হফুফ
হফুফ (আরবি: ٱلْـهُـفُـوْف ("আল-হাসা" বা "আল-আহসা" নামেও পরিচিত)।[১] আল-আহসা, সৌদি আরব পূর্ব প্রদেশের প্রধান শহর। এটি বিশ্বের বৃহত্তম খেজুর বাগানগুলোর জন্য বিখ্যাত এবং পুরাতন দুর্গ এবং প্রাসাদের জন্যও পরিচিত।
হফুফ ٱلْـهُـفُـوْف (আরবি) | |
---|---|
স্থানাঙ্ক: ২৫°২৩′ উত্তর ৪৯°৩৫′ পূর্ব / ২৫.৩৮৩° উত্তর ৪৯.৫৮৩° পূর্ব | |
দেশ | সৌদি আরব |
প্রদেশ | হফুফ |
সরকার | |
• মেয়র | বিন জালাউই |
• প্রাদেশিক গভর্নর | সৌদ বিন নাঈফ |
উচ্চতা | ১৫৪ মিটার (৫০৫ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১৪) | |
• মোট | ১,৫০,০০০ |
হফুফ পৌরসভা অনুমান | |
পোস্টাল কোড | (৫ সংখ্যা) |
এলাকা কোড | +৯৬৬-১৩ |
ওয়েবসাইট | www.Hofuf.gov.sa[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] |
সংক্ষিপ্ত বিবরণ
সম্পাদনাহফুফ শহরে ১৫০,০০ মানুষের বসবাস। শহর ও গ্রাম মিলিয়ে ৬০০,০০০ মানুষ বসবাস করে এবং এটি হফুফ প্রদেশের বৃহৎ জনসংখ্যাযুক্ত এলাকা। এর দক্ষিণ পশ্চিমে আবাকাইক এবং দাহরান দক্ষিণে দাহরান - দাম্মাম - খোবার। হফুফ হারহাদ মহানগরী এলাকায় অবস্থিত।
এটি বিখ্যাত ঘাওয়া তেল ক্ষেত্রের নিকটতম শহর। এটি বিশ্বের বৃহত্তম প্রচলিত (ভূমি-ভিত্তিক) তেল ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে একটি।
হফুফ শহরটি সৌদি আরবের প্রধান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। সৌদি আরবের অনেক বিখ্যাত পরিবার সেখানে বসবাস করে। এছাড়াও বাদশা ফয়সাল বিশ্ববিদ্যালয় কৃষি, পশুচিকিৎসা ও পশু সম্পদ হাসপাতাল গুলো হফুফ শহরে অবস্থিত।
হফুফ বাদশা ফয়সাল বিশ্ববিদ্যালয় এ সৌদি আরবের মহিলারা ঔষধ, দন্ত ও অর্থনীতিতে অধ্যয়ন করতে পারেন।
কিংবদন্তি লায়লী-মজনু এর সমাধিস্থলও হফুফ শহরে অবস্থিত, যা আরব ও মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রেমের গল্পের তারকা জোড়া।
জার্মান এক্সপ্লোরার এর চিত্রশিল্পী, হারম্যান বুচার্ড্ট, ১৯০৪ সালে শহরটির বিপুল পরিমাণ ছবি তুলেছিলেন।[২] পরবর্তীতে বার্লিন নৃতাত্ত্বিক যাদুঘর অনুষ্ঠিত চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে ছবি গুলো প্রদর্শন করা হয়। [৩][৪]
অর্থনীতি
সম্পাদনাঐতিহাসিকভাবে, হফুফ উল, রেশম এবং তুলো থেকে বস্ত্র তৈরির জন্য বিখ্যাত। এছাড়াও খেজুর ফলের বাগানের জন্যও শহরটি বিখ্যাত। আরবরা হফুফে উৎপাদিত খেজুর এবং বস্ত্র ফ্রান্সসহ বিশ্বের অনেক দেশে রপ্তানি করে।[৫]
১৯২০ এর দশকে, হফুফ শহরটি রূপা এবং পিতলের কফি মগ তৈরির জন্য বিখ্যাত ছিল।[৬]
আবহাওয়া
সম্পাদনাহফুফ গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চল। (কোপেন জলবায়ু শ্রেণিবিভাগ "বিএভি") গ্রীষ্মে খুব গরম পরে এবং সংক্ষিপ্ত শীতকালে অল্প শীত বিরাজ করে।
হফুফ (১৯৮৫–২০১০)-এর আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য | |||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
মাস | জানু | ফেব্রু | মার্চ | এপ্রিল | মে | জুন | জুলাই | আগস্ট | সেপ্টে | অক্টো | নভে | ডিসে | বছর |
সর্বোচ্চ রেকর্ড °সে (°ফা) | ৩২.৭ (৯০.৯) |
৩৭.৮ (১০০.০) |
৪১.২ (১০৬.২) |
৪৫.০ (১১৩.০) |
৪৯.০ (১২০.২) |
৫০.৬ (১২৩.১) |
৫০.৮ (১২৩.৪) |
৫০.০ (১২২.০) |
৪৮.০ (১১৮.৪) |
৪৫.৬ (১১৪.১) |
৪৫.৮ (১১৪.৪) |
৩২.৫ (৯০.৫) |
৫০.৮ (১২৩.৪) |
সর্বোচ্চ গড় °সে (°ফা) | ২১.২ (৭০.২) |
২৪.২ (৭৫.৬) |
২৮.৯ (৮৪.০) |
৩৫.১ (৯৫.২) |
৪১.৫ (১০৬.৭) |
৪৪.৪ (১১১.৯) |
৪৫.৭ (১১৪.৩) |
৪৫.৪ (১১৩.৭) |
৪২.৩ (১০৮.১) |
৩৭.৬ (৯৯.৭) |
২৯.৯ (৮৫.৮) |
২৩.৪ (৭৪.১) |
৩৫.০ (৯৫.০) |
দৈনিক গড় °সে (°ফা) | ১৪.৭ (৫৮.৫) |
১৭.২ (৬৩.০) |
২১.৫ (৭০.৭) |
২৭.২ (৮১.০) |
৩৩.৩ (৯১.৯) |
৩৬.৩ (৯৭.৩) |
৩৭.৮ (১০০.০) |
৩৭.২ (৯৯.০) |
৩৩.৮ (৯২.৮) |
২৯.২ (৮৪.৬) |
২২.৪ (৭২.৩) |
১৬.৬ (৬১.৯) |
২৭.৩ (৮১.১) |
সর্বনিম্ন গড় °সে (°ফা) | ৮.৫ (৪৭.৩) |
১০.৬ (৫১.১) |
১৪.৩ (৫৭.৭) |
১৯.৬ (৬৭.৩) |
২৪.৯ (৭৬.৮) |
২৭.৬ (৮১.৭) |
২৯.৪ (৮৪.৯) |
২৮.৯ (৮৪.০) |
২৫.৩ (৭৭.৫) |
২১.১ (৭০.০) |
১৫.৬ (৬০.১) |
১০.৫ (৫০.৯) |
১৯.৭ (৬৭.৫) |
সর্বনিম্ন রেকর্ড °সে (°ফা) | −২.৩ (২৭.৯) |
১.০ (৩৩.৮) |
০.৭ (৩৩.৩) |
৭.৩ (৪৫.১) |
১৭.০ (৬২.৬) |
১৮.৩ (৬৪.৯) |
১৯.৮ (৬৭.৬) |
১৯.৭ (৬৭.৫) |
১৭.৩ (৬৩.১) |
১৩.০ (৫৫.৪) |
৫.৮ (৪২.৪) |
০.৮ (৩৩.৪) |
−২.৩ (২৭.৯) |
বৃষ্টিপাতের গড় মিমি (ইঞ্চি) | ১৫.০ (০.৫৯) |
১১.৬ (০.৪৬) |
১৬.২ (০.৬৪) |
১০.৭ (০.৪২) |
২.১ (০.০৮) |
০.০ (০.০) |
০.০ (০.০) |
০.৯ (০.০৪) |
০.০ (০.০) |
০.৬ (০.০২) |
৫.১ (০.২০) |
২১.১ (০.৮৩) |
৮৩.৩ (৩.২৮) |
আপেক্ষিক আদ্রতার গড় (%) | ৫৫ | ৪৯ | ৪৪ | ৩৮ | ২৭ | ২২ | ২৩ | ৩০ | ৩৩ | ৩৯ | ৪৭ | ৫৬ | ৩৯ |
উৎস ১: জেদ্দা, আঞ্চলিক আবহাওয়া অধিদপ্তর[৭] | |||||||||||||
উৎস ২: Ogimet[৮] |
সংস্কৃতি
সম্পাদনা২০১৫ সালের জানুয়ারিতে হফুফে ইন্টারন্যাশনাল র্যান্ডম ফিল্ম ফেস্টিভাল অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল, পরবর্তীতে এটি ২০১৭ সালের মে মাসে হেলসিঙ্কি, ফিনল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
পরিবহন
সম্পাদনাবিমানবন্দর
সম্পাদনাহফুফ শহরটিতে দুটি বিমানবন্দর রয়েছে, এগুলো কিং ফাহাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অধীনে পরিচালিত হয়। দাম্মাম শহর থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরে একটি বিমান বন্দরের অবস্থান। স্থানীয় বিমানবন্দরগুলোর মধ্যে, পুরানোটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে এবং নতুন একটি অভ্যন্তরীণ আল-আহসা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মাধ্যমে বিমান সেবা দেওয়া হচ্ছে। আন্তর্জাতিক ফ্লাইট এরজন্য দোহা এবং দুবাই বিমানবন্দর ব্যবহার করা হচ্ছে।
রেল
সম্পাদনাহফুফ শহরে রাজধানী রিয়াদের পশ্চিমে এবং উত্তর দিকে দাম্মাম শহরটিকে সংযুক্ত করে একটি রেলওয়ে স্টেশন রয়েছে। সৌদি আরবের সকল রেলযোগাযোগ সৌদি রেলওয়ে সংস্থা দ্বারা পরিচালিত হয়।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- Hofuf on www.The-Saudi.net
- Jabal Qarah ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে, Splendid Arabia: A travel site with photos and routes
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Al-Hofuf Travel Information and Travel Guide – Saudi Arabia"। Lonely Planet। জুলাই ১, ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুন ২, ২০১৩।
- ↑ http://www.smb-digital.de/eMuseumPlus?service=ExternalInterface&module=collection&objectId=626129&bt=europeanaapi ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১২ নভেম্বর ২০২০ তারিখে Hofuf
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১২ নভেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ নভেম্বর ২০১৮।
- ↑ ১৯০৪ সালে হফুফ ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১২ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে।
- ↑ Western Arabia and the Red Sea, Naval Intelligence Division, London 2005, p. 488 আইএসবিএন ০-৭১০৩-১০৩৪-X
- ↑ Prothero, G.W. (১৯২০)। Arabia। London: H.M. Stationery Office। পৃষ্ঠা 99।
- ↑ "Climate Data for Saudi Arabia"। জেদ্দা আঞ্চলিক আবহাওয়া অধিদপ্তর। মে ১২, ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ৭, ২০১৫।
- ↑ "Decoded synop reports"। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ৩, ২০১৬।