সারভগস্ভাটন
সারভগস্ভাটন ফ্যারো দ্বীপপুঞ্জের বৃহত্তম হ্রদ । এটি ভাগার দ্বীপে সরভাগুর এবং ভাগর পৌরসভার মধ্যে অবস্থিত। এর ক্ষেত্রফল ৩.৪ বর্গকিলোমিটার (১.৩ বর্গমাইল), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম হ্রদ ফ্যালাভাটন-এর আয়তনের তিনগুণেরও বেশি বড়।[১]
সারভগস্ভাটন | |
---|---|
অবস্থান | ভাগর |
স্থানাঙ্ক | ৬২°০৩′ উত্তর ৭°১৪′ পশ্চিম / ৬২.০৫০° উত্তর ৭.২৩৩° পশ্চিম |
অববাহিকা | ৩৫.২ কিমি২ (১৩.৬ মা২) |
অববাহিকার দেশসমূহ | (ফ্যারো দ্বীপপুঞ্জ) |
পৃষ্ঠতল অঞ্চল | ৩.৪ কিমি২ (১.৩ মা২) |
গড় গভীরতা | ২৭.৫ মি (৯০ ফু) |
সর্বাধিক গভীরতা | ৫৯ মি (১৯৪ ফু) |
পৃষ্ঠতলীয় উচ্চতা | ৩২ মি (১০৫ ফু) |
নাম
সম্পাদনাস্থানীয়দের মধ্যে হ্রদের নাম নিয়ে মতভেদ রয়েছে। হ্রদের নিকটে থাকা জনপদের বাসিন্দারা ভিন্ন ভিন্ন নাম ব্যবহার করে। পশ্চিমে সরভাগুরের বাসিন্দারা এটিকে সারভগস্ভাটন নামে ডাকতে পছন্দ করে, যার অর্থ "সরভাগুর হ্রদ"। পূর্ব দিকের মিডভাগুর গ্রাম এবং সান্দাভাগুর শহরের বাসিন্দারা হ্রদের নাম লেইটিসভাটন দিয়েছে, যার অর্থ "লেইটির হ্রদ", যা হ্রদটির পূর্ব তটের দিকে বেশি প্রচলিত।
মিডভাগুর গ্রামটি সরভাগুর পৌরসভার চেয়ে হ্রদের বেশি নিকটে অবস্থিত, কিন্তু মিডভাগুরে পরে বসতি গড়ে উঠেছে বলে মনে করা হয়। সরভাগুর, বউর এবং সান্ডাভাগুরকে ভাগরের তিনটি মূল বসতি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। স্থানীয়রা এটিকে বেশিরভাগই ভাটনি ("হ্রদ") হিসাবে উল্লেখ করে।[১][২]
ভূগোল
সম্পাদনাহ্রদটি সমুদ্রের খুব কাছাকাছি অবস্থিত। এটি নিকট সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৪০ মিটার (১৩০ ফুট) উপরে ঝুলন্ত হ্রদ। গড় গভীরতা ২৭.৫ মিটার তবে হ্রদের সর্বোচ্চ গভীরতা ৫৯ মিটার। এটি উত্তর-দক্ষিণে দীর্ঘায়িত হ্রদ। এর উত্তর সীমায়, দ্বীপের ভৌগোলিক কেন্দ্রের কাছাকাছি, ভাটনসোয়ারার শহর এবং দক্ষিণে হ্রদটি বোসডালাফসুর জলপ্রপাতের মধ্যে প্রবাহিত হয়েছে, যা ৩০ মিটার উচ্চতায় সরাসরি সমুদ্রে পড়েছে। হ্রদের একমাত্র জল নির্গমন পথও হলো জলপ্রপাত। উত্তর এবং দক্ষিণ সীমার মধ্যে আনুমানিক ৬ কিমি দূরত্ব রয়েছে, যখন প্রস্থ ৮০০ মিটারের বেশি নয়।[১] এটি একটি উচ্চ পর্বত খাড়ি দ্বারা বেষ্টিত যা হ্রদের পানি সম্পূর্ণরূপে সমুদ্রে পতন হতে বাধা দেয়। নির্দিষ্ট কোণ থেকে হ্রদটিকে দেখতে দৃষ্টিবিভ্রম হয়।[৩] দৃষ্টিবিভ্রমের জন্য হ্রদটিকে সমুদ্রের উপর 'ভাসমান হ্রদ' হিসেবে বর্ণনা করা হয়।[২]
ইতিহাস
সম্পাদনাদ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, ব্রিটিশ সেনাবাহিনী হ্রদের পশ্চিমে একটি বিমানঘাঁটি (বর্তমানে ভাগর বিমানবন্দর) তৈরি করেছিল। তারা নৌবিমান অবতরণের জন্য একটি স্টেশনও তৈরি করেছিল। হ্রদে প্রথম বিমান অবতরণ করে ১৯৪১ সালে, এটি ছিল আরএএফ কোস্টাল কমান্ডের একটি কাতালিনা বিমান।[৪]
বিস্তৃত চিত্র
সম্পাদনাপর্যটন
সম্পাদনাহ্রদে বাদামী ট্রাউট মাছ ধরার সুযোগ রয়েছে। ২০০৫ সালের গ্রীষ্মে স্থানীয় উদ্যোগে হ্রদে নৌকা ভ্রমণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।[৫]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ "Ecology of Five Faroese Lakes: Summary and Synthesis" (পিডিএফ)। natkop। ২০১৬-০৩-০৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৬-১৯।
- ↑ ক খ "Bøsdalafossur • Coastal Waterfall"। Guide to Faroe Islands (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০৬-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৬-২০।
- ↑ Strutner, Suzy। "An Optical Illusion Makes Lake Sørvágsvatn Look Absolutely Trippy"। Huffington Post। ৫ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মে ২০১৬।
- ↑ A Wireless Operator in the Faroe Islands ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩ জুলাই ২০২৩ তারিখে, BBC
- ↑ "Welcome to LAKESIDE SIGHTSEEING!"। www.lakeside.fo। ১৮ অক্টোবর ২০০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০২২।