হায়দ্রাবাদি পালোয়ান

পালোয়ান বা পহলওয়ান (উর্দু پہلوان শব্দটি মূলত ফার্সি থেকে এসেছে), এছাড়াও পেহেলওয়ান, পহেলওয়ান বা পেহলওয়ান শব্দ, ইংরেজিতে যার অর্থ কুস্তিগির, সেগুলিও একই অর্থে ব্যবহৃত হয়। ভারতের হায়দ্রাবাদে, পালোয়ান শব্দটি সাধারণত দুই ধরনের মানুষের সম্পর্কে বলা হয়।

১৮৭০-এর দশকে অনুষ্ঠিত একটি প্রতিযোগিতা চলাকালীন হায়দ্রাবাদি পালোয়ানরা কুস্তির (ভারতীয় কুস্তির রূপ) জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে

প্রথমত, এর অর্থ হল কুস্তিগির, এরা হল সেই সমস্ত পালোয়ান যারা রাজকীয় যুগে কুস্তিগির হিসাবে রাজাদের পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করেছিল, তারা সারা পৃথিবী জুড়ে কুস্তিতে (ভারতীয় ফ্রি স্টাইল কুস্তি) শিরোনাম জিতে হায়দ্রাবাদ শহরের জন্য খ্যাতি ও সম্মান এনেছিল।

পালোয়ানের অন্য অর্থটি ভারতের বোম্বেতে এখন (মুম্বাই) ব্যবহৃত 'ভাই' শব্দটির মতোই, যারা ভারতের স্বাধীনতার পরে জমিদারদের মতো অভ্যাসের দিকে ঝুঁকেছিল এবং শহরের অপরাধে প্রধান দাঙ্গাবাজ হিসেবে বিবেচিত হত। এদের মধ্যে বেশিরভাগই ভূমি দখল, চাঁদাবাজির মতো অপরাধের সাথে জড়িত ছিল এবং আবাসন বা জমিজমা সংক্রান্ত ব্যবসা করত।[১]

প্রাথমিকভাবে হায়দ্রাবাদে, পালোয়ানদের বেশিরভাগই আরবদের মধ্যে থেকে হত, স্থানীয়ভাবে যাদের বলা হত চৌশ। এইভাবে পালোয়ান নামটি সেই চৌশ কুস্তিগিরদের দেওয়া হয়েছিল। এতেই তারা জনসাধারণের দৃষ্টির সামনে এসেছিল (হায়দ্রাবাদের বেশিরভাগ লোকেরা মনে করত যে, চৌশরাই পালোয়ান)। প্রথম দিকের দিনগুলিতে, বাসিন্দারা তাদের সম্মান করত এবং জনসাধারণের সমস্যাগুলি নিষ্পত্তি করতে তাদের উৎসাহিত করা হত।[২]

ইতিহাস সম্পাদনা

চৌশ পালোয়ানদের ইতিহাস নিজামের যুগে পাওয়া যায়। ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দে তৃতীয় মীর আকবর আলি খান সিকান্দার জাহের সময় হাজরামাউত থেকে আসা কিছু আরব নাগপুরের ভোসলাদের কাছ থেকে এবং পুনা (বর্তমানে পুনে) থেকে মুক্তি পেয়ে হায়দ্রাবাদে চলে আসে।[৩][৪]

বৃদ্ধি সম্পাদনা

প্রাথমিকভাবে হায়দ্রাবাদে, পালোয়ানরা বেশিরভাগই আরবের মানুষ ছিল, যারা স্থানীয়ভাবে চৌশ নামে পরিচিত ছিল। এইভাবে, পালোয়ান উপাধিটি সেই চৌশ কুস্তিগিরদের নামেই সংরক্ষিত হয়ে গিয়েছিল, এবং এর মাধ্যমেই তারা জনসাধারণের সামনে চলে আসে (এভাবে হায়দ্রাবাদের বেশিরভাগ লোকই মনে করত যে সমস্ত পালোয়ানই চৌশ)। প্রথম দিকে, বাসিন্দারা তাদের সম্মান করত এবং জনসাধারণের সমস্যাগুলি নিষ্পত্তি করতে তাদের উৎসাহিত করা হত।[৫]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Old City in the grip of loan sharks"The Times of India। ৮ অক্টোবর ২০১১। ২৬ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১১ 
  2. "It's Pahelwans who call the shots in Old City"The Times of India। ২০১২-১১-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  3. "Archived copy"। ৩ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০১১ 
  4. Mediaeval Deccan history commemoration volume in honour of Purshottam
  5. "Pahalwan nurse a grudge against Akbaruddin over a land dispute"The Times of India। ২০১২-০৫-৩১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 

আরও দেখুন সম্পাদনা