হুসনিয়া জাবারা

ইসরায়েলি রাজনীতিবিদ

হুসনিয়া জাবারা (আরবি: حسنية جبّارة, হিব্রু ভাষায়: חוסניה ג'בארה‎ ; ১১ এপ্রিল ১৯৫৮) হচ্ছেন একজন প্রাক্তন আরব ইজরায়েলি নারী রাজনীতিবিদ। তিনি ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৩ সালের মধ্যবর্তী সময়ে ইসরাইলের একটি সেক্যুলার ও নারীবাদ সমর্থনকারী দল মেরেৎজের সদস্য হিসেবে ইসরাইলি আইনসভা তথা নেসেটের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ইসরাইলের ইতিহাসে তিনিই প্রথম ইসরায়েলি আরব নারী যিনি সেদেশের আইনসভা নেসেট সদস্য হতে সক্ষম হন।[১]

হুসনিয়া জাবারা
নেসেটে প্রতিনিধিত্বকারী
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1958-04-11) ১১ এপ্রিল ১৯৫৮ (বয়স ৬৬)
তাইবে, ইসরায়েল

জীবনী সম্পাদনা

হুসনিয়া জাবারা মধ্য ইসরাইলের আরব অধ্যুষিত শহর তাইবের একটি মুসলিম কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।[২] তিনি উইঙ্গেট ইনস্টিটিউটে ফিজিওথেরাপি বিষয়ে অধ্যয়ন করেন।

তিনি না'মাত নামক মহিলা সংস্থায় যোগ দেন, এবং ১৯৯২ সাল থেকে ১৯৯৪ সালের মধ্যবর্তী সময়ে এই সংগঠনটির তাইবে শাখার চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৯৫ সাল থেকে ১৯৯৭ সালের মধ্যবর্তী সময়ে তিনি বেইট বেরল একাডেমিক কলেজের ইহুদি-আরব ইনস্টিটিউটে নারী ও যুব পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং কলেজের ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউটে মধ্যপ্রাচ্য বিভাগের চেয়ারম্যান হন।[৩]

তার বাবার বিরোধিতা সত্ত্বেও,[৪] হুসনিয়া জাবারা ইসরাইলের রাজনীতিতে প্রবেশ করতে চেয়েছিলেন। সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক ইসরাইলের ১৯৯৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তিনি মেরেৎজ দলের তালিকায় দশম স্থান লাভ করে।[৫] সেবার নির্বাচনে দলটি দশটি আসন জেতার ফলে তিনি নেসেটের সদস্য নির্বাচিত হন। তার প্রথম মেয়াদে তিনি আরব মহিলাদের অবস্থা উন্নয়নের জন্য গঠিত উপকমিটির সভাপতিত্ব করেন এবং মহিলাদের অবস্থা সম্পর্কিত কমিটির সদস্যও ছিলেন।

২০০২ সালে ইসরাইলের হামলায় গাজা উপত্যকায় পাঁচ জন ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার পর তিনি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ইয়াসির আরাফাতের সঙ্গে দেখা করতে রামাল্লায় যান। তিনি তাকে বলেছিলেন যে ইজরায়েলের হত্যা নীতি ইজরায়েলকে সাহায্য করছে না, যেভাবে আত্মঘাতী বোমাহামলাকারীরা ফিলিস্তিনি জনগণকে সাহায্য করছে না।[৬]

এর পর তিনি ইসরাইলের ২০০৩ সালের সাধারণ নির্বাচন তথা নেসেট নির্বাচনে পুনরায় অংশগ্রহণ করে মেরেৎজ দলের সদস্যদের তালিকায় দশম স্থান ধরে রাখেন। কিন্তু সেবার দলটি মাত্র ছয়টি আসন লাভ করার তিনি তার আসন হারান।[৭]

হুসনিয়া জাবারা একজন ড্রাইভিং প্রশিক্ষক ফাথির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন এবং এই দম্পতির তিনটি সন্তান রয়েছে।[২]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Grapevine: Elections and other celebrations The Jerusalem Post, 4 April 2006
  2. Arab woman finds a place in Israel's Parliament Indian Express, 24 May 1999
  3. Hussniya Jabara: Public activities Knesset website
  4. News Items Jewish Vanguard, Summer 2006, vol. 35
  5. 1999 Meretz list Israel Democracy Institute
  6. Behor, Diana (৪ ফেব্রুয়ারি ২০০২)। "Arafat: The struggle to end the violence ended with an assassination"Ynet (হিব্রু ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০০৮ 
  7. 2003 Meretz list Israel Democracy Institute

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা