হিলি স্থল বন্দর, বাংলাদেশ

বাংলাদেশের স্থল বন্দর

হিলি স্থলবন্দর বাংলাদেশ–ভারত সীমান্তে দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর উপজেলায় অবস্থিত।

বন্দর পারাপারের জন্য ট্রাকের সারি, হিলি স্থল বন্দর

স্থলবন্দর

সম্পাদনা

১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বাংলাদেশভারতের মধ্যে রপ্তানি-আমদানি ব্যবসার জন্য হিলি শুল্ক স্টেশন প্রতিষ্ঠিত হয়। হিলি স্থলবন্দর ১০,০০০ একর এলাকা জুড়ে অবন্থিত এবং এর ১০,০০০ মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতা রয়েছে।[] পরে ১৯৯৬ সালে, সরকার এটিকে একটি পূর্ণাঙ্গ শুল্ক স্টেশন ঘোষণা করে। ২০০৫ সালে সরকার বন্দরটি বেসরকারি ব্যবস্থাপনার কাছে হস্তান্তর করে। ২০০৭ সালের নভেম্বরে পানামা হিলি পোর্ট লিঙ্ক লিমিটেড ২৫ বছরের জন্য বন্দরটি ইজারা নেয় এবং এটি পুর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে।[] ভারতের দিকে দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলিতে স্থলবন্দর ও সীমান্ত চেকপোস্ট রয়েছে।[] ১৯৪৭ সালের ভারত বিভাগের সময় গ্রামটি দ্বিখন্ডিত হয়৷ গ্রামটির পূর্ব অংশ পাকিস্তানে ও পশ্চিম অংশ ভারতের সাথে যুক্ত হয় ৷ রেল স্টেশন ও বাজার পাকিস্তানে পড়ে ও বসবাসের বাড়ীঘর, ইত্যাদি ভারতে পড়ে ৷ বর্তমানে এই সীমান্ত দিয়ে দুই দেশের মানুষ যাতায়াত করেন ও দুই দেশের পণ্যের বাণিজ্য হয়৷ বর্তমানে ভারতের অন্তর্গত হিলি গ্রামের অংশটি পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় অবস্থিত।[]

২০১৩ সালে জাতিসংঘ শুষ্ক বন্দর সম্পর্কিত আন্তঃসরকারি একটি সন্ধি করে যা এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শুষ্ক বন্দরগুলির উন্নয়নে সহযোগিতার প্রচারের জন্য নকশা করা হয়েছে।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Land ports in brief" (পিডিএফ)। Bangladesh government। সংগ্রহের তারিখ ৮ ডিসেম্বর ২০১৮ 
  2. "সমস্যার আবর্তে হিলি স্থলবন্দর"। ২০১২-০২-১৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১২ 
  3. বিডিন্যাশনালনিউজ[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  4. "Centre plans 13 new Integrated Check Posts to encourage engagement with neighbours"The Indian Express। ১৮ অক্টোবর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৫ নভেম্বর ২০১৮