রোমাঞ্চকর সৃষ্টিকর্ম
রোমাঞ্চকর সৃষ্টিকর্ম বা ইংরেজিতে "থ্রিলার" সাহিত্য, চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ক্ষেত্রে একটি বিস্তৃত প্রকার বা শাখা এবং এর অনেক উপপ্রকার আছে। রোমাঞ্চকর সৃষ্টিকর্মকে চিহ্নিত ও সংজ্ঞায়িত করা যায় তাদের প্রকাশিত ভাব দিয়ে। তারা পাঠকের মধ্যে উৎকণ্ঠা, উত্তেজনা, বিস্ময় ও পূর্বাভাস জাগিয়ে তোলে ।[১][২] অ্যালফ্রেড হিচককের চলচ্চিত্রগুলো রোমাঞ্চকর সৃষ্টিকর্মের সফল কিছু উদাহরণ।[৩]

রোমাঞ্চকর সৃষ্টিকর্মের কাহিনী সংকটময় শীর্ষবিন্দুর দিকে যত এগোয়, পাঠকও উত্তেজনায় "চেয়ারের কিনারায়" এগিয়ে আসে। দর্শকের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য লুকিয়ে রাখা রোমাঞ্চকর সৃষ্টিকর্মের বহুলব্যবহৃত একটি উপাদান।[৪] সাহিত্যিক কৌশল, যেমন মনোযোগ বিক্ষেপক (রেড হেরিং), কাহিনীর মোড় ঘোরানো, এবং শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি, ইত্যাদিও প্রচুর ব্যবহৃত হয়। রোমাঞ্চকর সৃষ্টিকর্ম সাধারণত খলনায়ক-চালিত কাহিনী, যেখানে সে বিভিন্ন বাধা সৃষ্টি করে আর নায়ক সেসব পরাস্ত করে যায়।
হোমারের অডিসি পাশ্চাত্য জগতের একেবারে প্রাচীন গল্পগুলোর একটি এবং এটিকে রোমাঞ্চকর সৃষ্টিকর্মের আদিরূপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রথম দিককার রোমাঞ্চকর চলচ্চিত্রগুলির একটি হল হ্যারল্ড লয়েডের হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র সেফটি ফার্স্ট! (১৯২৩), যেখানে একটি চরিত্র গগনচুম্বী অট্টালিকার গায়ে তাকলাগানো কসরতবাজি করে দেখায়।[১]
আরো দেখুনসম্পাদনা
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ Filmsite.org
- ↑ Filmsite.org
- ↑ "What's Mystery, Suspense & Thriller Genre?"। Olivia.mn.us। ২ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুন ২৭, ২০১০।