হোজে বনিফাসিও দে আন্দ্রাদা

ব্রাজিলীয় রাজনীতিবিদ

হোজে বনিফাসিও দে আন্দ্রাদা ই সিলভা (জুন ১৩, ১৭৬৩ - এপ্রিল ৬, ১৮৩৮) ছিলেন ব্রাজিলের একজন কূটনীতিজ্ঞ, নিসর্গী, অধ্যাপক এবং কবি। তিনি সাঁউ পাউলুর সান্তোসে (পরবর্তীতে পর্তুগীজ সাম্রাজ্যের অধীন) জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ব্রাজিলীয় স্বাধীনতার সবচেয়ে গুরূত্বপূর্ণ একজন পরামর্শদাতা এবং তার পরমর্শই সম্রাট প্রথম ডোম পেদ্রোর সাফল্যের অন্যতম কারণ। তিনি গণশিক্ষায় সমর্থন করতেন, মৃত্যুদণ্ডবিলোপপন্থী ছিলেন এবং নতুন রাজধানী ব্রাজিলের অভ্যন্তরের অনুন্নত কোন জায়গায় করার প্রস্তাব দেন (এক শতাব্দীর পর যা ব্রাসিলিয়ায় প্রতিফলন ঘটে)। নিসর্গী হিসেবে তার কর্মজীবন চারটি নতুন খনিজ পদার্থ আবিষ্কারের দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছিল।

হোজে বনিফাসিও দে আন্দ্রাদা
জন্ম(১৭৬৩-০৬-১৩)১৩ জুন ১৭৬৩
সন্তোস, সাঁউ পাউলু, ব্রাজিলের পর্তুগীজ উপনিবেশ
মৃত্যু৬ এপ্রিল ১৮৩৮(1838-04-06) (বয়স ৭৪)
নাইটেরোই, ব্রাজিল সাম্রাজ্য
পিতা-মাতাবনিফাসিও হোজে রাইবেরো দে আন্দ্রাদা
মারিয়া বারবারা দে সিলভা

১৮০০ সালে আন্দ্রাদা ই সিলভা কইম্ব্রায় ভূতত্ত্ব অধ্যাপক নিযুক্ত হন এবং অতিশীঘ্রই পর্তুগিজ খনি বিভাগের পরিদর্শক জেনারেল হিসেবে অভিষিক্ত হন। ১৮১২ সালে তাকে লিসবন এর বিজ্ঞান একাডেমীর (একাডিমিয়া দাস সাইন্সিয়া দে লিসবোয়া) চিরস্থায়ী সচিব করা হয়েছিল। ১৮১৯ সালে উপনিবেশে ফিরে তিনি প্রথম পেদ্রোর পুনরায় লিসবন আদালত ডাকার বিরোধিতাকে তড়ান্বিত করেন এবং ১৮২১ সালে পেদ্রো তাকে তার মন্ত্রীদের মধ্যে একজন হিসেবে নিয়োগ করেন। যখন স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয় তখন আন্দ্রদা ই সিলভা অভ্যন্তর এবং পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন। যখন রাষ্ট্রটি স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে তখন তিনি পুনরায় গণপরিষদ কর্তৃক নির্বাচিত হন কিন্তু তার কূটনৈতিক প্রধান নীতির কারণে জুলাই ১৮২৩ সালে তাকে তার অফিস থেকে বরখাস্ত করা হয়।

নভেম্বরে বিধানসভা ভেঙ্গে যাওয়ার পর তিনি গ্রেফতার হন ও তাকে ফ্রান্সে নির্বাসনে পাঠানো হয়, যেখানে তিনি বোরডিয়াক্সে বসবাস করতেন। ১৮২৯ সালে তাকে ব্রাজিলে প্রত্যাবর্তনের অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু ১৮৩৩ সালে পুনরায় গ্রেফতার হন এবং প্রথম পেদ্রোর জন্য তার জীবনের পরবর্তী দিনগুলো নাইটেরোই শহরে অবসরে কাটান। তিনি ব্রাজিল রদ পকল্পেরও একজন লেখক, যা ১৮২৩ সালের গণপরিষদের উপর ভিত্তি করে লেখা। হোজে বনিফাসিও তার জীবনের অংশ ইউরোপে কাটান। কইম্ব্রা থেকে আইন ও প্রাকৃতিক দর্শনশাস্ত্রে স্নাতক সম্পন্ন করে তিনি একাডিমিয়া দাস সাইন্সিয়া দে লিসবোয়ায় যোগদান করেছিলেন।

ইউরোপে ভ্রমণের সময় তিনি অন্যান্য বিজ্ঞানীদের সাথে রসায়ন ও খনিজবিজ্ঞান নিয়ে চর্চা করেন। তিনি তথ্য সংগ্রহ, বৈজ্ঞানিক অভিজ্ঞতা তৈরি করেছিলেন এবং চার ধরনের নতুন ও আরো অজানা আট প্রজাতির খনিজ পদার্থ আবিষ্কার করেছিলেন। খনিজ আন্দ্রাদিতে তার নামেই নামকরণ করা হয়েছে। তার অন্যান্য আবিষ্কারের মধ্যে পেটালিট অন্যতম যা লিথিয়ামযুক্ত পদার্থ দিয়ে তৈরি। তিনি ১৮-শতকের শেষের দিকে সুইডেন ভ্রমণের সময় এটি আবিষ্কার করেন। তিনি আর একটি গুরূত্বপূর্ণ লিথিয়াম যুক্ত খনিজ পদার্থ স্পুডোম্যান স্টকহোমের কাছের এক দ্বীপ থেকে প্রথম আবিষ্কার করেন।

গ্রন্থপঞ্জি সম্পাদনা

  • Gomes, Laurentino (২০১০)। 1822 — How a wise man, a sad princess and a money-crazy Scotsman helped D. Pedro create Brazil, a country that had everything to go wrong। Nova Fronteira।  (পর্তুগিজ)

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  •   এই নিবন্ধটি একটি প্রকাশন থেকে অন্তর্ভুক্ত পাঠ্য যা বর্তমানে পাবলিক ডোমেইনেচিসাম, হিউ, সম্পাদক (১৯১১)। ব্রিটিশ বিশ্বকোষ (১১তম সংস্করণ)। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস।