সেফালোথোরাক্স বা প্রোসোমা হল কিছু বিশেষ প্রজাতির আর্থ্রোপডদের ট্যাগমা যা মস্তক ও থোরাক্স এর মিলিত রূপ ও উদরের অগ্রভাগে অবস্থান করে। [১] (কিছু প্রজাতির ক্ষেত্রে সেফালোথোরাক্সের পরিবর্তে প্রোসোমা এবং উদরের পরিবর্তে ওপিসথোসোমা ব্যবহৃত হয়।)

ম্যাল্যাস্ট্রাকান প্রজাতির একটি প্রাণীর দৈহিক নকশা, এখানে সেফালোথোরাক্স(সেফালোন ও থোরাক্স হলুদ রঙে চিহ্নিত

সেফালোথোরাক্স শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ মস্তক(κεφαλή, kephalé) এবং বক্ষ (θώραξ, thórax) থেকে।[২] বলাবাহুল্য যে মস্তকের সঙ্গে বক্ষের এই প্রকার একীকরণ কেবল মাত্র কেলিকের‍্যাট এবং ক্রাস্টাশিয়ানদের মধ্যে পরিলক্ষিত হয় অন্যান্য ষটপদীদের ( পতঙ্গদের নিয়ে) মস্তক ও বক্ষ আলাদা হয়।[১] লিমুলাস এবং কিছু ক্রাস্টাশিয়ানদের সেফালোথোরাক্স ক্যারাপেস নামক আবরণ দ্বারা আবৃত থাকে।[৩]

অ্যারাকনিড শরীরস্থান সম্পাদনা

ফোভিয়া সম্পাদনা

ফোভিয়া হল সেফালোথোরাক্সের মধ্যভাগ যা মস্তক(সেফালোন)-এর পিছনে অবস্থান করে।(কেবল মাত্র মাকড়সাদের ক্ষেত্রে) [৪] এটি চিহ্নিতকরণে গুরুত্ত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি তীর্যক বা অগ্র তীর্যক প্রকৃতির হয়ে থাকে [৫] এবং কিছু টারান্টুলার (যেমন - সেরাটোগাইরাস ডারলিঙ্গি ) "শৃঙ্গ" যুক্ত হতে পারে৷ [৬]

স্লিপিয়াস সম্পাদনা

স্লিপিয়াস হল সেফালোথোরাক্স এবং অকুলেরিয়ামের মধ্যবর্তী অংশ৷ এটি বেশির ভাগ অ্যারাকনিডের মধ্যেই পরিলক্ষিত হয়৷ [৫] অমেরুদন্ডীদের মধ্যে এটি লাব্রাম ও মুখমন্ডলের মাঝে অবস্থান করে।

অকুলেরিয়াম সম্পাদনা

বেশির অমেরুদন্ডীদের মধ্যে অকুলেরিয়াম হল অকেলি ধারণকারী অঙ্গ।[৭] হারভেস্টম্যানদের শরীরে এটি কাঁটা দ্বারা সজ্জিত থাকে।[৮]

ট্ৰাইডেন্ট সম্পাদনা

ট্রাইডেন্ট হল হারভেস্টম্যানদের মধ্যে পরিলক্ষিত তিনটি কন্টক সজ্জা৷ এটি অকুলেরিয়ামের অগ্রে অবস্থান করে। এর আকৃতি প্ৰজাতির ভিন্নতায় বিভিন্ন হয়৷ কোনো কোনো প্রজাতিতে এটি থাকেই না, আবার কোনো প্ৰজাতিতে এটি বিশাল আকার ধারণ করে।[৮]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Eldra Pearl Solomon, Linda R. Berg & Diana W. Martin (২০০৪)। "The animal kingdom: an introduction to animal diversity"Biology (7th সংস্করণ)। Cengage Learning। পৃষ্ঠা 534–549। আইএসবিএন 978-0-534-49276-2 
  2. Timothy J. Gibb & C. Y. Oseto (২০০৬)। "Glossary"Arthropod Collection and Identification: Field and Laboratory TechniquesAcademic Pressআইএসবিএন 978-0-12-369545-1 
  3. Andrew J. Martinez (২০০৩)। "Arthropoda (crabs, shrimps, lobsters)"Marine Life of the North Atlantic: Canada to New England (3rd সংস্করণ)। Aqua Quest Publications। পৃষ্ঠা 144–175। আইএসবিএন 978-1-881652-32-8 
  4. Dalton, Steve (2008). Spiders; The Ultimate Predators. A & C Black, London. P.p. 19. আইএসবিএন ৯৭৮১৪০৮১০৬৯৭৬.
  5. Smith, A. M. (1990c). Baboon spiders: Tarantulas of Africa and the Middle East. Fitzgerald Publishing, London, pp. 138. Retrieved February 13, 2016.
  6. Gallon, R.C. (২০০৮)। "On some poorly known African Harpactirinae, with notes on Avicuscodra arabica Strand, 1908 and Scodra pachypoda Strand, 1908 (Araneae, Theraphosidae)"। Bulletin of the British Arachnological Society14: 238। 
  7. Spiders... ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৮ নভেম্বর ২০২১ তারিখে Yorkshire Naturalists' Union. Retrieved February 13, 2016.
  8. Sankey, John & Savory, Theodore. British Harvestmen. Academic Press. P.p. 1-75. আইএসবিএন ০১২৬১৯০৫০X.