স্কন্ধ (জৈন দর্শন)
স্কন্ধ (সংস্কৃত: स्कन्ध) হলো জৈন দার্শনিক ধারণায় পরমাণুর সংমিশ্রণ। জৈন দর্শনে দ্রব্য ও আত্মার জোট স্কন্ধের পরিবর্তে বন্ধ হিসাবে বিবেচিত।
জৈন দর্শনে এটি পুদ্গলের দুটি অংশের একটি, অন্যটি হলো পরমাণু।[১][২]
প্রকারভেদ
সম্পাদনানিয়মসার অনুসারে স্কন্ধ ছয় প্রকার: স্থূল-স্থূল, স্থূল, স্থূল-সূক্ষ্ম, সূক্ষ্ম-স্থূল, সূক্ষ্ম ও সূক্ষ্ম-সূক্ষ্ম।[৩]
- স্থূল-স্থূল: কঠিন পদার্থ, যেমন পাথর এবং কাঠ, যা ভেঙে গেলে আবার নিজেদের মধ্যে একত্রিত হতে পারে না।
- স্থূল: দুধ, জল, ইত্যাদি আলাদা করা কিন্তু কোন সাহায্য ছাড়াই একত্রিত হতে পারে।
- স্থূল-সূক্ষ্ম: সূর্যের আলো, ছায়া, চন্দ্রের আলো, অন্ধকার ইত্যাদি কেউ তাদের বিভক্ত করতে সক্ষম নয়। কেউ তাদের হাত দিয়ে ধরতে পারছে না।
- সূক্ষ্ম স্থূল: স্পর্শ, স্বাদ, ঘ্রাণ ও শ্রবণ এই চারটি ইন্দ্রিয়ের বস্তুগুলি ত্বক, জিহ্বা, নাক ও কান দ্বারা পরিচিত হলেও চোখ দ্বারা উপলব্ধি করা যায় না এবং সে কারণেই তারা প্রকৃতিতে সূক্ষ্ম স্থূল। .
- সূক্ষ্ম: কর্মের বস্তুকণাগুলি প্রকৃতিতে সূক্ষ্ম এবং কোনো শারীরিক ইন্দ্রিয় দ্বারা উপলব্ধি করা যায় না।
- সূক্ষ্ম-সূক্ষ্ম: কর্মের চেয়ে সূক্ষ্ম কণা প্রকৃতিতে অত্যন্ত সূক্ষ্ম। তারা কর্ম কণা থেকে সূক্ষ্ম হয়.
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ (WebMaster), Pandit Gopaldasji Baraiya, Rajesh Shah। "Principles of Jainism (Laghu Jain Siddhant Praveshika) in a concise form"। www.atmadharma.com।
- ↑ Glasenapp, Helmuth von (৪ সেপ্টেম্বর ১৯৯৯)। Jainism: An Indian Religion of Salvation। Motilal Banarsidass। আইএসবিএন 9788120813762 – Google Books-এর মাধ্যমে।
- ↑ Niyamsara, ১৯৩১, পৃষ্ঠা 27
জৈনধর্ম বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |