স্পেশাল ফ্রন্টিয়ার ফোর্স

(স্পেশাল ফ্রণ্টিয়ার ফোর্স থেকে পুনর্নির্দেশিত)

স্পেশাল ফ্রণ্টিয়ার ফোর্স, এসএফএফ বা বিশেষ সীমান্তরক্ষী বাহিনী ভারতের সেনাবাহিনীর একটি অংশ। তিব্বতের সৈন্যদের নিয়ে এই সেনাদল গঠিত। ১৯৬২ সালে ভারতচীনের মধ্যকার যুদ্ধের পর এই বাহিনী তৈরি করা হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে এ দলটি ব্যাপক অবদান রাখে।[১]

বিশেষ সীমান্তরক্ষী বাহিনী
বিশেষ সীমান্ত বাহিনীর স্নো লায়ন ইনসিগনিয়া
দেশভারত
ধরনআধাসামরিক বাহিনী
ভূমিকাবিশেষ নজরদারি
সশস্ত্রাভিযান

যুদ্ধবন্দী মুক্তি
সন্ত্রাস-বিরোধ
পরম্পরাগত যুদ্ধ

গুপ্তাভিযান
আকার১০,০০০ সক্রিয় কর্মী
অংশীদার
সদরদপ্তরচকরতা, উত্তরাঞ্চল, ভারত
যুদ্ধসমূহ১৯৭১ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ
অপারেশন ব্লু স্টার
ক্যাকটাস অভিযান
অপারেশন পবন
কার্গিল যুদ্ধ
অপারেশন রক্ষক
বিমানবহর
হেলিকপ্টারএইচএএল চিতা
এইচএএল ল্যান্সার
কারগো হেলিকপ্টারএমআই-১৭ভি-৫
ইউটিলিটি হেলিকপ্টারএইচএএল ধ্রুব
এইচএএল চেতক
গোয়েন্দা বিমানআইএআই সার্চার II
আইএআই হিরন
ডিআরডিও রুস্তম
পরিবহন বিমানগল্ফস্ট্রিম III
আইএআই অস্ত্র ১১২৫

প্রতিষ্ঠা সম্পাদনা

১৯৬২ সালে ভারতের সাথে চীনের যুদ্ধের পর তিব্বতের কিছু যুবককে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যুক্ত করা হয় যাতে পরবর্তীতে যুদ্ধ বাঁধলে তাদের ব্যবহার করা যায়। উত্তর প্রদেশের চক্রাতায় এক ভারতীয় জেনারেলের অধীনে তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।[১]

মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ সম্পাদনা

১৯৭১ সালের অক্টোবর মাসে স্পেশাল ফ্রণ্টিয়ার ফোর্সের তিন হাজার যুবককে সীমান্তবর্তী দেমাগিরিতে জড়ো করা হয় ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি এএন-১২ বিমানে করে। তাদেরকে সীমান্তের অপর প্বার্শে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের পার্বত্য চট্টগ্রাম অংশে গেরিলা অপারেশন চালানোর নির্দেশ দেয়া হয়।

এসএফএফ-এর অবস্থানের বিপরীতে পাকিস্তানের স্পেশাল সার্ভিসেস গ্রুপের একটি ব্যাটালিয়ান ছিল যাদেরকে ভারতীয় বাহিনী তাদের ঢাকায় পাঠানো ইউনিটের জন্য হুমকিস্বরূপ মনে করে। তাই তাদের বিরুদ্ধে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে অপারেশন মাউন্টেইন ঈগল সূচনা করা হয়। ছোট নৌকা নিয়ে এসএফএফ-এর দলগুলো বাংলাদেশে প্রবেশ করে এবং বুলগেরিয়ার তৈরি রাইফেল হাতে অগ্রসর হয়। ক্রমশ তারা শত্রুপক্ষের সেনাচৌকিগুলো দখল করে নিতে থাকে এবং ১৬ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বন্দরের ৪০ কিলোমিটার দুরে অবস্থান গ্রহণ করে পাকিস্তানি ব্রিগেডের অগ্রসরতাকে প্রতিরোধ করে। যুদ্ধে এসএফএফের ৪৯ জন সৈন্য নিহত হন।[১]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. রায় চৌধুরী, দীপাঞ্জন (১৭ ডিসেম্বর ২০১৭), "মুক্তিযুদ্ধে তিব্বতী যুবকেরা", খোলা কলম, প্রথম আলো, পৃষ্ঠা ১১