হেযবুত তওহীদ

বাংলাদেশের একটি ধর্মভিত্তিক সংগঠন
এটি একটি পরীক্ষিত সংস্করণ, যা ২৯ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে পরীক্ষিত হয়েছিল।

হেযবুত তওহীদ ধর্মভিত্তিক একটি সংগঠন। জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে সংগঠনটি বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কালো তালিকাভুক্ত।[][][]

হেযবুত তওহীদ
গঠিত১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৫
প্রতিষ্ঠাতামোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী
সদরদপ্তরবাসা - ৩, রোড ২০/এ, সেক্টর ১৪, উত্তরা, ঢাকা
যে অঞ্চলে কাজ করে
বাংলাদেশ
নেতাহোসাইন মোহাম্মদ সেলিম
ওয়েবসাইটওয়েবসাইট

গঠন ও নেতৃত্ব

১৯৯৫ সালে মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী এটি প্রতিষ্ঠা করেন।[] হেযবুত তওহীদের সর্বোচ্চ নেতাকে ‘এমাম’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। ২০১২ সালে মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নীর মৃত্যুর পর নোয়াখালী জেলার হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম সংগঠনটির দায়িত্ব গ্রহণ করেন।[]

বিতর্ক

যদিও হেযবুত তওহীদ জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা এবং অপ-রাজনীতির বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছে বলে নিজেদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে বিবৃতি দিয়েছে[] কিন্তু বিভিন্ন সময় এই দলের কর্মসূচি প্রশ্নবিদ্ধ হয়।[] ২০০৮ সালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তালিকায় কালো তালিকাভুক্ত হয় সংগঠনটি।[] ২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সংগঠনটিকে কালো তালিকাভুক্ত করে চিঠি জারি করা হয়।[]

বাংলাদেশ ব্যাংকও এ বিষয়ক সতর্কতা জারি করে সংগঠন ও এর অঙ্গ সংগঠনের সম্পর্কে সতর্ক থাকতে বলে।[][] ২০১৯ সালের ১ নভেম্বর বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল নিশ্চিত করেন হেযবুত তওহীদসহ আরো কয়েকটি দল কালো তালিকাভুক্ত এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাদের নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব জমা হয়েছে।[] বিভিন্ন সময় সংগঠনটি নিষিদ্ধ করার কথাও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে জানা যায়।[১০][১১]

কার্যক্রম

সংগঠনটির দাবি — জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় গোলটেবিল বৈঠক, সভা-সেমিনারের আয়োজনের মাধ্যমে তারা জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছে।[১২] এছাড়াও সর্বধর্মীয় সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সাংবাদিক, লেখক, সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদসহ বিভিন্ন ধর্মের প্রতিনিধিত্বকারী ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে জাতীয় প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সময় আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। [১৩][১৪]

তথ্যসূত্র

  1. "কালো তালিকাভুক্ত আট জঙ্গি সংগঠন নিষিদ্ধ হয়নি"ইত্তেফাক। ২ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ নভেম্বর ২০১৯ 
  2. "হিজবুত তাওহীদের ছদ্মবেশ"কালের কণ্ঠ। ২০১৮-১১-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-১০ 
  3. "হিযবুত তাওহীদ নিষিদ্ধ করা হতে পারে"দৈনিক জনকণ্ঠ। ৫ এপ্রিল ২০১৬। 
  4. ইসলাম, নজরুল (১৫ মার্চ ২০১৬)। "হেফাজত, জামায়াতকে দুষল হিজবুত তওহিদ"প্রথম আলো। ১৬ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জানুয়ারি ২০২৩ 
  5. নিজস্ব প্রতিবেদক (২৯ জুন ২০১৯)। "'সব অভিযোগ মিথ্যা' দাবি করলেন হেযবুত তওহীদের নেতা"জাগো নিউজ। ১৬ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জানুয়ারী ২০২৩ 
  6. "Hezbut Tawheed | হেযবুত তওহীদ"হেযবুত তওহীদ (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৫-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৬-১৩ 
  7. "হিযবুত তাওহীদ নিষিদ্ধ করা হতে পারে || প্রথম পাতা || জনকন্ঠ"জনকন্ঠ। ১৬ জুন ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০১৮ 
  8. "হিযবুত তাওহীদ নিষিদ্ধের চিন্তা করছে সরকার"প্রথম আলো। ২০১৮-০৬-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৬-১৩ 
  9. "'হিজবুত তাওহীদ' নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সতর্কতা" [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  10. "হিযবুত তাওহীদ নিষিদ্ধের চিন্তা করছে সরকার"। ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ নভেম্বর ২০১৮ 
  11. "রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তৎপর নিষিদ্ধ হিজবুত তাওহীদ"বাংলাদেশ প্রতিদিন। ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ নভেম্বর ২০১৮ 
  12. "উগ্রবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়া সময়ের দাবি — গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা"দৈনিক ইত্তেফাক। ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুন ২০২৪ 
  13. Pratidin, Bangladesh (২০২৪-০৬-০৯)। "সর্বধর্মীয় সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় জাতীয় প্রেসক্লাবে হেযবুত তওহীদের আলোচনা সভা"বাংলাদেশ প্রতিদিন। ২০২৪-০৬-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৬-১০ 
  14. কালবেলা। "প্রকৃত ধর্ম মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করে না : রানা দাশগুপ্ত | কালবেলা"কালবেলা | বাংলা নিউজ পেপার। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৬-১০