সারস গ্রুইফর্মিস বর্গের গ্রুইডি গোত্রের অন্তর্গত একজাতীয় লম্বা পা ও লম্বা গলাবিশিষ্ট পাখি। চারটি গণে মোট ১৫ প্রজাতির সারস রয়েছে। বকের মত দেখতে হলেও এরা বংশগতিগতভাবে বকের সাথে কোনভাবেই সম্বন্ধযুক্ত নয়। বক উড়ার সময় গলা গুটিয়ে রাখে কিন্তু সারস গলা লম্বা করে উড়ে। দক্ষিণ আমেরিকা আর অ্যান্টার্কটিকা ছাড়া পৃথিবীর সব মহাদেশেই বিভিন্ন প্রজাতির সারস দেখা যায়। বেশিরভাগ সারস আন্তর্জাতিকভাবে বিপদগ্রস্ত প্রজাতি হিসেবে বিবেচিত।

সারস
Sarus Crane (Grus antigone) at Sultanpur I Picture 151.jpg
দেশি সারস
Grus antigone antigone
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Animalia
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: পক্ষী
বর্গ: Gruiformes
পরিবার: Gruidae
Vigors, 1825
গণ

খাদ্যবিচারের ক্ষেত্রে সারসকে সুযোগসন্ধানী বলা চলে। মৌসুম-বিচারে খাবারের প্রাপ্যতা ও দৈহিক চাহিদা অনুসারে এদের খাদ্যতালিকায় পরিবর্তন ঘটতে পারে। অনেকটা সর্বভূক স্বভাবের হওয়ায় এরা ছোট ইঁদুরজাতীয় প্রাণী, মাছ, ব্যাঙ থেকে শুরু করে পোকামাকড়, শস্যদানা, ফলমূল, উদ্ভিজ্জ অংশ ইত্যাদি সবই খায়। এরা স্থির অগভীর পানিতে পুরু করে ঘাস, লতাপাতা, গাছের ডাল ইত্যাদি দিয়ে বাসা করে। বাসায় সাধারণত একবারে দু'টি করে ডিম পাড়ে। পিতামাতা দু'জনেই সমানভাবে সন্তানের দেখাশোনা করে এবং পরবর্তী প্রজনন মৌসুমের আগ পর্যন্ত সন্তানকে নিজেদের কাছে রাখে।[১]

কয়েক প্রজাতির সারস পরিযায়ী স্বভাবের; বছরের নির্দিষ্ট সময়ে এরা বহু দূরে পাড়ি জমায়। আবার কিছু প্রজাতির সারস পরিযায়ী স্বভাবের নয়। প্রজনন মৌসুমে এরা জোড়ায় জোড়ায় থাকে। অন্যান্য সময়ে বড় ঝাঁকে একসাথে বিচরণ করে।

শ্রেণীবিন্যাস ও প্রজাতিসম্পাদনা

চারটি গণে মোট ১৫টি জীবিত প্রজাতি সনাক্ত করা হয়েছে:

উপগোত্র BALEARICINAE – ঝুঁটিয়াল সারস

উপগোত্র GRUINAE – সাধারণ সারস

তথ্যসূত্রসম্পাদনা

  1. Archibald, George W. (১৯৯১)। Forshaw, Joseph, সম্পাদক। Encyclopaedia of Animals: Birds। London: Merehurst Press। পৃষ্ঠা 95–96। আইএসবিএন 1-85391-186-0 

আরও পড়ুনসম্পাদনা

  • Hayes, M.A. (2005): Divorce and extra-pair paternity as alternative mating strategies in monogamous sandhill cranes. MS thesis, University of South Dakota, Vermilion, S.D.. 86 p. PDF fulltext at the International Crane Foundation's Library

বহিঃসংযোগসম্পাদনা