সোনালি পাতা
সোনালী পাতা হচ্ছে এমন একপরকার সোনা যেটি পাতলা শীটে হাতুড়িপেটানো করে কাগজের মত বানানো হয়। এটি মোড়ানোর কাজে ব্যবহৃত হয়। সোনালী পাতা বিভিন্ন ক্যারেট ও শেড আকারে পাওয়া যায়। বেশি পাওয়া যায় ২২-ক্যারেট হলুদ সোনায়।
সোনালী পাতা হচ্ছে এক ধরনের ধাতব পাতা যেখানে খুব কমই সোনা ব্যবহৃত হয়।
সোনালী পাতা দিয়ে কোন তলকে মোড়ানো হলে সেটিকে স্বর্ণ পৃষ্ঠায়ন বলে। ঐতিহ্যগতভাবে পানি মোড়ানো সবচে কঠিন ও সর্বগণ্য স্বর্ণপৃষ্ঠায়ণ হিসেবে খ্যাত।[১]
কলা শিল্পে
সম্পাদনাসোনালী পাতা কলা শিল্পে ব্যাপক ভাবে ব্যবহৃত হয়। ইউরোপীয় ব্রোঞ্জ যুগ থেকেই এটি বিভিন্ন সংস্কৃতিতে মিশে গেছে। বিভিন্ন সময়ে এটি জুয়েলারীতেও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
সোনালী পাতা ঐতিহ্যগতভাবে বেশি জনপ্রিয় কলা শিল্পে (ভাস্কর্য ও পুর্বাঞ্চলীয় খ্রিস্ট প্রতিমূর্তি নির্মাণে) ও ছবির ফ্রেমে । তাছাড়া এগুলো জুয়েলারীতেও ব্যবহৃত হয়। বৌদ্ধ কলা শিল্পেও সোনালী পাতার ব্যবহার লক্ষণীয়।
স্থাপত্য শিল্পে
সম্পাদনাপ্রচাঈন যুগের মন্দির থেকে শুরু করে আধুনিক মন্দিরগুলোতে সৌন্দর্যবর্ধক হিসেবে সোনালী পাতা ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
প্রাচীন ব্যাসিলিকা মন্দিরের অন্তসজ্জা সোনালী পাতা দ্বারা আচ্ছাদিত। এ থেকেই স্থাপত্যশিল্পে সোনালী পাতার ব্যবহার কাল অনুমান করা যায়।
রন্ধনশিল্পে ব্যবহার
সম্পাদনাসোনালীপাতা (ধাতব পাতা ভার্ক সহ) মাঝেমাঝে খাবার, পানিয় সাজানোতে ব্যবহৃত হয় যাতে এর দাম ও চাকচিক্য বেড়ে যায়। যদিও এটির ঘ্রাণ নেই তবু এটি মিষ্টান্ন সহ চকোলেট, মধু ও মিঠাই মোড়তে ও পরিবেশন করতে ব্যবহৃত হয় ভারতে। খাবার পাত্রেও এটি দিয়ে খাবার ঢাকতে ব্যবহৃত হয়।
ইউরোপে পানীয়র বোতল সোনালীপাতা দিয়ে মোড়ানো হয়। ১৬শতকের শেষের দিক থেকে এটি এখনো চলে আসছে।[৩]
আরো দেখুন
সম্পাদনা- মোজাইক সোনা
- টিন সালফাইড
- রোলিং কাগজ
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Survey of London: Volumes 29 and 30, St James Westminster, Part 1", British History Online, ১৯৬০, সংগ্রহের তারিখ ৯ এপ্রিল ২০১৫
- ↑ Library of Parliament। "The War Paintings in the Senate Chamber > Foreword"। Queen's Printer for Canada। ২০০৯-০৮-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০১-০১।
- ↑ http://www.city.kanazawa.ishikawa.jp/dentou_e/way/tea/try/trye.html