সালাহাত খান
সালাহাত খান (১৮৩১ - ২৮ অক্টোবর, ১৮৬১) একজন ভারতীয় সিপাহী ও ১৮৫৭-এর মহাবিদ্রোহের অন্যতম শহীদ।
সালাহাত খান | |
---|---|
জন্ম | ১৮৩১ মোরাদাবাদ জেলা, ব্রিটিশ ভারত |
মৃত্যু | ২৮ অক্টোবর, ১৮৬১ |
আন্দোলন | ১৮৫৭-এর মহাবিদ্রোহ |
পরিচয় সম্পাদনা
সালাহাত খান উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদ জেলার সম্ভলে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম ছিল আআবদুল্লাহ খান পাঠান। সালাহাত খান গোবর্ধন পল্টনের একজন দক্ষ সৈনিক হিসেবে কাজ করতেন।
বিদ্রোহে যোগদান সম্পাদনা
কোটা রাজ্য সেনাবাহিনীর সাদুল খানের নেতৃত্বে কোটা সেনাবাহিনীর বিদ্রোহী ফৌজে যোগ দেন এবং ১৮৫৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ অক্টোবর কোটায় রাজপ্রতিনিধির আবাসে আক্রমণ চালান। যুদ্ধের পর বিদ্রোহী সিপাহীরা ইংরেজ রাজপুরুষদের প্রতি তীব্র ঘৃনায় আবাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। মেজর চার্লস বার্টন আবাসের শীর্ষদেশে উঠে পালাবার চেষ্টা করলে দুঃসাহসিকভাবে সালাহাত খান মইতে উঠে মেজরকে ধরে ফেলেন ও তাকে হত্যা করেন। তার এই বীরত্বপূর্ণ যুদ্ধের জন্যে ও সাহসিকতার স্বীকৃত স্বরূপ ভাটনগরের বিদ্রোহী নেতা লালা জয়দয়াল তাকে একটি রৌপ্যালংকার প্রদান করেছিলেন। ১৮৫৮ সালের মার্চ মাসে মেজর জেনারেল রবার্টের কাছে বিদ্রোহীরা পরাজিত হয়, রবার্ট কোটা পূনরুদ্ধার করেন। এসময় সালাহাত খান গোয়ালিয়র ত্যাগ করেন কিন্তু ইংরেজ বাহিনীর ওপর চোরাগোপ্তা আক্রমণ চালাতে ছাড়েননি। আল জাবিয়া পল্টনে ব্রিটিশ বাহিনীর ওপর আঘাত হানেন তিনি।[১]
পলাতক জীবন সম্পাদনা
বিদ্রোহী বাহিনী ক্রমশ চারিদিকে পরাস্ত হতে থাকলে সালাহাত খান লখনউ হয়ে নেপালে পলায়ন করেন ব্রিটিশের চোখে ধুলো দিয়ে। নেপালের পাহাড় জংগলে দু বছর আত্মগোপন করে থাকার পর কোটা প্রত্যাবর্তন করার পথে ইংরেজ সেনা দ্বারা বন্দী হন।[২]
বিচার ও ফাঁসি সম্পাদনা
বিচারে বিদ্রোহী সালাহাত খানের মৃত্যুদন্ড ঘোষণা হয় ১০ আগস্ট, ১৯৬১। এবং ওই বছরই ২৮ অক্টোবর তাকে কোটার প্রতিনিধি আবাসে ফাঁসি দেওয়া হয়।[১]
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ ক খ শান্তিময় রায় (১৯৯৪)। ভারতের মুক্তি সংগ্রামে মুসলিম অবদান। কলকাতা: মল্লিক ব্রাদার্স। পৃষ্ঠা ১২২। আইএসবিএন 81-7999-030-3।
- ↑ রায়, প্রকাশ (২০২১)। বিস্মৃত বিপ্লবী তৃতীয় খণ্ড। চেন্নাই: নোশনপ্রেস চেন্নাই তামিলনাড়ু। পৃষ্ঠা ৭০–৭৩।