজে ছাত্রজীবনে প্রফুল্লকুমার ভারতের মহর্ষি চরক এবং পাশ্চাত্যের অগ্রণী চিকিৎসক ডাঃ জন হান্টার এবং ডাঃ অ্যালেক্সিস কারেল দ্বারা বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। [১]

প্রফুল্লকুমার সেন ইন্টার্নশিপ এবং অস্ত্রোপচারের প্রশিক্ষণ ১৯৩৮ এবং ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে মুম্বাইয়ের কিং এডওয়ার্ড মেমোরিয়াল হাসপাতালে অত্যন্ত আগ্রহের সঙ্গে নিষ্পন্ন করেন। পরে তিনি সহকারী অনারারি সার্জন হিসাবে জিএস মেডিকেল কলেজে কাজ করেন। [৫]

১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে রকফেলার ফাউন্ডেশনের ট্রাভেল ফেলোশিপ লাভ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যান। সেখানকার পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের থোরাসিক সার্জন জেমস হার্ডি-র সঙ্গে ছয় মাস কাজ করেন। তাদের ইমপ্যাক্ট অফ সার্জারি অন অ্যাড্রেনোকোর্টিক্যাল অ্যাক্টিভিটি শীর্ষক গবেষণাপত্র ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে বোস্টনের আমেরিকান কলেজ অফ সার্জনস্ -এ উপস্থাপিত হয়। এরপর ডাঃ প্রফুল্লকুমার সেন সমগ্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অস্ত্রোপচার গবেষণা কেন্দ্র ঘুরে দেখেন। লন্ডন, সুইডেন এবং রাশিয়াতেও প্রশিক্ষণ নেন। [১]

কর্মজীবন সম্পাদনা

১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে ডাঃ প্রফুল্লকুমার সেন ভারতে ফিরে আসেন এবং কিং এডওয়ার্ড মেমোরিয়াল হাসপাতালে অনারারি সার্জন পদে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে জিএস মেডিক্যাল কলেজে তার সার্জারির অধ্যাপক পদে পদোন্নতি হয় এবং ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে অবসর গ্রহণের আগে পর্যন্ত তিনি সেখানে ছিলেন। [৫]

অবসরের পর ১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দ থেকে ডা. প্রফুল্লকুমার সেন ক্যালকাটা মেডিকেল রিসার্চ ইনস্টিটিউটে একজন পরামর্শক কার্ডিওভাসকুলার এবং থোরাসিক সার্জন হিসাবে আমৃত্যু যুক্ত ছিলেন। [৪]

অবদান সম্পাদনা

ডাঃ প্রফুল্লকুমার সেন তার কর্মজীবনে সম্পূর্ণ পরিসরের কার্ডিয়াক সার্জারি সম্পন্ন করেন এবং মূলত তিনিই ভারতে কার্ডিওথোরাসিক সার্জারির সূত্রপাত করেন।

  • ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে তিনি মহাধমনীর প্রথম অস্ত্রোপচার এবং ওপেন হার্ট সার্জারি করেন।
  • আমেরিকার পদ্ধতি অনুসরণ করে এবং পঁচিশটি কুকুরের উপর পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তিনি ইন্ট্রাকার্ডিয়াক পদ্ধতি সফলভাবে সম্পন্ন করেন। ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে রিউম্যাটিক মিট্রাল ভালবের (ক্লোজড মাইট্রাল ভালভোটমি) মাধ্যমে তার আঙুল পুশ করে ভারতে মিট্রাল ভালভোটমি বন্ধ করা হয়।
  • ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে অ্যাওর্টিক ভালভ মেরামত বা মহাধমনী ভালভ পুনর্গঠন তথা সংস্কার করা হয়।
  • ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে অ্যাট্রিয়াল সেপ্টাল ত্রুটি বন্ধ করা
  • পশুদের উপর পরিচালিত বহু বছরের নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ডাঃ সেন ও তার সহযোগী  চিকিৎসকের দল ১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দের ১৭ ফেব্রুয়ারি ভারতে প্রথম এবং বিশ্ব ষষ্ঠ মানব হৃদপিণ্ড সফলভাবে প্রতিস্থাপন করেন।[৬]
  • পরে ১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দের ১৩ সেপ্টেম্বর তিনি দ্বিতীয় মানব হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন করেন।

দীর্ঘ পঁচিশ বৎসর পর আইনি বাধা দূর হলে ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দে ডা পানাঙ্গিপল্লী ভেনুগোপাল দিল্লির এআইআইএমএস-এ সফল হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন করেন।

এছাড়াও, ডা প্রফুল্লকুমার সেন ট্রান্সমায়োকার্ডিয়াল আকুপাংচার পদ্ধতিতে ইস্কেমিক মায়োকার্ডিয়াম এবং পরবর্তীকালে ট্রান্সমায়োকার্ডিয়াল লেজার রিভাসকুলারাইজেশনের পরীক্ষামূলক কাজে বিশেষ অবদান রাখেন।

ভারতে প্রথম মানব হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন [৬]-

বছর সাতাশের এক মারাঠি কৃষক যুবক ছয় মাস ধরে ত্রুটিপূর্ণ হৃদযন্ত্রের অসুখে মুম্বাইয়ের কিং এডওয়ার্ড মেমোরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ক্রনিক কার্ডিওমায়োপ্যথিতে ভুগছিলেন তিনি। ডাঃ প্রফুল্লকুমার সেন জানিয়েছিলেন হার্ট ট্রান্সপ্ল্যান্ট জরুরি এবং সে সম্পর্কে তাকে সচেতন করাও হয়েছিল। ১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারিতে তাকে হাসপাতালের সার্জিক্যাল বিভাগে ভর্তি করা হয়। সংযোগবশত ১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দের ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০ বৎসর বয়সী এক মহিলা ট্রেন দুর্ঘটনায় মাথায় গুরুতর আঘাত নিয়ে ইমার্জেন্সিতে ভর্তি হয়, যাকে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচান সম্ভব নয়। তার রক্তের গ্রুপ (ও+) কৃষক যুবক রোগীর সঙ্গে আশ্চর্যজনক ভাবে মিলে যায় এবং তাকেই দাতা হিসাবে বেছে নেওয়া হয়।

ডাঃ সেন ও তার সহযোগী চিকিৎসকেরা, দাতা প্রধান অপারেশনের থিয়েটারের পাশে ডোনার রুমে শুয়ে থাকলেন এবং সেখানে রোগীকে অস্ত্রোপচারের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছিল। মহিলা দাতার হার্ট এক্সাইজ করতে চার মিনিট সময় লাগে এবং সেটি পুরুষ কৃষককে ট্রান্সপ্লান্ট করতে সময় লাগে ১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দের ১৭ ফেব্রুয়ারির দুই ঘন্টা। ট্রান্সপ্লান্টের পর কৃষকের হৃদয় স্বাভাবিক ছন্দ শুরু করে। তবে সে স্পন্দন বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। অস্ত্রোপচারের তিন ঘন্টার মধ্যে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে কৃষকের মৃত্যু হয়। কিন্তু সেই মারাঠি কৃষকের প্রতিস্থাপিত হার্টবিট বদলে দেয় ভারতের কার্ডিয়াক সার্জারি। এটি ছিল ভারতের প্রথম মানব হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন এবং বিশ্বের একমাত্র ষষ্ঠ প্রচেষ্টা। প্রসঙ্গত, বিশ্বের প্রথম মানব হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিশ্চিয়ান বার্নার্ড এই অস্ত্রোপচারের মাত্র তিন মাস আগে ১৯৬৭ খ্রিস্টাব্দের ৩ ডিসেম্বর। সেই সময়ে ডাঃ প্রফুল্লকুমার সেন বর্ণসঙ্কর জাতীয় কুকুরের উপর ট্রান্সপ্লান্ট নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছিলেন এবং লক্ষ্য করেছেন, দীর্ঘমেয়াদী বেঁচে থাকার হার খুব একটা উৎসাহব্যঞ্জক ছিল না। ডাঃ সেন এই অস্ত্রোপচারের চেষ্টা করার জন্য বিশ্বের চতুর্থ কার্ডিওথোরাসিক সার্জন হিসাবে পরিগণিত হলেন। অন্য তিনজন হলেন ডক্টর ক্রিশ্চিয়ান বার্নার্ড, ডক্টর নরম্যান শুমওয়ে এবং ডক্টর অ্যাড্রিয়ান ক্যানট্রোভিটজথে। মারাঠি কৃষক যুবকের হার্ট ট্রান্সপ্লান্টের মাত্র তিন ঘন্টা পরে তার মৃত্যু ডাঃ সেনকে আশাহত করেনি। সেই বছরেই কয়েক মাস পর ১৩ সেপ্টেম্বর তিনি সড়ক দুর্ঘটনার শিকার একজন তরুণ রোগীর হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন করেন। সে অস্ত্রোপচার সফল হলেও রোগী কিন্তু বেশিদিন বাঁচেননি। তার প্রক্রিয়াটির ১৪ ঘন্টা পরে তার হার্ট স্তব্ধ হয়ে যায়। ডাঃ সেনের দ্বিতীয় অস্ত্রোপচারের পর দীর্ঘ ছাব্বিশ বৎসর আর কোন মানুষের হৃপিণ্ড প্রতিস্থাপনের চেষ্টা আর হয়নি। প্রধান কারণ ছিল ভারতে মস্তিষ্কের মৃত্যু এবং অঙ্গ দান সংক্রান্ত যথাযথ আইন ছিল না। ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দে, মানব অঙ্গ প্রতিস্থাপন আইন বা ট্রান্সপ্লান্টেশন অফ হিউম্যান অর্গানস্ (THO) অ্যাক্ট ভারতীয় পার্লামেন্ট পাশ হলে ব্রেন-স্টেম ডেথ বৈধ হয় এবং ক্যাডেভারিক অঙ্গ পুনরুদ্ধার এবং প্রতিস্থাপনের পদ্ধতি সুগম হয়। ফলত, সেই বছরেই, ডাঃ পানাঙ্গিপল্লী ভেনুগোপাল দিল্লির এআইআইএমএস তথা অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস ভারতে প্রথম সফল হার্ট ট্রান্সপ্ল্যান্টের নেতৃত্ব দেন। তবে ১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দের ১৭ ফেব্রুয়ারির ডাঃ সেনের প্রচেষ্টা সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছিল। ভারতে কার্ডিওথোরাসিক সার্জারির তিনিই ছিলেন পথিকৃৎ।

সম্মাননা ও পুরস্কার সম্পাদনা

  • ডা প্রফুল্লকুমার সেনের মেধাবী কাজের জন্য রাশিয়া বিশিনস্কি পদক প্রদান করে। [১]
  • ১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দে ভারত সরকার চিকিৎসাক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য দেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মভূষণ প্রদান করে। [২]

ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা

১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে ফিলাডেফিয়ায় প্রশিক্ষণ নেওয়ার সময় ডা সেনের সঙ্গে ম্যারি বার্নস নামে আমেরিকার এক ফিজিওলজিস্টের সাক্ষাৎ ও আলাপ হয়। ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে তাদের বিবাহ হয়, কিন্ত তাদের কোন সন্তান ছিল না। [৫]

ডাঃ সেনের ছবি আঁকায় আগ্রহ ছিল। কবিতা লিখতেন। তাঁর আঁকা ছবি এক সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এবং দুবার ভারতে প্রদর্শিত হয়। [৫]

মৃত্যু এবং উত্তরাধিকার সম্পাদনা

ডাঃ প্রফুল্লকুমার সেন ১৯৮২ খ্রিস্টাব্দের ২২ জুলাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কলকাতায় পরলোক গমন করেন। [৫]

মুম্বাইয়ের কিং এডওয়ার্ড মেমোরিয়াল হাসপাতালে কার্ডিওথোরাসিক সার্জারি বিভাগ যেটি ডাঃ সেন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, সেটি তার নামে নামাঙ্কিত করা হয়। [৭] ডা সেন অ্যাসোসিয়েশন অফ সার্জনস অফ ইন্ডিয়ার সভাপতি ছিলেন। ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অফ কার্ডিওভাসকুলার-থোরাসিক সার্জনস ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দে তাঁর সম্মানে "ডক্টর পি কে সেন স্মারক বক্তৃতা" আয়োজন করে । [৭]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "History Today in Medicine - Prof. Dr. Prafulla Kumar Sen CME INDIA"। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১১-০৬ 
  2. "Padma Awards - Interactive Dashboard"। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-০৫ 
  3. Hosain, N। "Dr. P K Sen- the Bengali Surgeon of the Century"The History of Cardiology 
  4. "Professor Prafulla Kumar Sen 1915~1982"। Indian Journal of Thoracic and Cardiovascular Surgery (ইংরেজি ভাষায়)। 1 (1): 92–94। ১ অক্টোবর ১৯৮২। আইএসএসএন 0970-9134ডিওআই:10.1007/BF02664159 (সদস্যতা প্রয়োজনীয়)
  5. Mittal, Chander Mohan (২০০২)। "Profulla Kumar Sen"Texas Heart Institute Journal29 (1): 17–25। আইএসএসএন 0730-2347পিএমআইডি 11995843পিএমসি 101263  
  6. "Remembering Dr. Prafulla K Sen, who performed India's first human heart transplant"। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১১-০৬ 
  7. "Dr. P. K. Sen Memorial Oration – The Association of Surgeons of India"asiindia.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০১৮