সূর্য মিসাইল (' সূর্য ') ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা দ্বারা তৈরি করা একটি অনুমান করা আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র । এর পরিচালন পরিসীমা ১৬,০০০ কি.মি অতিক্রম করার ক্ষমতা যা সমগ্র পৃথিবী জুড়ে এটি যে কোন জায়গায় পৌঁছাতে সক্ষম।

সূর্য মিসাইল
প্রকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল[১]
উদ্ভাবনকারী ভারত
ব্যবহার ইতিহাস
ব্যবহারকারী ভারতীয় সামরিক বাহিনী
উৎপাদন ইতিহাস
নকশাকারী ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডি.আর.ডি.ও)
উৎপাদনকারী ভার‍ত ডাইনামিকস লিমিটেড
তথ্যাবলি
ওজন ~৭০,০০০ কে.জি

ওয়ারহেড ৩-১০ এমআইআরভি ৭৫০ কিলোটন ওয়ারহেড অথবা ৪-৫মেগাটন সিঙ্গেল ওয়ারহেড[২]
বিস্ফোরণের ফলন ৭৫০ কিলোটন - ৫ মেগাটন

ইঞ্জিন দ্বিতীয় স্টেজ সলিড রকেট + তৃতীয় স্টেজ সলিড/লিক্যুইড রকেট
প্রপেল্যান্ট সলিড ফুয়েল এবং লিক্যুইড ফুয়েল
অপারেশনাল
রেঞ্জ
~১২,০০০-১৬,০০০ কি.মি[১]
গতিবেগ মাক ২৭ (৩৩,১০০ কি.মি/ঘন্টা)
লঞ্চ
প্লাটফর্ম
টিইএল , মিসাইল লঞ্চ ফ্যাসিলিটি

ইতিহাস সম্পাদনা

১৯৯৫ সালের দ্য ননপ্রলিফারেশন রিভিউ-তে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে, "সূর্য" হলো আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলির একটির কোডনেম যা ভারত উন্নয়ন করছে বলে জানা গেছে, কিন্তু ভারতের কাছ থেকে এর কোনও রকম আনুষ্ঠানিক বিবৃতি পাওয়া যায় নি।[৩] ডিআরডিও ১৯৯৪ সালে প্রকল্পটি শুরু করেছিল বলে মনে করা হয়। এই প্রতিবেদনটি ২০১০ সাল পর্যন্ত অন্য কোনো সূত্র দ্বারা নিশ্চিত করা হয়নি।[৪]

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সূর্য একটি আন্তঃমহাদেশীয়-রেঞ্জ, পৃষ্ঠ-ভিত্তিক, কঠিন এবং তরল প্রোপেলান্ট ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। প্রতিবেদনে যোগ করা হয়েছে যে সূর্য ভারতের ইন্টিগ্রেটেড গাইডেড মিসাইল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী প্রকল্প। সূর্য ক্ষেপণাস্ত্র তার ক্ষমতার কারণে প্রকৃতিতে আরও কৌশলগত এবং এইভাবে শত্রুকে পারস্পরিকভাবে নিশ্চিত ধ্বংস করে দিতে পারে। সূর্যের ১২,০০০ - ১৬,০০০ কিলোমিটারেরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলক চালানোর সক্ষমতা রয়েছে বলে অনুমান করা হয়, যা বিশ্বের প্রায় সমস্ত বড় দেশকে এর পরিসরে নিয়ে আসে।[৫][১]

বলা হয় যে এটির একটি তিন-পর্যায়ের নকশা রয়েছে, প্রথম দুটি ধাপে কঠিন প্রোপেল্যান্ট ব্যবহার করা হয়েছে এবং তৃতীয় পর্যায়ে তরল ব্যবহার করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল (PSLV) থেকে ধার করা হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।[৪]

উন্নয়ন সম্পাদনা

অনেকর ধারণা মতে ভারতের এই "সূর্য" মিসাইল অগ্নি-৬ মিসাইলের কোডে তৈরি করা হবে। যা ভারতের অন্যান্য ব্যালিস্টিক মিসাইল গুলোর মধ্যে এটি সব চেয়ে ঘাতক অস্ত্রে রূপ নেবে।[৬]

সম্ভাব্য বৈশিষ্ট্যসমূহ সম্পাদনা

  • প্রকার: আইসিবিএম (ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল)
  • ধরণ: ভূমি ভিত্তিক, গভীর সমুদ্র ভিত্তিক (কিছু কৌশলগত অঞ্চলে) এবং সাবমেরিন ভিত্তিক প্রায় ১৬,০০০ কি.মি এর মধ্যে যে কোন জায়গায় আঘাত হানতে সক্ষম। 
  • দৈর্ঘ্য: ৪০.০০ মি.
  • ব্যাস: ১.১ মি.
  • উৎক্ষেপনের ওজন: ৭০,০০০ কে.জি
  • মিসাইলের চালনা: প্রথম/সেকেন্ড স্টেজ সলিড, তৃতীয় লিক্যুইড
  • পরমাণু অস্ত্র বহন ক্ষমতা: ৩ - ১০ তাপ-পারমাণবিক(হাইড্রোজেন বোমা) ওয়ারহেড অথবা ৪-৫ মেগাটন সিঙ্গেল ওয়ারহেড।
  • অবস্থা: গোপনীয় বা অজানা
  • মিসাইলের সংখ্যা: গোপনীয় বা অজানা
  • মিসাইল যুক্ত: অজানা

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Missile impossible: why the Agni-V falls short"। rbth। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুলাই ২০১৫ 
  2. N. Madhuprasad (২৫ আগস্ট ২০০৫)। "Boost to Indian Armed Forces' Deterrence Arsenal; India to Develop Intercontinental Ballistic Missile"। Bangalore Deccan Herald। 
  3. Surya ICBM. Retrieved 14 June 2007.
  4. "Is India developing a 12,000 km range missile – Surya?" (পিডিএফ)। ২০১৭-১১-১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৭-০৫ 
  5. "Surya – India Missile Special Weapons Delivery Systems"। Federation of American Scientists। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৮-৩১ 
  6. "Stage set for longer range Surya"The New Indian Express। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-২৫ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

  • Richard Speier (মার্চ ২০০৬)। "U.S. Space Aid to India: On a "Glide Path" to ICBM Trouble?"Arms Control Association। ২০ সেপ্টেম্বর ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ এপ্রিল ২০২৪ 

টেমপ্লেট:Indian missiles টেমপ্লেট:Defence Research and Development Organisation