সাদা মুকুটওয়ালা ধনেশ
সাদা মুকুটওয়ালা ধনেশ (Berenicornis comatus), এছাড়াও যারা সাদা-ঝুটি ধনেশ বা লম্বা-ঝুটি ধনেশ নামেও পরিচিত হল একধরনের ধনেশ প্রজাতির পাখি।
সাদা মুকুটওয়ালা ধনেশ | |
---|---|
পুরুষ | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | প্রাণী জগৎ |
পর্ব: | কর্ডাটা |
শ্রেণী: | পক্ষী |
বর্গ: | Coraciiformes |
পরিবার: | Bucerotidae |
গণ: | Berenicornis Bonaparte, 1850 |
প্রজাতি: | B. comatus |
দ্বিপদী নাম | |
Berenicornis comatus (Raffles, 1822) | |
প্রতিশব্দ | |
Aceros comatus |
শ্রেণীবিন্যাস
সম্পাদনাএরা মনোগামী এবং বেরেনিকোরনিস গণের অন্তর্ভুক্ত, কিন্তু সাদা ঝুঁটি ধনেশ প্রজাতির এই ধনেশটি এদের গণেরই অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু সাদা ঝুঁটি ধনেশ এই গণের অন্তর্ভুক্ত এবং সাদা মুকুটওয়ালা ধনেশ মাঝে মাঝে অ্যাসিরোস প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত হয়।[২]
বিস্তার
সম্পাদনাএই প্রজাতির ধনেশদের প্রধান বিস্তার হয় মালয় উপদ্বীপ, সুমাত্রা এবং বোর্নিও প্রভৃতি দেশে।
বসবাস
সম্পাদনাএই প্রজাতিরা প্রধানত ঘন বর্ষণ অরণ্যে বসবাস করে। এরা প্রধানত ফল গাছ, অয়েল পাম, রাবার গাছ প্রভৃতি জায়গায় থাকতে পছন্দ করে। এরা প্রধানত বাসস্থান ক্ষতির দ্বারা বিপন্ন হয়।
বর্নণা
সম্পাদনাসাদা মুকুটওয়ালা ধনেশ হল বড় আকারের ধনেশ। এরা লম্বায় হয় ৮৩–১০২ সেন্টিমিটার (৩৩–৪০ ইঞ্চি) এবং এদের ওজন হয় ১.৩–১.৫ কিলোগ্রাম (২.৯–৩.৩ পা)। মহিলারা পুরুষদের থেকে আকারে ছোটো হয়। এদের পাখনা কালো ও সাদা রঙের হয়। এদের মাথা, ঘাড়, বুক এবং ল্যাজ সাদা রনহের হয়। দেহের বাকি অংশ কালো রঙের হয়। এদের সাদা রঙের ঝুঁটি থাকে। প্রধানত মাথার ওপরে খাড়া হয়ে থাকে এই ঝুঁটি। চোখ ও ঠোঁটের মধ্যে এবং গলাতে ঘন নীল চামড়া থাকে। ঠোঁটের রঙ কালো রঙের হয়, যার নিম্ন চোয়াল হলুদ রঙের হয়। অন্যান্য ধনেশদের মতোই এদের ঠোঁটের ওপরে কালো রঙের শিরস্ত্রাণ থাকে। মহিলাদের ঘাড় কালো রঙের হয় এবং বাকি অংশও কালো রঙের হয়। বিভিন্ন ধরনের ফল-মূল, সরীসৃপ, লার্ভা ইত্যাদি এরা খেতে পছন্দ করে। [৩]
প্রজনন
সম্পাদনাগাছের গর্তে মহিলারা দুটো ডিম পাড়ে। মহিলারা অই বাসায় ঢুকে পড়ে বাসাটাকে বন্ধ করে দেয় এবং একটা ছোট উল্লম্ব ছিদ্র রাখে যাতে পুরুষেরা তাদের খাবার খাওয়াতে পারে ওই ছিদ্র দিয়ে। মহিলারা এই বাসাটি বন্ধ করে পুরুষের দ্বারা সরবরাহ করে দেওয়া মল-মূত্র এবং কাদার দলার সাহায্যে।এই সময় তারা পাখনাগুলোকে শরীর থেকে ঝেরে ফেলে এবং পুনরায় যখন এদের পাখনার বাড়ন্ত দেখতে মেলে তখন তাদের বাচ্চারাও বড় হয়ে যায় এবং তারপরে মা ধনেশ সেই বাসা ভেঙ্গে ফেলে এবং বাচ্চারা প্রথম উড়তে শেখে।[৩]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ BirdLife International (2008). Aceros comatus. 2008 IUCN Red List of Threatened Species. IUCN 2008. Retrieved on 21 February 2009.
- ↑ Clements, J. F. 2007. The Clements Checklist of Birds of the World, 6th Edition. Cornell University Press. Downloadable from Cornell Lab of Ornithology
- ↑ ক খ "Arkive.org"। ১৮ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০১৪।