ক্রয়ডন মসজিদ ও ইসলামি কেন্দ্র হল লন্ডনের ক্রয়ডনে অবস্থিত একটি মসজিদ ও সংগঠন। ব্রিটেনের মুসলিমরা ক্রয়ডন মসজিদকে দেওবন্দি হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করে।[১][২] মসজিদটিতে সপ্তাহে গড়ে ৯,০০০ জনেরও বেশি লোকের সমাগম হয়। রমজান মাসে এই সংখ্যা প্রতি সপ্তাহে ৩০,০০০-এর বেশি লোকে পৌঁছায়।[৩]

ক্রয়ডন মসজিদ ও ইসলামি কেন্দ্র
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিদেওবন্দী[১]
মালিকানাক্রয়ডন মসজিদ সমিতি
নেতৃত্ব"ইমাম (সঃ):"
মুফতি এম ইউসুফ ডাংকা
মাওলানা ইনাম-উল-হক মালিক
অবস্থান
অবস্থানলন্ডন, যুক্তরাষ্ট্র
স্থাপত্য
ধরনমসজিদ
স্থাপত্য শৈলীআধুনিক
প্রতিষ্ঠার তারিখ১৯৬৭
বিনির্দেশ
ধারণক্ষমতা৩,০০০ (মহিলা সহ)[১]
গম্বুজসমূহ
মিনার
ওয়েবসাইট
দাপ্তরিক ওয়েবসাইট

ইতিহাস সম্পাদনা

১৯৬০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে ওয়েস্ট ক্রয়েডনের ৩২ ডার্বি রোডের একটি বেসমেন্টে অনানুষ্ঠানিক সমাবেশ থেকে ক্রয়েডন মসজিদের গল্প শুরু হয়েছিল।[৪] ৩২ ডার্বি রোড হ্যান্ডক্রফ্ট রোড হাউজিং পুনঃউন্নয়নের পথ তৈরি করার জন্য একটি বাধ্যতামূলক ক্রয় আদেশ পাওয়ার পর, ১৯৭০ সালে ক্রয়েডন মসজিদ অ্যাসোসিয়েশন গঠিত হয়। এরপর সাক্ষাৎ ও প্রার্থনা করার জন্য ৪৫ ওয়েলেসলি রোডে একটি খালি 'অফিস এলাকা' ভাড়া নেওয়া শুরু করে।[৫]

১৩ বছর ধরে নিচতলার ওয়েলেসলি রোড সাইটে থাকাকালীন এখানে একটি মাদ্রাসা, দিনে পাঁচবার জামাতের নামাজ, একটি ওযু এলাকা, নিয়মিত "জলসাহ," দুটি মাদ্রাসা মিনি-বাস ব্যবস্থা, উইং চুন ক্লাস এবং একটি যুব ক্লাব শুরু হয়েছে। স্থানীয় কেনিয়ান সম্প্রদায়ের পরামর্শে এর দ্বায়িত্বে একজন হাফেজ এবং আলিম ক্বারী ছিলেন। তবে ৪৫ ওয়েলেসলি রোড পুনর্নির্মাণ করার উদ্যোগ নেওয়ার পর মুসলিম সম্প্রদায়কে আবার এই স্থান থেকে সরে যেতে বলা হয়েছিল। ফলে মসজিদটি ১৯৭৮ সালে ৫২৫ লন্ডন রোডের বর্তমান প্রাঙ্গনে স্থানান্তরিত হয়েছিল। তবে তহবিলের অভাবে দুবারীই মসজিদের পুনঃউন্নয়ন পরিকল্পনা স্থগিত রাখা হয়েছিল। তৎকালীন ক্রয়েডন নর্থ ইস্টের সাংসদ বার্নার্ড ওয়েদারিলের আবেদনের পরে, সৌদি আরবের শাহ আবদুল্লাহর কাছ থেকে ১০০,০০০ ইউরোর বেশি উপহার সহ অনুদানের জন্য সমিতি কাজটি সম্পূর্ণ করতে সক্ষম হয়েছিল। ১৯৮৮ সালে মসজিদটির গম্বুজ সম্পূর্ণ হওয়ার মাধ্যমে এর সংস্কারের প্রথম ধাপটি শেষ হয়েছিল। এক দশকের মধ্যে নতুন অফিস এবং প্রার্থনা স্থান তৈরি করার মাধ্যমে দ্বিতীয় পর্যায়ের উন্নয়নকার্য সম্পূর্ণ হয়েছিল। [৬]

২০১২ সালের এপ্রিলে একটি "সবুজ" চারতলা সম্প্রসারণের জন্য তৃতীয় ধাপের পরিকল্পনা উন্মোচন করা হয়েছিল, যা একটি মহিলা ও শিশুদের কেন্দ্র এবং একটি ১৮-মিটার মিনার হিসাবে ব্যবহার করা হবে৷ নতুন ভবনটি মসজিদের ধারণক্ষমতা ৪,০০০-এ উন্নীত করবে, যা ১৯৮০-এর দশকে কেন্দ্রটি নির্মিত হওয়ার পর থেকে ক্রয়েডনের মুসলিম সম্প্রদায়ের বৃদ্ধিকে প্রতিফলিত করে। মসজিদের সদস্যরা প্রকল্পের জন্য প্রায় ৫০০,০০০ পাউন্ড দান করেছেন।[৭]

সম্প্রদায় সম্পাদনা

মূলত পূর্ব আফ্রিকান এশীয়, ভারতীয় এবং পাকিস্তানি অভিবাসীদের স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের সেবা করার জন্য প্রতিষ্ঠিত। মসজিদটি এখন ক্রয়ডনের লন্ডন বরো এবং এর আশেপাশের বিভিন্ন মুসলিম সম্প্রদায়ের সেবা করে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, এটি অন্যান্যদের মধ্যে সোমালিয়ান, তুর্কি, আফগান, মধ্যপ্রাচ্য এবং বসনিয়ান বংশোদ্ভূতদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা অন্তর্ভুক্ত করেছে।[৩]

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Croydon Masjid"Muslims in Britain। ২৫ এপ্রিল ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুন ২০১৭ 
  2. "Muslims In Britain" 
  3. "Croydon Mosque & Islamic Centre - - About the Centre"www.croydonmosque.com। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০১৯ 
  4. "Muslim Heritage in Croydon - History of Croydon Mosque"www.muslimheritageincroydon.org.uk। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০১৯ 
  5. "Archived copy"। ২০১৬-০৩-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০২-১৭ 
  6. "Radio Islam" 
  7. "Archived copy"। ১৯ জুলাই ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা