সুভা দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র ফিজির রাজধানী, বৃহত্তম শহর, প্রধান বন্দর এবং বাণিজ্যিক কেন্দ্র। প্রশাসনিকভাবে শহরটি ফিজির রেওয়া প্রদেশের কেন্দ্রীয় বিভাগে অবস্থিত। মূল সুভা শহরে প্রায় ৮৮ হাজার লোকের বাস। বৃহত্তর সুভা পৌর এলাকার আয়তন ২০৪৭ বর্গকিলোমিটার এবং এখানে ১ লক্ষ ৭৬ হাজার লোকের বাস। এছাড়া সুভা পার্শ্ববর্তী লামি, নাসিনু ও নাউসোরি শহরতলীগুলির সাথে একত্রে যে পৌর এলাকাটি গঠন করেছে, তার মোট জনসংখ্যা ৩ লক্ষ ৩০ হাজার, যা সমগ্র ফিজির জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি।

সুভা
Suva / सुवा
ফিজির রাজধানী শহর
সুভার কেন্দ্রীয় বাণিজ্যিক এলাকা
সুভার কেন্দ্রীয় বাণিজ্যিক এলাকা
নীতিবাক্য: ভালাতাকা না দিনা (অধিকারের জন্য লড়ো)
ফিজিতে সুভার অবস্থান
ফিজিতে সুভার অবস্থান
দেশফিজি ফিজি
দ্বীপভিতি লেভু
বিভাগকেন্দ্রীয় বিভাগ
সরকার
 • ধরনসুভা নগর পরিষদ
আয়তন
 • শহর২,০৪৮ বর্গকিমি (৭৯০.৫ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০০৯)
 • শহর৮৮,২৭১
 • জনঘনত্ব৪৩/বর্গকিমি (১১০/বর্গমাইল)
 • পৌর এলাকা১,৭৫,৩৯৯
সময় অঞ্চল1200 GMT (ইউটিসি+12)
ওয়েবসাইটwww.suvacity.org

ভূগোল ও জলবায়ু

সম্পাদনা

ভৌগোলিকভাবে সুভা শহরটি ফিজির দ্বীপপুঞ্জের প্রধান দ্বীপ ভিতি লেভুর দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে একটি সাগরে প্রবেশকারী সরু উপদ্বীপের উপরে অবস্থিত, যার নাম সুভা বিন্দু; এর পূর্বদিকে রেওয়া নদীর মোহনা ও লাউকালা উপসাগর এবং পশ্চিমদিকে সুভা পোতাশ্রয়।

কোপ্পেন জলবায়ু শ্রেণীকরণ ব্যবস্থা অনুযায়ী সুভার জলবায়ু ক্রান্তীয় অতিবৃষ্টি অরণ্য প্রকৃতির। সুভাতে বছরের ১২ মাস ধরেই বৃষ্টিপাত হয়, যার গড় পরিমাণ বাৎসরিক ৩০০০ মিলিমিটার। জুন মাস সবচেয়ে শুষ্ক হলেও সে সময় ১২৫ মিমি বৃষ্টিপাত হয়। তাপমাত্রা মোটামুটি অপরিবর্তনশীল; গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং গড় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা প্রায় ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।[]

সুভা, ফিজি (১৯৭১-২০০০)-এর আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য
মাস জানু ফেব্রু মার্চ এপ্রিল মে জুন জুলাই আগস্ট সেপ্টে অক্টো নভে ডিসে বছর
সর্বোচ্চ রেকর্ড °সে (°ফা) ৩৫.০
(৯৫.০)
৩৬.০
(৯৬.৮)
৩৭.০
(৯৮.৬)
৩৪.০
(৯৩.২)
৩৪.০
(৯৩.২)
৩২.০
(৮৯.৬)
৩২.০
(৮৯.৬)
৩২.০
(৮৯.৬)
৩২.০
(৮৯.৬)
৩৪.০
(৯৩.২)
৩৪.০
(৯৩.২)
৩৬.০
(৯৬.৮)
৩৭.০
(৯৮.৬)
সর্বোচ্চ গড় °সে (°ফা) ৩০.৮
(৮৭.৪)
৩১.২
(৮৮.২)
৩০.৯
(৮৭.৬)
২৯.৯
(৮৫.৮)
২৮.৫
(৮৩.৩)
২৭.৭
(৮১.৯)
২৬.৮
(৮০.২)
২৬.৭
(৮০.১)
২৭.২
(৮১.০)
২৮.২
(৮২.৮)
২৯.৩
(৮৪.৭)
৩০.৩
(৮৬.৫)
২৮.৯
(৮৪.০)
দৈনিক গড় °সে (°ফা) ২৭.৪
(৮১.৩)
২৭.৬
(৮১.৭)
২৬.৪
(৭৯.৫)
২৬.৬
(৭৯.৯)
২৫.৪
(৭৭.৭)
২৪.৬
(৭৬.৩)
২৩.৮
(৭৪.৮)
২৩.৭
(৭৪.৭)
২৪.১
(৭৫.৪)
২৫.১
(৭৭.২)
২৬.১
(৭৯.০)
২৬.৯
(৮০.৪)
২৫.৬
(৭৮.২)
সর্বনিম্ন গড় °সে (°ফা) ২৩.৯
(৭৫.০)
২৪.০
(৭৫.২)
২৩.৯
(৭৫.০)
২৩.৩
(৭৩.৯)
২২.২
(৭২.০)
২১.৪
(৭০.৫)
২০.৭
(৬৯.৩)
২০.৭
(৬৯.৩)
২১.০
(৬৯.৮)
২১.৯
(৭১.৪)
২২.৮
(৭৩.০)
২৩.৫
(৭৪.৩)
২২.৪
(৭২.৩)
সর্বনিম্ন রেকর্ড °সে (°ফা) ১৯.০
(৬৬.২)
১৯.০
(৬৬.২)
১৯.০
(৬৬.২)
১৬.০
(৬০.৮)
১৬.০
(৬০.৮)
১৪.০
(৫৭.২)
১৩.০
(৫৫.৪)
১৪.০
(৫৭.২)
১৪.০
(৫৭.২)
১৪.০
(৫৭.২)
১৩.০
(৫৫.৪)
১৭.০
(৬২.৬)
১৩.০
(৫৫.৪)
বৃষ্টিপাতের গড় মিমি (ইঞ্চি) ৩৭১
(১৪.৬)
২৬৫
(১০.৪)
৩৭৪
(১৪.৭)
৩৬৬
(১৪.৪)
২৭০
(১০.৬)
১৬৩
(৬.৪)
১৩৬
(৫.৪)
১৫৮
(৬.২)
১৭৭
(৭.০)
২২১
(৮.৭)
২৪৫
(৯.৬)
২৭৭
(১০.৯)
৩,০২৩
(১১৯.০)
অধঃক্ষেপণ দিনগুলির গড় ২৩ ২২ ২৪ ২৩ ২১ ১৮ ১৯ ১৮ ১৭ ১৯ ১৯ ২২ ২৪৫
উৎস: http://www.met.gov.fj/ClimateofFiji.pdf

অর্থনীতি ও পরিবহন

সম্পাদনা

শহরটি সড়কপথে ও আকাশপথে ২১০ কিলোমিটার পশ্চিমে নাদি (নান্দি) শহরের সাথে সংযুক্ত। নাদিতে একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আছে। সুভার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে পর্যটন অন্যতম। ক্রান্তীয় ভূদৃশ্যাবলি, শুল্কহীন কেনাকাটা এবং ব্যতিক্রমী সব হোটেলের কারণে এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক সুভায় ভ্রমণ করতে আসে। স্থানীয় শ্রমশক্তি একটি উল্লেখযোগ্য অংশ পর্যটন খাতের সাথে জড়িত। এছাড়া সুভাতে হালকা শিল্প যেমন সিগারেট, সাবান, বস্ত্র, নারকেলের শুকানো শাঁস, তন্দুরীতে রান্না, ও মদ চোলাইকরণের কারখানা আছে। এখান থেকে স্বর্ণ, চিনি ও প্রক্রিয়াজাত কাঠ রপ্তানি করা হয়। সরকার সবচেয়ে বড় কর্মনিয়োগদাতা।

সুভার পোতাশ্রয়টির সেবার মান উৎকৃষ্ট। প্রশান্ত মহাসাগর অতিক্রমকারী মালবাহী জাহাজগুলি এবং প্রশান্ত মহাসাগরের প্রমোদজাহাজগুলি যে প্রধান বন্দরগুলিতে বিরতি নেয়, তার মধ্যে সুভা বন্দর অন্যতম।

জনতত্ত্ব

সম্পাদনা

বর্তমানে সুভাতে সমসংখ্যায় ভারতীয় ও আদিবাসী বংশোদ্ভূত ফিজীয় লোকের বাস। আদিবাসী ও ভারতীয়-বংশোদ্ভূত সম্প্রদায়ের মধ্যে দীর্ঘকালীন টানাপোড়েন চলছে। মূলত ব্রিটিশরা ১৯শ শতকের শেষভাগ থেকে ২০শ শতকের প্রথমভাগ পর্যন্ত ভারত থেকে যে শ্রমিকদেরকে নিয়ে আসে, সুভার বর্তমান ভারতীয় বংশোদ্ভূত সম্প্রদায়টি তাদেরই বংশধর। সম্প্রদায় দুইটি সুভার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক শক্তির কর্তৃত্ব নিয়ে দ্বন্দ্বে লিপ্ত; মাঝে মাঝে এদের মধ্যে সহিংস সংঘাতেরও ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও সুভাতে ফিজির সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সিংহভাগ বাস করে; এদের মধ্যে শ্বেতাঙ্গ (স্থানীয় ভাষাতে যাদেরকে কাইভালাগি নামে ডাকা হয়), মিশ্র ইউরোপীয়-ফিজি আদিবাসী, ও চীনা সম্প্রদায় উল্লেখযোগ্য। সুভার সবচেয়ে বেশি প্রচলিত ভাষা ইংরেজি হলেও ফিজীয় ভাষা, হিন্দুস্তানি বা হিন্দি ভাষা, ক্যান্টনীয় ভাষা এবং অন্যান্য ভারতীয় ভাষাও সম্প্রদায়ভেদে প্রচলিত।

ইতিহাস

সম্পাদনা

খ্রিস্টপূর্ব ১০০০ অব্দের দিকে সুভাতে প্রথম মানব বসতি স্থাপিত হয়। আদি সুভাবাসীরা বাগান চাষ করত ও গৃহপালিত পশুপালন করত; তারা মৃৎশিল্পে পারদর্শী ছিল। ইউরোপীয়দের মধ্যে ১৭শ শতকে ওলন্দাজ অভিযাত্রীরা সর্বপ্রথম দ্বীপগুলি আবিষ্কার করে। ইউরোপীয়রা এখানে নারিকেল, তুলা ও চিনির বাগান বা প্ল্যান্টেশন স্থাপন করে। ১৮৪৯ সালে সুভা শহরটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৭৪ সালে ব্রিটিশরা সুভা বন্দরের সুবিধা ভোগ করা জন্য দ্বীপটি দখল করে নেয়। ১৮৮২ সালে সুভা ফিজির ঔপনিবেশিক রাজধানীতে পরিণত হয়। ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় (১৯৩৯-১৯৪৫) সুভা মিত্রশক্তির নৌ ও বিমানবাহিনীর জন্য একটি অগ্রবর্তী ঘাঁটি হিসেবে কাজ করত। ১৯৫২ সালে এটিকে শহরের মর্যাদা দেওয়া হয়। ১৯৭০ সালের ১০ই অক্টোবর ব্রিটিশ ফিজি দ্বীপপুঞ্জের নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দিলে সুভা স্বাধীন ফিজির রাজধানীতে পরিণত হয়। ১৯৮৭ সালে সুভাতে সংঘটিত একটি কু-এর কারণে ফিজিকে কমনওয়েলথ অফ নেশনস থেকে বহিস্কার করা হয়।

শহরের বিবরণ

সম্পাদনা

বৃহত্তর সুভা শহরটি ছয়টি প্রশাসনিক এলাকা বা ওয়ার্ডে বিভক্ত। এগুলি হলো মূল সুভা শহর (শহরকেন্দ্র ও বাণিজ্যিক এলাকা), তামাভুয়া (আবাসিক পৌর এলাকা), এক্সটেনশন (আধা-পৌর ও আবাসিক এলাকা), সামাবুলা (পৌর, আবাসিক ও শিল্প এলাকা যার নিজস্ব শহরকেন্দ্র আছে), মুয়ানিকাউ (আবাসিক পৌর এলাকা যাতে অনেক বড় বড় ক্রীড়াক্ষেত্র, বিশ্ববিদ্যালয় ও বিনোদনকেন্দ্র আছে) এবং নাবুয়া (সামরিক ঘাঁটি, পুলিশের সদর দফতর, শিল্প এলাকা, আবাসিক এলাকা)।

১৯৬০-এর দশক থেকে সুভাতে পর্যটকদের জায়গা দেবার জন্য নির্মিত হোটেল ও অন্যান্য আধুনিক অট্টালিকাগুলি শহরের দিগন্ত রূপরেখা পালটে দিয়েছে। পর্যটন ও শিল্পখাতে প্রবৃদ্ধির সাথে সাথে ১৯৭০-এর দশক থেকে সুভার জনসংখ্যাও ব্যাপক বৃদ্ধি পায়। কিন্তু বর্ধনশীল জনসংখ্যার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে সাশ্রয়ী আবাসন নির্মাণের ব্যাপারে সরকার সক্ষম হয়নি। ফলে সুভার পৌর এলাকাগুলির প্রান্তসীমাতে অনেক ঘনবসতিপূর্ব অস্থায়ী বসতি গড়ে উঠেছে। তবে সুভার শহরকেন্দ্রে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলের অনেক ভবন আজও দাঁড়িয়ে আছে। ১৯৩৯ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশাল আয়তনের সরকারী ভবনগুলিতে বর্তমানে বেশিরভাগ মন্ত্রণালয় অবস্থিত, এই ভবনগুলি অতীতে যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপনিবেশগুলির প্রধান সরকারী কার্যালয় ধারণ করত।

শিক্ষা ও সংস্কৃতি

সম্পাদনা
 
সুভা সিটি কার্নেগী লাইব্রেরি

সুভা শহরে ফিজির সংবাদপত্র ও সাময়িকী প্রকাশনা শিল্প এবং সংবাদ সম্প্রচার ব্যবস্থাটি অবস্থিত। গণমাধ্যমগুলির ভাষা হল ফিজি, হিন্দি ও ইংরেজি, যা কি না শহরের জনগণের জাতিগত মিশ্রণের প্রতিফলন। প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্রগুলির যৌথ অর্থায়নে ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল শিক্ষায়তন বা ক্যাম্পাসটি শহরকেন্দ্রের কাছেই অবস্থিত; এখানে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের বিভিন্ন দ্বীপ থেকে ছাত্র পড়তে আসে। ১৮৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত ফিজি চিকিৎসা বিদ্যালয়, ১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় মহাফেজখানা বা আর্কাইভস, ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত প্রশান্ত মহাসাগরীয় ধর্মতত্ত্ব মহাবিদ্যালয় (প্রতিবাদী মন্ডলী) এবং ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত প্রশান্ত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক সেমিনারি (রোমান ক্যাথলিক মন্ডলী) এখানে অবস্থিত, যেগুলি শুধু সুভা নয়, বৃহত্তর দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য সেবা প্রদান করে। শহরে একটি শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয়, প্রযুক্তি ইন্সটিটিউট ও একাধিক হাসপাতাল আছে। বিদেশী দূতাবাসগুলি এবং বিভিন্ন আঞ্চলিক সংস্থার কার্যালয়ও ফিজিতে অবস্থিত। এদের মধ্যে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ ফোরাম এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় সম্প্রদায়ের সচিবালয় উল্লেখযোগ্য। ১৯০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত ফিজি জাদুঘরে উল্লেখযোগ্য প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপগুলির ঐতিহাসিক, পুরাতাত্ত্বিক ও নৃতাত্ত্বিক নিদর্শনের সংগ্রহ আছে।

আঞ্চলিক প্রভাব

সম্পাদনা

সুভা শুধুমাত্র ফিজির রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নয়। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বাইরে এটি দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপগুলির মধ্যে সবচেয়ে বড় পৌরকেন্দ্র। এটি সমগ্র দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রবিন্দু। এখানে অঞ্চলটির প্রধান ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলির আঞ্চলিক সদর দফতরগুলির সিংহভাগ অবস্থিত। এছাড়াও অঞ্চলে কর্মরত আন্তর্জাতিক সংস্থা ও দূতাবাসগুলিও সুভাতেই তাদের কার্যালয় স্থাপন করেছে। সুভাতে শিল্পকলা ও পরিবেশনকলা উত্তরোত্তর উন্নতিলাভ করছে এবং এটি অঞ্চলের ফ্যাশন বা পোষাকশৈলীর রাজধানী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছে।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২০ মে ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০১৯