উদ্ভিদ কলম হলো কৃত্রিম উপায়ে উদ্ভিদের বংশ বৃদ্ধির এক ধরনের পদ্ধতি যেখানে এক উদ্ভিদের শাখা কেটে নিয়ে অন্য উদ্ভিদে সংযোজন করা হয়। এই পদ্ধধতিতে একটি গাছে একই ধরনের আরেকটি চারা উৎপন্ন করা হয়। কলম কয়েক ধরনের হথে পারে, যেমন- দাবা কলম, ছেদ কলম, জোড় কলম, গুটি কলম ইত্যাদি।[১]

উদ্ভিদ কলম
উদ্ভিদ কলমে টেপের ব্যবহার
একটি কলমকৃত গাছ যাতে দুইটি ভিন্ন রঙের ফুল ফুটেছে

প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সম্পাদনা

এই কাজে ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করা হয়; সহজ লভ্য হিসেবে সাধারণত নতুন ব্লেড ব্যবহার করা হয়। ব্লেড ছাড়াও অন্যান্য ধারালো যন্ত্র যেমন ছুরি দ্বারা এটি করা যায়। এবং জোড়া স্থানে বাধার জন্য টেপ-এর প্রয়োজন।

কার্য পদ্ধতি সম্পাদনা

  1. মাতৃ উদ্ভিদ হতে শাখা বা চিকন ডাল নির্বাচন করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে নিতে হবে।
  2. যে উদ্ভিদের সাথে যুক্ত করতে হবে তার শাখার কিছু অংশ পাতাসহ এমন ভাবে কেটে ফেলতে হবে যাতে দুটিই আকৃতিতে মিলে যায়।
  3. মাতৃ উদ্ভিদ কে মধ্যে দুই ইঞ্চি পরিমাণ ফাটিয়ে এবং চারাগাছ এর অগ্রভাগ চ্যাপ্টা করে নিয়ে জোড়া লাগিয়ে দিতে হবে।
  4. জোড়ার স্থানে ভালো ভাবে বেঁধে দিতে হবে। এজন্য টেপ পেরিয়ে দেয়া হয়।
  5. কিছু দিন পর দুই অংশের সাথে জোড়া লেগে গেলে টেপ খুলে ফেলতে হয়।

পরিচর্যা সম্পাদনা

  1. কলম করার পর সেই ডালের জোড়ার সাথে যাতে কোন আঘাত না লাগে সেদিকে লক্ষ রাখতে হয়; কারণ এতে কলম মারা যেতে পারে।

উদ্ভিদের বেঁচে থাকার জন্য যে স্বাভাবিক পরিবেশ তা রাখতে হবে ।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "জেনে নিন গাছে কলম করার পদ্ধতি"। প্রথম আলো। ১০ আগষ্ট ২০২৩।  Authors list-এ |প্রথমাংশ1= এর |শেষাংশ1= নেই (সাহায্য)

[[বিষয়শ্রেণী:উদ্ভিদবিজ্ঞান

]]