১৬ মিলিমিটার চলচ্চিত্র
১৬ মিমি ফিল্ম ফিল্মের ক্ষেত্রে একটি ঐতিহাসিকভাবে জনপ্রিয় ও লাভজনক গেজ। ১৬ মিমি বলতে বোঝায় ফিল্মের দৈর্ঘ্য, যেমন সুপরিচিত ৮ ও ৩৫ মিমি। এটি প্রেক্ষাগৃহের বাইরে শিল্প, শিক্ষা ইত্যাদি ক্ষেত্রে চলচ্চিত্র নির্মাণে বা অল্প বাজেটের মোশন পিকচারে ব্যবহৃত হয়। বহু দশক ধরে ৮ মিমি ফিল্ম এবং পরে সুপার ৮ ফিল্মের পাশাপাশি এটিও শৌখিন বা ঘরে বসে মুভি বানানোয় জনপ্রিয় ছিল। ১৯২৩ সালে ইস্টম্যান কোডাক বের করে ১৬ মিমির জন্য প্রথম "আউটফিট" যাতে ছিল একটি ক্যামেরা, প্রজেক্টর, ট্রাইপড, স্ক্থিন ও স্প্লিসার, মোট $335 মূল্যে।[১] আরসিএ-ভিক্টর ১৯৩২ সালে একটি ১৬ মিমি সবাক মুভি প্রজেক্টর এবং ১৯৩৫ সালে একটি অপটিকাল সাউন্ড-অন-ফিল্ম ১৬ মিমি ক্যামেরা বাজারে ছাড়ে।[২]
ইতিহাস
সম্পাদনাইস্টম্যান কোডাক ৩৫ মিমি ফিল্মের চেয়ে কম দামের শৌখিন বিকল্প হিসেবে ১৬ মিমি ফিল্ম বের করে ১৯২৩ সালে। ১৯২০-এর দশকে পেশাদার কর্মীরা এই ফরম্যাটটিকে বলতেন নিম্নমানের বা সাব-স্যান্ডার্ড।[৩]
কোডাক উইলার্ড বীচ কুককে তার প্যাথেস্কোপ অফ আমেরিকা কোম্পানি থেকে ভাড়া করে আনে নতুন ১৬ মিমি কোডাস্কোপ লাইব্রেরি তৈরি করার জন্য। বাড়িতে বসে মুভি বানাবার পাশাপাশি লোকেরা সেই লাইব্রেরি থেকে ফিল্ম কিনতে বা ভাড়া নিতে পারতো, যা এই ফরম্যাটটির বিক্রি বাড়াতে সহায়ক হয়েছিল।
শৌখিন ব্যবহারের জন্য তৈরি ১৬ মিমি ফিল্মটি সেসব ফিল্ম বেসের অন্যতম যেগুলোতে এসিটেট-নিরাপদ ফিল্ম ব্যবহৃত হয়। কোডাক এই ফিল্মে কখনোই নাইট্রেট ফিল্ম ব্যবহার করেনি নাইট্রেট বেসের উচ্চ দাহ্যতার কারণে।৩৫ মিমি নাইট্রেট ফিল্ম ১৯৫২ সালে বন্ধ করে দেয়া হয়।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Kattelle, Alan (২০০০)। Home Movies: A History of the American Industry, 1897-1979। Transition Publishing। পৃষ্ঠা 334। আইএসবিএন 0-9654497-8-5।
- ↑ Kattelle, Alan (২০০০)। Home Movies: A History of the American Industry, 1897-1979। Transition Publishing। পৃষ্ঠা 231। আইএসবিএন 0-9654497-8-5।
- ↑ Eisloeffel, Paul (২০১৩)। "16mm Format History" (পিডিএফ)। Archives Filmworks। ২০১৬-০৬-৩০ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১১-১০।