হেলিওক্রোম হলো রঙিন আলোকচিত্র তোলার একটি বিশেষ প্রক্রিয়া, উনিশ শতকের মাঝামাঝি থেকে বিংশ শতকের প্রথম দিকের পরীক্ষামূলক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এর উদ্ভব। শব্দটি গ্রীক শব্দ "হেলিওস" বা "সূর্য" এবং "ক্রোমা" বা "রঙ" থেকে উদ্ভূত হয়েছিল, যার আক্ষরিক অর্থ দাঁড়ায় "সূর্যের রঙে রঙিন"। ১৮৫০ এর দিকে লেভি হিল-এর "হিলোটাইপস" এর মতো প্রযুক্তিগতভাবে বৈচিত্র্যময় চিত্রগুলিতে এ পদ্ধতির প্রয়োগ করা হয়েছিল (লেভি হিলের নির্দেশনা বইটির শিরোনাম ছিল A Treatise on Heliochromy ),[১] ১৮৭০ এর দিকে লুই ডুকস ডু হুরন এই পদ্ধতি অবলম্বনে তৈরি করেন তিন-রঙের কার্বন প্রিন্ট,[২] এবং ১৮৯০ এর দিকে গ্যাব্রিয়েল লিপম্যান এই একই পদ্ধতি অবলম্বনে তৈরি করেন 'ব্যতিচার রঙিন আলোকচিত্র' পদ্ধতি।[৩] কখনও কখনও আলোকচিত্রের রঙ ফুটিয়ে তোলার জন্যেও এ পদ্ধতির প্রয়োগ করা হয়েছিলো।

আনুমানিক ১৮৫০ এর দিকে করা একটি রঙিন খোদাইয়ের "হিলোটাইপ" আলোকচিত্র। যদিও দীর্ঘ সময় ধরে এটিকে সম্পূর্ণ জালিয়াতি বলে বিশ্বাস করা হয়েছিল, কিন্তু সাম্প্রতিক পরীক্ষায় দেখা গেছে যে লেভি হিল-এর প্রক্রিয়াটি ফটোগ্রাফিকভাবে কিছু রঙের পুনরুত্পাদন করতে সক্ষম, তবে কিছু যায়গায় রঙ আলাদা করে যোগ করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Hill, Levi L. (১৮৫৬)। A treatise on heliochromy : or, The production of pictures, by means of light, in natural colors. Embracing a full, plain, and unreserved description of the process known as the hillotype, including the author's newly discovered collodio-chrome, or natural colors on collodionized glass ...। Getty Research Institute। New York : Robinson & Caswell। 
  2. Ducos du Hauron, Alcide (১৮৯৮)। La photographie des couleurs : et les decouvertes de Louis Ducos du Hauron। Getty Research Institute। Paris : A.L. Guyot। 
  3. Lippmann, G. (১৮৯৬-০১-০১)। On Colour Photography by the Interferential Method। Royal Society of London।