সুনীল কর্মকার
বাউল শিল্পী সুনীল কর্মকার (জন্ম: ১৫ জানুয়ারি ১৯৫৯) বাংলাদেশের একজন নামকরা লোক সংগীতের শিল্পী। দৃষ্টহীন এই শিল্পীর লোক সঙ্গীতে অবদানের জন্য ২০২২ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রদত্ত শিল্পকলা পদক লাভ করেন।[১]
সুনীল কর্মকার | |
---|---|
জন্ম | |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
নাগরিকত্ব | বাংলাদেশ |
পেশা | লোক সঙ্গীত |
পরিচিতির কারণ | বাউল শিল্পী |
পিতা-মাতা |
|
পুরস্কার | শিল্পকলা পদক |
জন্ম ও পারিবারিক জীবন সম্পাদনা
সুনীল কর্মকার ১৫ জানুয়ারি ১৯৫৯ সালে নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া থানার বারনাল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা দীনেশ কর্মকার ও মাতা কমলা কর্মকার।[২] তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি সর্বজেষ্ঠ। দ্বিতীয় ভাই দীলিপ কর্মকার একজন স্বর্নশিল্পী। সর্ব কনিষ্ঠ ভাই শ্রীমল কর্মকার। ৭ বছর বয়সে টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয়ে চোখের আলো হারান।
কর্মজীবন সম্পাদনা
বাবা দীনেশ কর্মকার নিয়ে যান বাউল গায়ক ইস্রাইল মিয়ার কাছে। সেখানে সংগীতের তালিমের সাথে সাথে ওস্তাদের কাছে দোতারা বাদনও পারদর্শী হয়ে উঠেন। ১৫ বছর বয়সে বেহেলা, দোতারা, তবলা, হারমোনিয়াম বাজাতে শিখে পুরোপুরি পেশাদার শিল্পী হয়ে যায়। টিভি চ্যানেল, যাত্রা মঞ্চে, সিনেমায় পেশাদার শিল্পী হিসাবে গান গান।
অবদান সম্পাদনা
নেত্রকোনা জেলার লোক সঙ্গীত, বাউল গান, জালাল গীতিকে বাংলাদেশসহ বিশ্ব মঞ্চে পরিচিত করতে তাঁর অবদান অনেক। এখনো জালাল খাঁ’র অসংখ্য জনপ্রিয় গান গেয়েছেন তিনি। লম্ম্নৌ ঘরানার সৌখিন বেহালা বাদক মীর হোসেন এর কাছে তালিম নেন বেহালা বাদনে। ক্রমেক্রমেই পারদর্শী হয়ে উঠেন দেশী - বিদেশী একাধিক বাদ্যযন্ত্রে। তার স্পর্শে একতারা, দোতারা, স্বরাজ, হারমোনিয়াম যেমন প্রান পেয়ে উঠে, তেমন খমক, খুন্জুরী, ঢোল, ঢোলক, ঢাকও জেগে উঠে সমান তালে। তিনি ওয়াশিংটন, ভার্জিনিয়া সফর করেন ও সেই দেশের মঞ্চে গান করেন। ২০০০ সালে বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে ভারতে, ২০০২ সালে আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন তিনি।[২] তাঁর গানের অডিও, ভিডিও গানের সিডি রিলিজ হয়েছে। এছাড়া গান নিয়ে মেঘের কোলে রোড বই প্রকাশিত হয়েছে।
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ "২০২১ ও ২০২২ সালের 'শিল্পকলা পদক' পাচ্ছেন যারা"। ডেইলি স্টার। ১৫ জানুয়ারি ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০২৪।
- ↑ ক খ ইসলাম, খন্দকার সফিকুল (১১ মে ২০১৩)। "সংগীত"। ইতিহাসের পাতায় কেন্দুয়া। ময়মনসিংহ: দুশা প্রকাশনী। পৃষ্ঠা ১৬৫।