সুরাইয়া মুলতানিকার

পাকিস্তানী গায়িকা

সুরাইয়া মুলতানিকার (উর্দু: ثُریّا مُلتانِیکر‎‎; জন্ম ১৯৪০) মুলতানে জন্মগ্রহণকারী একজন পাকিস্তানি গায়িকা। তিনি তার লোকগানের জন্য সবচেয়ে পরিচিত। তিনি ধ্রুপদী, অর্ধ-ধ্রুপদী, গজল, লোকসঙ্গীত এবং চলচ্চিত্রের গানসহ বিভিন্ন ধারার গান গেয়েছেন।[১]

সুরাইয়া মুলতানিকার
ঢাকায় সুরাইয়া মুলতানিকার (১৯৫৮)
জন্ম
সুরাইয়া মুলতানিকার

১৯৪০[১]
পেশালোক গায়িক, নেপথ্য গায়িকা, কণ্ঠশিল্পী
কর্মজীবন১৯৫৫-বর্তমান
সন্তানমুহাম্মদ আলী (যুক্তরাজ্য ভিত্তিক অর্থোপেডিক ডাক্তার)
রুকায়া সাজ্জাদ
রমজান আলী
শায়েস্তা
রাবিয়া
আলিয়া
রাহাত বানো (রাহাত মুলতানিকার)

প্রাথমিক জীবন এবং পরিবার সম্পাদনা

শৈশব থেকেই তার ইচ্ছা ছিল গায়িকা হিসেবে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করার। এই ব্যাপারে শিক্ষা দিতে তার পরিবারে কেউ ছিল না। যার কারণে শৈশবে তিনি নিজে নিজে চলচ্চিত্রের গান শুনে এবং সেগুলির কথা ও সুর অনুকরণ করে গান শিখেছেন। পরবর্তীতে তিনি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের দিল্লি ঘরানার গুলাম নবি খানের শিষ্য হন।[১][২]

মুলতানিকারের ৭ জন সন্তান রয়েছে (সবচেয়ে বয়স্ক থেকে সর্বকনিষ্ঠ): মুহাম্মদ আলী, যুক্তরাজ্য ভিত্তিক অর্থোপেডিক ডাক্তার; রুকাইয়া সাজ্জাদ; রমজান আলী, শায়েস্তা, রাবিয়া, আলিয়া এবং রাহাত বানো। তার কনিষ্ঠ কন্যা রাহাত মুলতানিকারও তার মায়ের মত লোকসঙ্গীত শিল্পী।[৩][৪]

কর্মজীবন সম্পাদনা

রেডিও পাকিস্তান সম্পাদনা

১৫ বছর বয়সে তিনি রেডিওতে গান গান। তার গানটি ছিল পাকিস্তানি সুরকার নিয়াজ হোসেন শামি ও আব্দুল হক কুরেশির সুরোপিত।[৩][৪] কর্মজীবনে তিনি রোশন আরা বেগম, শাম চৌরাসিয়া ঘরানার উস্তাদ সালামাত আলী খান, পাতিয়ালা ঘরানার বড়ে ফতেহ আলী খান এবং মেহেদী হাসানের কাজ দেখে অনুপ্রাণিত হন।[৪]

চলচ্চিত্র শিল্প সম্পাদনা

নেপথ্য গায়িকা হিসেবে মুলতানিকারের কর্মজীবন স্বল্পস্থায়ী ছিল। তিনি "বারে বে মুরাওওয়াত হায় ইয়ে হুসেন ওয়ালায়, কাহিন দিল লাগানি কি কোশিশ না কর্ণ" গানটির জন্য ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান, গানটি লিখেছিলেন মাসরুর আনোয়ার। গানটি পাকিস্তানি চলচ্চিত্র বাদনামে (১৯৬৬) ব্যবহৃত হয়েছিল।[২][৩]

পুরস্কার সম্পাদনা

  • ১৯৫৯: সোনালী পুরস্কার
  • ১৯৬০: চাট্টা গাং পুরস্কার
  • ১৯৬৪: নিগার পুরস্কার
  • ১৯৭৫-১৯৮০: গুলাম ফরিদ পুরস্কার
  • ১৯৮২ জাশন-ই-ফরিদ পুরস্কার
  • ১৯৮১-১৯৮২ শের-ই-মাশরিক পুরস্কার
  • ১৯৮৬ প্রাইড অফ পারফরম্যান্স পুরস্কার[১]
  • ২০০০: শাহবাজ পুরস্কার
  • ২০০২ গুলাম ফরিদ পুরস্কার
  • ২০০৮ পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক সিতারা-ই-ইমতিয়াজ পুরস্কার

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. সুরাইয়া মুলতানিকরের প্রোফাইল, দ্য ফ্রাইডে টাইমস (সংবাদপত্র) জুলকারনাইনের অডিও আর্কাইভ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪, সংগৃহীত ১৮ জুন ২০১৮।
  2. আমেল ঘনি (১৪ ডিসেম্বর ২০১৫)। "Suraiya Multanikar: From a stubborn child to a celebrated singer"। দ্যা এক্সপ্রেস ট্রিবিউন (সংবাদপত্র)। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১৮ 
  3. Alhamra organizes Kuch Yaadain Kuch Baatain for legendary singers to interact with fans ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে। ডেইলি টাইমস (সংবাদপত্র)। ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, সংগৃহীত ২৬ জুন ২০২০
  4. আদনান লোধি (৩১ মে ২০১৫)। "Taking the craft forward"। দ্যা এক্সপ্রেস ট্রিবিউন (সংবাদপত্র)। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুন ২০১৮