সিটি অ্যান্ড সাউথ লন্ডন রেলওয়ে
সিটি অ্যান্ড সাউথ লন্ডন রেলওয়ে (সিএন্ডএসএলআর) বিশ্বের প্রথম সফল গভীর-স্তরের ভূগর্ভস্থ "টিউব" রেলপথ,[১][টীকা ১][টীকা ২] এবং বৈদ্যুতিক ট্র্যাকশন ব্যবহার করা প্রথম প্রধান রেলপথ ছিল। রেলপথটি মূলত কেবল-হলড ট্রেনের উদ্দেশ্যে ছিল, কিন্তু নির্মাণের সময় তারের ঠিকাদারের দেউলিয়া হওয়ার কারণে, বৈদ্যুতিক লোকোমোটিভ ব্যবহার করে বৈদ্যুতিক ট্র্যাকশনের একটি ব্যবস্থা—সেই সময়ে একটি পরীক্ষামূলক প্রযুক্তি—বেছে নেওয়া হয়েছিল।
কার্যকাল | ১৮৯০ | –১৯৩৩
---|---|
উত্তরসূরি | লন্ডন প্যাসেঞ্জার ট্রান্সপোর্ট বোর্ড |
ট্র্যাক গেজ | ৪ ফুট ৮ ১⁄২ ইঞ্চি (১,৪৩৫ মিলিমিটার) আদর্শ গেজ |
বৈদ্যুতিকরণ | ৫০০ ভোল্ট ডিসি |
দৈর্ঘ্য | ১৩.৫ মাইল (২১.৭ কিমি) |
প্রধান কার্যালয় | লন্ডন |
১৮৯০ সালে যখন খোলা হয়েছিল, লাইনটিতে ছয়টি স্টেশন ছিল এবং টেমস নদীর তলদেশ দিয়ে যাওয়া লন্ডন সিটি ও স্টকওয়েলের মধ্যকার এক জোড়া সুড়ঙ্গের মধ্যদিয়ে ৩.২ মাইল (৫.১ কিমি)[২] চলেছিল। সুড়ঙ্গের ব্যাস ট্রেনের আকারকে সীমাবদ্ধ করেছিল, এবং তাদের উচ্চ-ব্যাকযুক্ত আসন সহ ছোট গাড়িগুলির ডাকনাম প্যাডেড সেল। রেলপথটি উত্তর ও দক্ষিণে বেশ কয়েকবার প্রসারিত হয়েছিল, অবশেষে উত্তর লন্ডনের ক্যামডেন টাউন থেকে দক্ষিণ লন্ডনের মর্ডেন পর্যন্ত ১৩.৫ মাইল (২১.৭ কিমি) দূরত্বে ২২ টি স্টেশনে পরিষেবা প্রদান করেছিল।[২]
টীকা ও তথ্যসূত্র সম্পাদনা
টীকা সম্পাদনা
- ↑ একটি "টিউব" রেলপথ হল একটি ভূগর্ভস্থ রেলপথ, যা একটি নলাকার সুড়ঙ্গে একটি সুড়ঙ্গ খননকারী ঢাল ব্যবহার করে নির্মিত হয়, সাধারণত স্থল স্তরের গভীরে।
- ↑ প্রথম টিউব রেলপথ ছিল, তার-টানা অসফল টাওয়ার সাবওয়ে।
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ Wolmar 2005, পৃ. ৪।
- ↑ ক খ লাইনের দৈর্ঘ্য প্রদত্ত দূরত্ব থেকে গণনা করা হয়েছে "Clive's Underground Line Guides, Northern line, Layout" [ক্লাইভের আন্ডারগ্রাউন্ড লাইন গাইড, নর্দার্ন লাইন, বিন্যাস]। সংগ্রহের তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।