অনেক দিয়েছ নাথ হল একটি রবীন্দ্রসংগীত। এটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গীতি-সংকলন গীতবিতান গ্রন্থের "পূজা" পর্যায়ের অন্তর্গত "বিবিধ" উপপর্যায়ভুক্ত ৪০৭ সংখ্যক গান।[১] আশাবরী-ভৈরবী রাগ ও ত্রিতালে নিবদ্ধ এই গানটি রবীন্দ্রনাথ রচনা করেছিলেন ১৮৮৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। গানটি রবীন্দ্রনাথের গানের বহি গীতি-সংকলনেও অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল (৩৩৫ সংখ্যক গান)। রবীন্দ্রনাথ গানটির ইংরেজি অনুবাদও করেছিলেন।[২] গানটির ছত্রসংখ্যা ৯ এবং কলিসংখ্যা ১|২।[২]

১২৯৩ বঙ্গাব্দের ১১ মাঘ সাতান্নতম সাংবাৎসরিক মাঘোৎসব উপলক্ষ্যে এই গানটি রচিত এবং ব্রাহ্মসমাজের প্রাতঃকালীন উপাসনায় গীত হয়েছিল।[২] তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা-র ফাল্গুন ১২৯৩ সংখ্যায় (পৃ. ২১৩) গানটি প্রথম মুদ্রিত হয়।[২] বাল্মীকিপ্রতিভাগানের বহি-তে এই গানের সুরকার হিসেবে জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম উল্লিখিত হয়েছে।[২] জ্যোতিরিন্দ্রনাথের প্রদত্ত সুরে এটির তাল কাওয়ালি বলে উল্লিখিত।[৩] শতগান-এ (বৈশাখ, ১৩০৭ ব.) সরলা দেবী কৃত স্বরলিপিটি মুদ্রিত হয়।[৪] সংগীত-প্রকাশিকা পত্রিকার আশ্বিন ১৩১১ সংখ্যায় (পৃ. ১২-১৪) কাঙ্গালীচরণ সেন কৃত স্বরলিপি সহ পুনরায় এটি মুদ্রিত হয়।[২] পরবর্তীকালে কাব্যগ্রন্থাবলী-র (১৩০৩) ‘ব্রহ্মসংগীত’ অংশে এবং কাব্যগ্রন্থ-এর (১৩২৩) ১০ম খণ্ডের ‘ধর্মসংগীত’ অংশে এটি মুদ্রিত হয়।[৪]

গ্রামোফোন কোম্পানি থেকে কানাইদাস শীল গানটি প্রথম রেকর্ড করেছিলেন (রেকর্ড লেবেল ৮-১২১৪৫/৮-১২১৪৪, বিডি ১২৪০, জোনো ১২১৪৫)। গ্রামাফোন কোম্পানি থেকে রবীন্দ্রনাথও গানটি রেকর্ড করেছিলেন (রেকর্ড লেবেল বিডি ১২৪০)।[৩] পরবর্তীকালে গানটি রেকর্ড করেন দ্বিজেন মুখোপাধ্যায় (রেকর্ড লেবেল এইচটিসিএস ০২বি ২৭১৪ স্টিরিও), গীতা সেন, রমা মণ্ডল, ভাস্বতী ঘোষ ও জ্যোৎস্না বন্দ্যোপাধ্যায়।[২]

এছাড়াও গানটির স্বরলিপি প্রকাশিত হয়েছিল ব্রহ্মসংগীত স্বরলিপি-তে (১ মাঘ, ১৩১১ ব.)। পরবর্তীকালে স্বরবিতান গ্রন্থের চতুর্থ খণ্ডে এই গানের স্বরলিপি মুদ্রিত হয়।[৩]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, গীতবিতান (অখণ্ড সংস্করণ), বিশ্বভারতী গ্রন্থনবিভাগ, কলকাতা, ১৪১২ মুদ্রণ, পৃ. ১৬৭
  2. রবীন্দ্ররচনাভিধান, ১৭শ খণ্ড, অনুত্তম ভট্টাচার্য, দীপ প্রকাশন, কলকাতা, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ, পৃ. ১৭৭
  3. সুরেন মুখোপাধ্যায়, রবীন্দ্র-সঙ্গীত-কোষ, সাহিত্য প্রকাশ, কলকাতা, ১৪১৬ সংস্করণ, পৃ. ৩
  4. পূর্ণেন্দুবিকাশ সরকার, গীতবিতান তথ্যভাণ্ডার, সিগনেট প্রেস, কলকাতা, ২০১৯ সংস্করণ, পৃ. ৬-৭