স্বাস্থ্য পেশাজীবী

স্বাস্থ্যের উন্নতি ও সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার কাজে নিয়োজিত পেশাদার ব্যক্তি

স্বাস্থ্য পেশাজীবী, স্বাস্থ্যসেবা পেশাজীবী বা স্বাস্থ্যসেবা কর্মী বলতে প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে স্বাস্থ্যসেবা ও উপদেশ প্রদানকারী পেশাদার ব্যক্তিদেরকে নির্দেশ করা হয়। চিকিৎসক (পারিবারিক চিকিৎসক, অন্তররোগ বিশেষজ্ঞ, ধাত্রীবিদ, মনোচিকিৎসক, রঞ্জনবিদ, শল্যচিকিৎসক, ইত্যাদি), শুশ্রূষাকারী, চিকিৎসকের সহকারী, নিবন্ধিত পুষ্টিবিদ, পশুচিকিৎসক, পশুচিকিৎসা কারিগর, প্রাথমিক চক্ষু চিকিৎসক, ঔষধ প্রস্তুতি ও ব্যবহারবিদ, চিকিৎসা সহকারী, শারীরিক চিকিৎসাবিদ, বৃত্তিমূলক চিকিৎসাবিদ, দন্তচিকিৎসক, ধাত্রী, মনোবিজ্ঞানী, বা সহযোগী স্বাস্থ্য পেশায় সেবাদানকারী ব্যক্তিদেরকে স্বাস্থ্যসেবা পেশাজীবী হিসেবে গণ্য করা হয়। এছাড়া জনস্বাস্থ্য ও আঞ্চলিক স্বাস্থ্য বিষয়ে বিশেষজ্ঞদেরকেও স্বাস্থ্য পেশাজীবী হিসেবে গণনা করা হয়।

পেশাদার ক্ষেত্রসমূহ

সম্পাদনা
 
বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য ও সামাজিক সেবাকর্মীদের ৭০%-ই নারী, কিন্তু নারীরা বৈশ্বিক স্বাস্থ্যখাতের নেতৃস্থানীয় পদের মাত্র ৩০%-এর অধিকারী।

স্বাস্থ্য শ্রমশক্তি বা স্বাস্থ্য মানব সম্পদ শিরোনামের অধীনে বহু বিভিন্ন পেশা ও বৃত্তি অন্তর্ভুক্ত যারা কোনও না কোনও ধরনের স্বাস্থ্যপরিচর্যামূলক সেবা প্রদান করে থাকেন। এদের মধ্যে রোগীদেরকে সরাসরি সেবাপ্রদানকারী রোগীঘনিষ্ঠ স্বাস্থ্য পেশাজীবী আছেন, যেমন চিকিৎসক, শুশ্রূষা চর্চাবিদ, চিকিৎসকের সহকারী, বৃত্তিমূলক চিকিৎসাবিদ, শ্বসন চিকিৎসাবিদ, শারীরিক চিকিৎসাবিদ ও আচরণ চিকিৎসাবিদ। আরও আছেন সহযোগী স্বাস্থ্য পেশাজীবীগণ, যেমন সূচিপ্রয়োগবিদ, চিকিৎসা পরীক্ষাগার বিজ্ঞানী, পুষ্টিবিদ ও সমাজকর্মীগণ। তারা প্রায়শই হাসাপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও অন্যান্য সেবা বিতরণ কেন্দ্রে কাজ করেন এবং এর পাশাপাশি উচ্চশিক্ষায়তনিক প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও প্রশাসনিক কাজেও নিয়োজিত থাকতে পারেন। তাদের কেউ কেউ বেসরকারি সেবাসদনে রোগীদেরকে পরিচর্যা ও চিকিৎসা প্রদান করতে পারেন। বহু দেশে আনুষ্ঠানিক স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলির বাইরে বহুসংখ্য্যক এলাকাভিত্তিক স্বাস্থ্যকর্মী কাজ করে থাকেন। চিকিৎসা প্রশাসন ব্যবস্থাপক, চিকিৎসা তথ্য কারিগর ও অন্যান্য সনদবিহীন সহযোগী কর্মীবৃন্দ ও সহযোগী কর্মীদেরকেও স্বাস্থ্যসেবা শ্রমশক্তির গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে গণনা করা হয়।[]

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. World Health Organization, 2006. World Health Report 2006: working together for health. Geneva: WHO.

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা