স্নোটাউন হত্যাকাণ্ড

"স্নোটাউন" হত্যাকাণ্ড (ব্যারেল হত্যাকাণ্ডে মৃতদেহ নামেও পরিচিত) হল জন বান্টিং, রবার্ট ওয়াগনার ও জেমস ভ্লাসাকিস কর্তৃক ১৯৯২ সালের আগস্ট মাস থেকে ১৯৯৯ সালের মে মাসের মধ্যে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড ও এর আশেপাশে সংঘটিত একটি ধারাবাহিক হত্যাকাণ্ড। চতুর্থ ব্যক্তি মার্ক হেডন, মৃতদেহগুলি নিষ্পত্তি করতে সাহায্য করার জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল। এই বিচার অস্ট্রেলিয়ার আইনী ইতিহাসে দীর্ঘতম এবং সর্বাধিক প্রচারিত বিচার ছিল।

স্নোটাউনের একটি পরিত্যক্ত ব্যাঙ্ক ভল্টে বেশিরভাগ মৃতদেহ ব্যারেলের মধ্যে পাওয়া যায়, তাই সংবাদ মাধ্যম হত্যার জন্য এমন নামকরণ করেছিল। শুধুমাত্র একজন স্নোটাউনে নিহত হয়েছে, যা অ্যাডিলেড থেকে ১৪০ কিলোমিটার (৮৭ মাইল) উত্তরে, এবং বারোজন ভুক্তভুগী বা তিনজন অপরাধী কেউই শহরের বাসিন্দা ছিলেন না। যদিও হত্যার প্রেরণা অস্পষ্ট, তবুও হত্যাকারীদের নেতৃত্বে থাকা বান্টিং বিশ্বাস করে যে ভুক্তভোগীরা পেডোফাইল, সমকামী বা "দুর্বল" ছিল। কিছু ভুক্তভোগীর ক্ষেত্রে, খুনের আগে নির্যাতন করা হয়েছিল, এবং যথাযথ ভাবে ভুক্তভোগীদের পরিচয়, সামাজিক নিরাপত্তা প্রদান এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তৈরির প্রচেষ্টা করা হয়েছিল।

যদিও প্রাথমিকভাবে খুনের কুখ্যাতি স্নোটাউনে আসা পর্যটকদের কাছ থেকে একটি স্বল্পমেয়াদী অর্থনৈতিক উন্নতি এনেছিল, এটি শহরের একটি কলঙ্ক সৃষ্টি করেছিল, ফলে কর্তৃপক্ষ শহরের নাম এবং পরিচয় পরিবর্তনের কথা বিবেচনা করে।

তদন্ত সম্পাদনা

প্রাথমিকভাবে, ক্লিনটন ট্রেজিসের মৃতদেহ ১৯৯৪ সালে লোয়ার লাইটে পাওয়া যায়,[১] যদিও এই সময়ে বান্টিংয়ের সাথে কোন সংযোগ তৈরি করা হয়নি। একইভাবে, ১৯৯৭ সালে থমাস ট্রেভিলিয়ানের মৃত্যুকে প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল। এলিজাবেথ হেইডনের নিখোঁজের বিষয়ে পুলিশি তদন্তে নিয়োজিত ছিল যা অবশেষে তাদের স্নোটাউনে নিয়ে যায় এবং ১৯৯৯ সাকের ২০ মে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ান পুলিশ একটি অব্যবহৃত ব্যাঙ্কের ভল্টে ছয়টি প্লাস্টিকের ব্যারেলে আটজন নিহত ব্যক্তির দেহ খুঁজে পায়।[২] এই কারণে, হত্যাকাণ্ডগুলিকে "ব্যারেল হত্যাকাণ্ডের মৃতদেহ" নামে অভিহিত করা হয়েছিল।[৩]

মনে করা হয় যে ১৯৯৯ সালে স্নোটাউনে স্থানান্তরিত হওয়ার আগে মৃতদেহগুলি দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন স্থানে রাখা হয়েছিল। সরকারি আইনজীবীরা বিশ্বাস করেন যে চলমান পুলিশ তদন্ত সম্পর্কে অবগত হওয়ার পর হত্যাকারীরা মৃতদেহ সরিয়ে নিয়ে যায়। অ্যাডিলেডে বান্টিংয়ের বাড়ির পিছনের উঠানে আরও দুটি মৃতদেহ চাপা পড়ে থাকতে দেখা গেছে।[২] পুলিশ পরে হত্যাকাণ্ডের জন্য ১৯৯৯ সালের ২১শে মে বান্টিং, ওয়াগনার, ভ্লাসাকিস ও মার্ক হেডনকে গ্রেফতার করে এবং অভিযুক্ত করে। গ্রেফতারের সময়, ভ্লাসাকিস বান্টিংয়ের বাড়িতে থাকতেন।[১]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Newton, Michael (১ জানুয়ারি ২০০৬)। The Encyclopedia of Serial Killers। Infobase Publishing। 242–244। আইএসবিএন 9780816069873। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০১৪ 
  2. Debelle, Penelope (৯ সেপ্টেম্বর ২০০৩)। "Sadists get life"The Age। Melbourne। সংগ্রহের তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০১৪ 
  3. "Bodies-in-barrels trial not over"The Sydney Morning HeraldAAP। ১৯ ডিসেম্বর ২০০৪। সংগ্রহের তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০১৪