সারাহ হোয়াটমোর
ডেম সারাহ জেন হোয়াটমোর (জন্ম: ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৫৯ [১]) একজন ব্রিটিশ ভূগোলবিদ এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ও জননীতি বিভাগের অধ্যাপক। তিনি কিবল কলেজের একজন অধ্যাপকীয় ফেলো, ২০১২ সালে লিনাক্রি কলেজ থেকে এখানে চলে এসেছিলেন। [২] ২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী প্রধান (গবেষণা) এবং ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি। ২০১৮ সাল থেকে তিনি সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগের প্রধানের দায়িত্বে রয়েছেন। [৩]
পটভূমি
সম্পাদনাহোয়াটমোর হামশায়ারের অল্ডারশটে একটি মিলিটারি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা সামরিক কর্মী হওয়ার সুবাদে তাকেও জার্মানি, সাইপ্রাস এবং হংকংসহ বিভিন্ন জায়গায় বদলি হতে হয়েছিলো। [৪] তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে ১৯৮১ সালে ভূগোল বিষয়ে স্নাতক এবং ১৯৮৩ সালে এমফিল (নগর পরিকল্পনা) সম্পন্ন করেছেন (সন্দর্ভ: আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং কৃষি জমির মালিকানা) এবং গ্রেটার লন্ডন কাউন্সিলেও কাজ করেছেন। তিনি রিচার্ড মানটনের তত্ত্বাবধানে পিএইচডি করার জন্য ইউসিএলে ফিরে এসেছিলেন (সন্দর্ভ: পারিবারিক খামারের 'অন্য অর্ধেক': খামারে পারিবারিক লিঙ্গ ভিত্তিক শ্রম বিভাজনে 'নারী খামারী'দের অবস্থান বিশ্লেষণ, ১৯৮৮) এবং লিডস ইউনিভার্সিটি, ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৮৯-২০০১) ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে (২০০১-২০০৪) প্রভাষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। [৫] বর্তমানে তিনি অক্সফোর্ডশায়ারের আপ্টনে বসবাস করছেন।
গবেষণা ও কর্মজীবন
সম্পাদনা১৯৯০ এর দশকের শেষদিকে হোয়াটমোর গ্রামীণ ভূগোল, লিঙ্গ, বিকল্প খাদ্যজাল এবং সমালোচনামূলক ভূগোলবিদদের পরিবেশগত সমস্যার প্রতি ঝুঁকে পড়ার প্রবণতা নিয়ে গবেষণা শুরু করেছিলেন। তিনি কর্মীজাল (অ্যাক্টর-নেটওয়ার্ক) তত্ত্ব এবং নারীবাদী বিজ্ঞান গবেষণার পক্ষে মার্কসবাদী বস্তুবাদ পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ২০০২ সালে তিনি হাইব্রিড জিওগ্রাফিস বইয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি ব্যক্ত করেন,[৬] এতে তিনি "মোর দেন হিউম্যান (মানুষের চেয়ে অধিক)" নামে একটি অনুসন্ধান পদ্ধতির বিকাশ করার চেষ্টা করেন এবং বিজ্ঞান ও গণতন্ত্রের মধ্যকার সম্পর্ককে প্রশ্নবিদ্ধ করেন। হাইব্রিড জিওগ্রাফিস বইটি ১,৮০০ বারেরও বেশি উদ্ধৃত হয়েছে। [৭] তিনি তার গবেষণাগুলোতে আলোকপাত করছেন মূলত কম্পিউটার মডেলিং কৌশলের উপর ক্রমবর্ধমান নির্ভরশীলতার বিরুদ্ধে এবং প্রমাণের পদ্ধতি ও পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে বিশেষজ্ঞতার ভূমিকা নিয়ে। এটিকে পরীক্ষামূলক এবং সহযোগিতামূলক গবেষণা অনুশীলনের একটি অঙ্গীকার হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে যা বন্যা ও খরার মতো পরিবেশগত ঝুঁকি ও বিপদপ্রবণ এলাকায় বসবাসকারী বিভিন্ন স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে সামাজিক ও প্রাকৃতিক বিজ্ঞানীদের অর্জিত বিভিন্ন জ্ঞানের কর্মদক্ষতা পৌঁছে দেয়। রাজনৈতিক বিষয়াদি সম্পর্কিত (হোয়াটমোর এবং ব্রাউন সংস্করণ. ২০১০) তার ধারণাগুলো পরবর্তীকালে আরও বিকশিত হয়েছে।
তার সমালোচনামূলক ধারণা তাত্ত্বিকরা বেশ ভালভাবে গ্রহণ করেছে, তবে নীতি-ভিত্তিক পরিবেশগত চিন্তাবিদ এবং সনাতন ভূগোলবিদরা "তত্ত্বীকৃত" মানব-পরিবেশ সম্পর্কের দিকে কম ঝুঁকছেন। এতদসত্ত্বেও তিনি পরিবেশ, খাদ্য ও পল্লী বিষয়ক অধিদফতরের (ডিএফআরএ) বিজ্ঞান উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং এর সামাজিক বিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ দলের সভাপতি; মন্ত্রিপরিষদ কার্যালয়ের জাতীয় বন্যা প্রতিরোধ পুনর্বিবেচনা (২০১৬) কার্যে পরামর্শ দেওয়ার জন্য বিজ্ঞান উপদেষ্টা দলের সদস্য এবং সংসদীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কার্যালয়ের পর্ষদের সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
সম্মাননা ও পুরস্কার
সম্পাদনাহোয়াটমোর ২০১৩ সালে কেন্টাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগ থেকে এলেন চার্চিল সেম্পল পুরস্কার পেয়েছিলেন।[৮] ২০১৪ সালে যুক্তরাজ্যের মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ক জাতীয় প্রতিষ্ঠান ব্রিটিশ একাডেমির ফেলো নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। [৯] এছাড়াও তিনি সামাজিক বিজ্ঞান একাডেমির ফেলো এবং ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিএসসি প্রাপ্ত হন।
পরিবেশ নীতি গবেষণায় অবদানের জন্য হোয়াটমোরকে ২০২০ সালের নববর্ষ সম্মাননা অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ারের ডেম কমান্ডার (ডিবিই) অভিধায় অভিধৃত করা হয়। [১০]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Whatmore, Prof. Sarah Jane", Who's Who (online edition, Oxford University Press, December 2017). Retrieved 5 July 2018.
- ↑ "Keble welcomes Professor Sarah Whatmore - Keble Geography"। www.keble-oxford-geography.info।
- ↑ "Sarah Whatmore"। University of Oxford Social sciences Division। সংগ্রহের তারিখ ৪ অক্টোবর ২০১৮।
- ↑ http://mpegmedia.abc.net.au/classic/midday/201404/miv-2014-04-10.mp3
- ↑ White, Chris। "Professor Sarah Whatmore - Staff - School of Geography and the Environment - University of Oxford"। www.geog.ox.ac.uk।
- ↑ Whatmore, Sarah (২০০২)। Hybrid geographies: natures, cultures, spaces। SAGE Publications। আইএসবিএন 9780761965671।
- ↑ "Google Scholar"। scholar.google.com.au।
- ↑ Ellen Churchill Semple Day (accessed 30 June 2015)
- ↑ "British Academy announces 42 new fellows"। Times Higher Education। ১৮ জুলাই ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০১৪।
- ↑ "নং. 62866"। দ্যা লন্ডন গেজেট (সম্পূরক) (ইংরেজি ভাষায়)। ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯।