হিস্টোরিয়া স্কলাস্টিকা

হিস্টোরিয়া স্কলাস্টিকা দ্বাদশ শতাব্দীর বাইবেল ভাষান্তর যা ফরাসি ধর্মতাত্ত্বিক লেখক পেট্রাস কমেস্টর মধ্যযুগীয় ল্যাটিন ভাষায় লিখে গেছেন। এখানে বাইবেলের বিষয়বস্তু উল্লেখ করার পাশাপাশি গীর্জার ফাদার ও উৎকৃষ্ট পন্ডিতদের বিভিন্ন কাজের ব্যাপারে উল্লেখ রয়েছে। এটি লেখার উদ্দেশ্য ছিল মধ্যযুগের ইউরোপের সর্বজনীন ইতিহাসের ব্যাপারে ধারণা দেওয়া। [১] [১][২]

হিস্টোরিয়া স্কলাস্টিকার সামনের প্রচ্ছদ

হিস্টোরিয়া স্কলাস্টিকা ইউনিভার্সিটি অফ প্যারিস, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য কিছু বিশ্ববিদ্যালয় এর মূল পাঠ্যক্রমের আবশ্যক বিষয় ছিল। এছাড়াও ১১৭৩ সালের দিকে এটি বাইবেল সম্বন্ধনীয় জ্ঞান অর্জনের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম হিসেবে ভূমিকা রেখেছে। [৩] যদিও ১৩৫০ এর পরে হিস্টোরিয়া স্কলাস্টিকা ধীরে ধীরে পরিবর্তন হওয়া শুরু হয়। [১][৪] বইটি প্রায় সে সময়ের সকল ইউরোপীয় আঞ্চলিক ভাষা তে অনুবাদ করা হয়েছে। [১] অনুচ্ছেদের ভাষান্তর এবং সংক্ষিপ্তকরণের বেশিরভাগই হয়েছে লাতিন ও সেদিকের অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষায়। [১]

হিস্টোরিয়া স্কলাস্টিকা পৃথিবীর অন্যতম একটি ইনকিউন্যাবল। ইনকিউন্যাবল হলো এমন কিছু হস্তলিখিত পুস্তক যা ইউরোপে ষোড়শ শতাব্দীর আগে ছাপানো হয়েছে। [১]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Morey, James H. (জানুয়ারি ১৯৯৩)। "Peter Comestor, Biblical Paraphrase, and the Medieval Popular Bible"Speculum68 (1): 6–35। ডিওআই:10.2307/2863832 
  2. Jones, Gareth; Arrandale, Rick (২০০৭)। Blackwell Companion to Modern Theology। Blackwell। পৃষ্ঠা 136। আইএসবিএন 1-4051-5975-8 
  3. Ma'oz, Moshe (২০০৯)। The Meeting of Civilizations: Muslim, Christian, and Jewish। Sussex Academic Press। পৃষ্ঠা 48–50। আইএসবিএন 1-84519-395-4 
  4. Seybolt, Robert Francis (জুলাই ১৯৪৬)। "The Legenda Aurea, Bible, and Historia Scholastica"Speculum21 (3): 339–342। ডিওআই:10.2307/2851378