সুফিয়া নূরিয়া ফাজিল মাদ্রাসা

চট্টগ্রাম জেলার মীরসরাই উপজেলার মাদ্রাসা

সুফিয়া নুরিয়া ফাজিল মাদ্রাসা উত্তর চট্টগ্রামের বিখ্যাত দ্বীনি বিদ্যাপীঠ। যা বাংলাদেশের ইলমে শরীয়ত ও তরীকত চর্চার অন্যতম মাদ্রাসা। এই মাদ্রাসাটি সুফিয়া মাদ্রাসা নামেও পরিচিত।

সুফিয়া নূরিয়া ফাজিল মাদ্রাসা
ধরনআলিয়া মাদ্রাসা
স্থাপিত১৯০৪; ১২০ বছর আগে (1904)
প্রতিষ্ঠাতাপীরে কামেল শাহ্ সুফি আলহাজ্ব মাওঃ আব্দুল গণি (রাঃ)
অধ্যক্ষমোঃ রেজাউল হক নিজামী[১]
উপাধ্যক্ষমোহাং আবদুল হক সিরাজী[২]
অবস্থান,
শিক্ষাঙ্গনমিঠানালা, মীরসরাই, চট্টগ্রাম
মোট শ্রেণিকক্ষ সংখ্যা২০টি
সংক্ষিপ্ত নামসুফিয়া মাদ্রাসা
অধিভুক্তিইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়
ওয়েবসাইটhttps://snfm.edu.bd/

অবস্থান সম্পাদনা

বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত মীরসরাই উপজেলার মিঠানালা ইউনিয়নের পশ্চিম মিঠানালা গ্রামে এ মাদ্রাসাটি অবস্থিত।[৩]

শিক্ষকদের তালিকা সম্পাদনা

ক্রমিক নং নাম পদবি
১ম মোঃ রেজাউল হক নিজামী অধ্যক্ষ
২য় মোহাং আবদুল হক সিরাজী উপাধ্যক্ষ
৩য় মোহাং নেছারুল হক নূরী সহকারী অধ্যাপক
৪র্থ মোঃ নজরুল ইসলাম সহকারী অধ্যাপক
৫ম মোঃ আব্দুল মান্নান সহকারী অধ্যাপক
৬ষ্ঠ মোঃ শাহজাহান সহকারী অধ্যাপক
৭ম মুহাম্মদ হারুনুর রশীদ ভূঁইয়া প্রভাষক
৮ম মোঃ ইউনুছ নজিরী প্রভাষক
৯ম মোহাম্মদ আলাউদ্দিন সহকারী মৌলভী
১০ম মোহাম্মদ কলিম উল্লাহ সহকারী মৌলভী
১১শ সুলতানা ইয়াসমিন সহকারী শিক্ষিকা
১২শ মোছাম্মত রোকসানা খাতুন সহকারী শিক্ষিকা
১৩শ মোঃ আবুল হোসাইন সহকারী শিক্ষক
১৪শ মোঃ আবুল হোসাইন এবতেদায়ী প্রধান
১৫শ তানজিনা পারভিন সহকারী শিক্ষিকা
১৬শ মহিউদ্দিন সহকারী মৌলভী
১৭শ হোসনেয়ারা খাতুন সহকারী শিক্ষিকা
১৮শ মোঃ আবু সায়েদ সহকারী শিক্ষক
১৯শ হাফেজ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ইবতেদায়ী ক্বারী
২০শ মোঃ শফিকুল ইসলাম শিক্ষক
২১শ মুহাম্মদ নোমান আশরাফ প্রভাষক
২২শ মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম প্রভাষক


ইতিহাস সম্পাদনা

এলাকাবাসীর মধ্যে ইসলামের মর্মবাণী পৌঁছাতে ১৯০৪ সালে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা কারেন শাহ সূফী আব্দুল গণি। আব্দুল গণি ছিলেন ফুরফুরার পীর আবু বকর সিদ্দিকির খলিফা। তিনি তার পীর আবু বকর সিদ্দিকীর পরামর্শে শাহ সূফী নূর মোহাম্মদ নিজামপুরী এর নামানুসারে মাদ্রাসাটির নামকরণ করেন। মাদ্রাসাটি ১৯৫০ সালে আলিম এবং ১৯৫২ সালে ফাজিল মঞ্জুরী লাভ করে। এ মাদ্রাসা থেকে ১৯৫৩ সালে প্রথম আলিম ও ফাজিল বোর্ড পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে।[৩] এরপরে ২০০৬ সালে মাদ্রাসাটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত হয়, এবং ২০১৬ সালে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্থানান্তরিত হয়।

পরিচালনা ব্যবস্থা সম্পাদনা

মাদ্রাসা পরিচালনার জন্য ১৪ সদস্যের একটি পরিচালনা পরিষদ রয়েছে। পল্লী উন্নয়ন একাডেমির পরিচালক মো. আব্দুল কাদের এই পরিষদের সভাপতি।[৩]

শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পাদনা

মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোহাম্মদ রেজাউল হক নিজামী। বর্তমানে সাড়ে ছয় শতাধিক শিক্ষার্থী এ মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত আছে।[৩]

অবকাঠামো সম্পাদনা

এ প্রতিষ্ঠানে ৩টি দ্বিতল একাডেমিক ভবন ও ১টি একতলা ভবন ও ১টি আধাপাকা ভবন রয়েছে।[৩]

পর্যায় সম্পাদনা

এ মাদ্রাসায় ফাজিল (ডিগ্রী) পর্যায় পর্যন্ত পাঠদান করা হয়। ১৯৮৫ সালে মাধ্যমিক বিজ্ঞান শিক্ষা প্রকল্পের অধীনে বিজ্ঞান শাখা চালু হয়।[৩] এছাড়াও মাদ্রাসায় শাইখুল মাশায়েখ মুফতী আবদুল হক সিরাজীর পরিচালনায় দারুল ইফতা রয়েছে।

কৃতিত্ব ও ফলাফল সম্পাদনা

প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক অনুষ্ঠিত দাখিল, আলিম, ফাজিল পরীক্ষায় এবং বর্তমানে পঞ্চম শ্রেণীর সমাপনী ও অষ্টম শ্রেণী (জেডিসি) পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জন করে আসছে। ২০১১ সালে অষ্টম শ্রেণীতে ২ জন এবং দাখিল পরীক্ষায় ২ জন শিক্ষার্থী মেধাবৃত্তি লাভ করে। ২০১২ সালে দাখিল ও আলিম পরীক্ষায় শতভাগ ফলাফল অর্জন করে মাদ্রাসার গৌরবময় ঐতিহ্যের ধারা অব্যাহত রাখে। ২০১৪ সালে বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক মীরসরাই উপজেলার ‘সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান’ হিসেবে নির্বাচিত হয় এবং কৃতিত্ব সনদ লাভ করে।[৩]

গ্যালারি সম্পাদনা

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা