সাত সাগরের মাঝি
সাত সাগরের মাঝি কবি ফররুখ আহমদের একটি কাব্যগ্রন্থ। এতে স্থান পাওয়া একটি কবিতার নামও সাত সাগরের মাঝি। ১৯৪৪ সালের ডিসেম্বর মাসে বইটি প্রকাশিত হয়। এই বইয়ের ১৯টি কবিতার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে পাঞ্জেরী, সিন্দবাদ, আকাশ-নাবিক, ডাহুক, এই সব রাত্রি ইত্যাদি। বইটি উৎসর্গ করা হয় কবি আল্লামা ইকবালের প্রতি। বইটিতে পুনর্জাগরণের বাণী উচ্চারিত হয়েছে।[১]
লেখক | ফররুখ আহমদ |
---|---|
প্রচ্ছদ শিল্পী | জয়নুল আবেদীন |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
ধরন | কবিতা |
প্রকাশিত | ১৯৪৪ |
প্রকাশক | বে-নজীর আহমদ |
মিডিয়া ধরন | মুদ্রিত |
আইএসবিএন | ৯৮৪-৪০৬-৩৮৮-৬ {{ISBNT}} এ প্যারামিটার ত্রুটি: চেকসাম |
পটভূমি
সম্পাদনা‘সাত সাগরের মাঝি’- একজন কবির প্রথম কবিতা গ্রন্থ। এই প্রথম কবিতা গ্রন্থটিই যাঁকে বাংলার কাব্যগগনে এক নক্ষত্রের মর্যাদায় আসীন করেছে। তিনি একাধারে রেনেসাঁর কবি, জাগণের কবি, ঐতিহ্যের কবি কবি। লিখেছেন একটি জাতির জাগরণের প্রত্যাশায়। তাঁর যাদুর কলমে একে একে রচিত হয়েছে মহান সব সৃষ্টি। তাঁর সকল সৃষ্টির সেরা ‘সাত সাগরের মাঝি’ [২]
মূল বিষয়বস্তু
সম্পাদনাফররুখ আহমদের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘সাত সাগরের মাঝি’র বিভিন্ন কবিতায় মুসলিম জাগরণ, বিজয় ও আত্মপ্রতিষ্ঠার প্রতীক দুঃসাহসিক নাবিক সিন্দাবাদের বিভিন্ন সফর অভিযানের আলেখ্য চিত্র রূপময় ভাষায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এ কাব্যের ‘সিন্দাবাদ’ ‘দরিয়ায়’ ‘দরিয়ার শেষ রাত্রি’, ‘শাহরিয়া’, ‘আকাশ নাবিক’ ‘বন্দরে সন্ধ্যা’, ‘ডাহুক’, ‘এই রাত্রি’, ‘পাঞ্জেরী’, ‘স্বর্ণমঙ্গল’ ‘লাশ’, ‘তুফান’, ‘হে নিশান বাহী’, ‘নিশান’, ‘আউলাদ’ ও ‘সাত সাগরের মাঝি’ প্রভৃতি কবিতায় মুসলিম ঐতিহ্যকে লালন করা হয়েছে।
সাত সাগরের মাঝি কাব্যগ্রন্থটি মুসলিম জাগরণের অন্যতম গ্রন্থ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আরব্য উপন্যাস, ইরান-আরবের সংস্কৃতি ও পুরাণকথা বিশেষভাবে পরিলক্ষিত হয়েছে। ইসলামের ইতিহাস ও ঐতিহ্য কাব্যটির মূল উপজীব্য। কবি বেনজির আহমেদের সহায়তায় ও অর্থায়নে কবি ফররুখ আহমদে তার শ্রেষ্ঠ কাব্যটি পাকিস্তানের জাতীয় কবি আল্লামা ইকবালকে উৎসর্গ করেন। এ-ই কাব্যের বিখ্যাত একটি উক্তি যথাক্রমেঃ "মাঝি চেয়ে দেখো দুয়ারে ডাকে জাহাজ,অচল ছবি সে,তসবির যেন দাঁড়ায়ে রয়েছে আজ।" এ কাব্যে কবি বাংলা ভাষার বিপরীতে আরবি ও ভাষার শব্দকে বেশি মূল্যয়ন করেছেন।[৩]
নাম কবিতা
সম্পাদনা'সাত সাগরের মাঝি' কাব্যের নাম কবিতা‘সাত সাগরের মাঝি’তে যেমন আছে স্বপ্ন, সৌন্দর্যবোধ ও উজ্জীবনের প্রেরণা, তেমনি আছে আত্মধিক্কার এবং নির্যাতিত ও দুঃখ পীড়িত ক্ষুধাতুর মানুষের চিত্র। [৪]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "শিক্ষক বাতায়ন"। teachers.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১০-২৫।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "শিক্ষক বাতায়ন"। teachers.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১০-২৫।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "ফররুখের জীবন ও সাহিত্য"। দৈনিক ইনকিলাব। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১০-২৫।
- ↑ "ফররুখের জীবন ও সাহিত্য"। দৈনিক ইনকিলাব। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১০-২৫।