স্যাজিটাল সুচার
স্যাজিটাল সুচার (ইংরেজিতেঃ Sagittal suture) করোটির দুটি প্যারাইটাল অস্থির মধ্যে বিদ্যমান একটি ঘন, তন্তুময় যোজক টিস্যু সন্ধি। শব্দটি লাতিন শব্দ sagitta থেকে এসেছে, যার অর্থ তীর । এই শব্দটির উৎপত্তি সম্বন্ধে ধারণা পাওয়া যায়, স্যাজিটাল সুচার কীভাবে করোটিকার পিছন দিকে ল্যাম্বডোয়েড সুচার দ্বারা একটি তীরের মতন খাঁজকাটা হয়, তা দেখে। স্যাজিটাল সুচারআন্তঃপ্যারাইটাল সুচার , লাতিন Sutura interparietalis নামেও পরিচিত।
স্যাজিটাল সুচার | |
---|---|
বিস্তারিত | |
শনাক্তকারী | |
লাতিন | sutura sagittalis |
টিএ৯৮ | A03.1.02.003 |
টিএ২ | 1576 |
এফএমএ | FMA:52929 |
শারীরস্থান পরিভাষা |
ফরেনসিক নৃতত্ত্বে, স্যাজিটাল সুচার মানুষের দেহাবশেষের তারিখ স্থির করার জন্য ব্যবহৃত একটি পদ্ধতি। সুচারটি উনত্রিশ বছর বয়সে বন্ধ হতে শুরু করে, যেখানে এটি ল্যাম্বডোয়েড সুচারকে ছেদ করে সেখান থেকে এবং সামনে এগুতে থাকে। পঁয়ত্রিশ বছর বয়সে সুচারটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এর অর্থ কোনো একজন মানুষের খুলি পরিদর্শন করার সময়, যদি সুচারটি তখনো খোলা থাকে, তবে তার বয়স উনত্রিশ বছরের কম বলে ধরে নিতে হবে। অপর দিকে, সুচারটি সম্পূর্ণরূপে গঠিত হলে, পঁয়ত্রিশের বেশি বয়স বলে ধরে নেয়া যেতে পারে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] স্যাজিটাল সুচারে দুটি শারীরস্থানিক চিহ্ন পাওয়া যায়: একটি ব্রেগমা এবং অপরটি করোটির ভার্টেক্স। ব্রেগমা স্যাজিটাল এবং করোনাল সুচারের ছেদ দ্বারা গঠিত হয়। ভার্টেক্স করোটির সর্বোচ্চ বিন্দু এবং প্রায়শই স্যাজিটাল সুচারের মধ্যবিন্দুর নিকটে অবস্থান করে।
জন্মের সময় করোটির হাড়গুলো মিলিত অবস্থায় থাকে না। যদি মাথার খুলির নির্দিষ্ট কোন হাড় খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায়, তবে সুচারগুলোর "অকাল মিলন" বা "প্রিম্যাচিউর ক্লোজার" হতে পারে। এর ফলে মাথার খুলির বিকৃতি ঘটতে পারে। যদি স্যাজিটাল সুচার খুব তাড়াতাড়ি বন্ধ হয়ে যায়, তবে মাথার খুলি লম্বা, সরু ও কীলক আকারের হয়ে যায়। এই অবস্থাকে বলা হয় স্ক্যাফোসেফালি ।
অতিরিক্ত চিত্র
সম্পাদনা-
অ্যানিমেশনে স্যাজিটাল সুচারকে লাল দেখানো হয়েছে।
-
বাম এবং ডান প্যারাইটাল অস্থি।
-
স্যাজিটাল সুচারটিকে ভিতর থেকে দেখা যাচ্ছে।
-
একটি সদ্যোজাত শিশুর স্যাজিটাল সুচার উপর থেকে দেখা যাচ্ছে।
-
সদ্যোজাত শিশুর স্যাজিটাল সুচার।
-
ওয়ার্মিয়ান অস্থি যুক্ত স্যাজিটাল সুচার।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- "স্যাজিটাল সুচার ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৯ জুন ২০১৬ তারিখে ", স্টেডম্যানস মেডিকেল ডিকশনারি, ২৭ তম সংস্করণ। ২০০০ সাল।
- Moore, Keith L., and T.V.N. Persaud। he Developing Human: Clinically Oriented Embryology, ৭ম সংস্করণ। ২০০৩।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- Anatomy figure: 22:03-01[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] at Human Anatomy Online, SUNY Downstate Medical Center