সীতাকুণ্ড হত্যাকাণ্ড

(সীতাকুন্ড গণহত্যা থেকে পুনর্নির্দেশিত)

সীতাকুণ্ড হত্যাকাণ্ড (ইংরেজি: Sitakunda massacre) যা ১৯৫০ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি হিন্দু তীর্থযাত্রীদের উপর সংগঠিত হত্যাকাণ্ডকে নির্দেশ করে।[১] সমগ্র পূর্ব বাংলা, আসামত্রিপুরা থেকে তীর্থযাত্রীরা মহা শিবরাত্রি উপলক্ষে হিন্দু ধর্মের পূর্ণ্যভূমি সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ পাহাড়ে অবস্থিত চন্দ্রনাথ মন্দির যাওয়ার পথে সীতাকুণ্ড রেলস্টেশন এলাকায় সশস্ত্র আনসার ও মুসলিমদের আক্রমণের শিকার হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

সীতাকুণ্ড হত্যাকাণ্ড
সীতাকুণ্ড হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশ-এ অবস্থিত
সীতাকুণ্ড হত্যাকাণ্ড
স্থানসীতাকুণ্ড, চট্টগ্রাম, পূর্ব বাংলা, পাকিস্তানের অঙ্গরাজ্য
তারিখফেব্রুয়ারি ১৫, ১৯৫০ (ইউটিসি+৬:০০)
লক্ষ্যবাঙালি হিন্দু
হামলার ধরনহত্যাকাণ্ড
ব্যবহৃত অস্ত্রতলোয়ার, রামদা
হামলাকারী দলমুসলিম জনতা, আনসার[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

পটভূমি সম্পাদনা

১৯৫০শে ১৫ই ফেব্রুয়ারি শিবরাত্রির দিন স্বাভাবিকভাবেই তীর্থযাত্রীরা সীতাকুন্ডের চন্দ্রনাথ মন্দিরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। অন্যদিকে ১০ তারিখ থেকেই গোটা পূর্ববঙ্গে হিন্দু গণহত্যা শুরু হয় এবং যেটি চট্টগ্রামে ১২ই ফেব্রুয়ারি শুরু হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] এ লক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে হিন্দুদের মেলা বন্ধ করার হুমকিও দেওয়া হয়।[২]

ঘটনাবলী সম্পাদনা

তীর্থযাত্রীরা সীতাকুন্ড যাওয়ার আগে চাটগাঁয় এসে পৌঁছুলে তাদের ওপর আনসাররা আক্রমণ করে।[২] ১৪ই ফেব্রুয়ারির সন্ধেবেলার মধ্যেই চাটগাঁয় অবস্থিত সমস্ত তীর্থযাত্রীকে হত্যা করা হয়।[২] ১৫ই ফেব্রুয়ারির সকালে প্রচুর তীর্থযাত্রী সীতাকুন্ড স্টেশনে নামে। নামার সাথে সাথেই আনসাররা তাদের ওপর আক্রমণ করে। ট্রেনের প্রতিটা কামরায় ঢুকে ঢুকে সবাইকে হত্যা করে।[১][৩] একইভাবে যতগুলো ট্রেন প্লাটফর্মে ঢোকে, প্রতিটায় বসে থাকা তীর্থযাত্রীদের হত্যা করা হয়।[২] স্টেশনের কাছে অনেক হিন্দু বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।[২]

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Sinha, Dinesh Chandra, সম্পাদক (২০১২)। ১৯৫০: রক্তরঞ্জিত ঢাকা বরিশাল এবং [1950: Bloodstained Dhaka Barisal and more] (Bengali ভাষায়)। Kolkata: Codex। পৃষ্ঠা 71। 
  2. Kamra, A.J. (২০০০)। The Prolonged Partition and its Pogroms: Testimonies on Violence Against Hindus in East Bengal 1946-64। New Delhi: Voice of India। পৃষ্ঠা 67। আইএসবিএন 81-85990-63-8 
  3. Sinha, Dinesh Chandra, সম্পাদক (২০১২)। ১৯৫০: রক্তরঞ্জিত ঢাকা বরিশাল এবং [1950: Bloodstained Dhaka Barisal and more] (Bengali ভাষায়)। Kolkata: Codex। পৃষ্ঠা 85।