২০১০ ফিফা বিশ্বকাপের সমালোচনাসমূহ
২০১০ ফিফা বিশ্বকাপ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বেশ কিছু বিতর্ক ও সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছে। এর মধ্যে কিছু হয়েছে প্রতিযোগিতা শুরুর আগে, এবং বেশ কিছু হয়েছে মাঠ রেফারির সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে।
পশু কোরবানি সংক্রান্ত সমালোচনা
সম্পাদনাবিশ্বকাপে ব্যবহৃত প্রতিটি স্টেডিয়ামে পশু কোরবানির পরিকল্পনা বিভিন্ন প্রাণী অধিকার সংগঠনের মধ্যে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেন। দ্য মাখোনিয়া রয়্যাল ট্রাস্ট দাবি করে, তাদের প্রস্তাবিত গরু বলিদানের পদ্ধতিটি হচ্ছে এই প্রতিযোগিতাকে আশীবার্দ করার একটি ‘সত্যিকারের আফ্রিকান’ সংস্কৃতি।[১] এই প্রতিষ্ঠানটি আফ্রিকার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিচালনা করে।
যেহেতু আমরা একটি পশুকে বলি দিতে যাচ্ছি, সেখানে অবশ্যই আমাদের এ ধরনের একটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে। আমাদের এই বিশাল অর্জনকে সামনে রেখে আমরা একটি গরুকে বলি দেই, এবং এভাবেই আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে স্মরণ করি, যেনো তাঁরা আমাদের আশীবার্দ করেন, দয়া করেন, এবং নিশ্চিত করেন যেনো সবকিছু ভালোভাবে চলে। বিশ্বকাপ হবে আফ্রিকা মহাদেশে, এবং আমরা নিশ্চিত করবো যে দর্শকরা আফ্রিকার মূল্যবোধ ও সংস্কৃতিকে উপলব্ধি করতে পেরেছেন।
— মাখোনিয়া রয়্যাল ট্রাস্ট[১]
প্রাণী অধিকার সংগঠনগুলোর বিরোধিতার প্রেক্ষিতে এই পশু বলির বিষয়টি দক্ষিণ আফ্রিকার উচ্চতর আদালত পর্যন্ত গড়ায়। সেখানে বিচারক নিক ভ্যান ডার রেইডেন বলেন, এই বিষয়টি রাজনীতিকদের মাধ্যমে সুরাহা হওয়া উচিত।[২]
পরবর্তীতে বাধা উপেক্ষা করেই ২৫ মে, জোহানেসবার্গের সকার সিটি স্টেডিয়ামে একটি ষাঁড় বলি দেওয়া হয়। স্টেডিয়ামের ভেতরেই একটি স্থানে এই পশু বলির কার্যক্রমটি অনুষ্ঠিত হয়। ষাঁড় বলি দেবার পর ঐতিহ্য অনুসারে এর অনুসারীরা হাঁটতে হাঁটতে, গান গেয়ে ও ড্রাম বাজিয়ে স্টেডিয়াম প্রদক্ষিণ করেন, এবং তাদের সংস্কৃতি অনুসারে স্টেডিয়ামকে আশীবার্দ করার কাজ সমাপ্ত করেন।[২]