সর্বজিৎ সিং

ভারতীয় গুপ্তচর

সর্বজিৎ সিং ভারতের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে পাকিস্তানে কারাবন্দী ভারতীয় নাগরিক[২] যিনি লাহোর ও মুলতানে বোমা হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামী ছিলেন। ১৯৯০ সাল থেকে লাহোর কারাগারে বন্দি ছিলেন তিনি।[৩] এর আগে সর্বজিৎ সিংকে মুক্তি দিতে পাকিস্তানের কাছে আনুষ্ঠানিক আহবান জানিয়েছিল নয়াদিল্লি। ৪৯ বছর বয়সী এই বন্দিকে ভারতে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণের সুবিধার্থে স্থানান্তরেরও আহবান জানিয়েছিল ভারত সরকার।[৪]

সর্বজিৎ সিং
জন্ম
সর্বজিৎ সিং

১৯৬৩
মৃত্যু২ মে ২০১৩(২০১৩-০৫-০২)[১] (বয়স ৪৯)
মৃত্যুর কারণকোট লাখপাট জেল, লাহোর, পাকিস্তানে বন্দিদের দ্বারা হত্যা
জাতীয়তাভারতীয়
অপরাধীর অবস্থাUnder review BY PMRC
দণ্ডাদেশের কারণEspionage and terrorism
ফৌজদারি দণ্ডমৃত্যুদণ্ড

বোমা হামলা সম্পাদনা

২২ বছর আগে ১৯৯১ সালে পাকিস্তানে গ্রেপ্তার হন ভারতীয় নাগরিক সর্বজিৎ। তারপর থেকেই তিনি সেখানে বন্দী ছিলেন। তার বিরুদ্ধে ভারতের হয়ে গোয়েন্দাগিরি ও লাহোর ও মুলতানে সিরিজ বোমা হামলা চালিয়ে ১৪ জনকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়।[২] [৫]

মৃত্যুদণ্ড সম্পাদনা

বোমা হামলার অভিযোগে সর্বজিৎকে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি দেয় পাকিস্তান আদালত। পরিবারের দাবি সর্বজিত সিং একজন কৃষক। তাকে ভুল করে চিহ্নিত করা হয়েছে। পাকিস্তানে ওই বোমা হামলার ৩ মাস পরে সর্বজিৎ অবস্থান করেন। পরিবারের এমন দাবি সত্বেও বিচারে তার মৃত্যুদণ্ড হয়।[২][৬]

মৃত্যুদণ্ডাদেশ স্থগিত সম্পাদনা

ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের অনুরোধে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশাররফ সর্বজিতের মৃত্যুদণ্ডাদেশ স্থগিত করেন। এরপর পাকিস্তান পিপলস পার্টি নেতৃত্বাধীন পাক সরকার অনির্দিষ্টকালের জন্য সর্বজিতের প্রাণদণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়া স্থগিত করে দেয়।[৭]

মৃত্যু সম্পাদনা

কোট লাখপাত জেলে মৃত্যদণ্ডপ্রাপ্ত অপর দুই কারাবন্দির হামলায় আহত হন সর্বজিত। কারা-কর্মকর্তা মুনওয়ার আলি জানান, “মুদাসসির এবং আমিরের সঙ্গে চা পান করছিলেন সর্বজিত। এসময় কোনো একটি বিষয় নিয়ে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পর তারা ইট নিয়ে হামলা চালায় সর্বজিতের ওপর।”[৮] ভারতীয় সময় রাত দেড়টা নাগাদ লাহোরের জিন্না হাসপাতালে মৃত্যু হয় সর্বজিতের৷ চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, হৃদযন্ত্র বিকল হয়েই তার মৃত্যু হয়েছে৷ [৯]

বিক্ষোভ সম্পাদনা

সর্বজিতের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ায় তার নিজ শহর পাঞ্জাবের ভিখিউইন্ডসহ বেশ কিছু শহরে প্রতিবাদ বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।[৩]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Sarabjit Singh dead"। Mumbaivoice.com। ২ মে ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৫-০২ 
  2. পাকিস্তানে কারাবন্দী সর্বজিৎ সিংয়ের মৃত্যু ভারতজুড়ে বিক্ষোভ, এবিএন। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ৩ মে, ২০১৩ খ্রিস্টাব্দ।
  3. লাহোর কারাগারে আক্রান্ত সর্বজিতের মৃত্যু ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে, সিডি নিউজ২৪.কম। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ০২ মে, ২০১৩ খ্রিস্টাব্দ।
  4. সর্বজিতের মুক্তি চাইলো ভারত ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩ মে ২০১৩ তারিখে,হুসাইন আজাদ, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: এপ্রিল ২৯, ২০১৩ খ্রিস্টাব্দ।
  5. সরবজিত সিং-এর মৃত্যু 'হত্যাকাণ্ড'[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], সময়নিউজ। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ২০১৩-০৫-০২ খ্রিস্টাব্দ।
  6. তবে কি মুক্তি পাবেন সর্বজিত![স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], মানবজমিন। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১২ খ্রিস্টাব্দ।
  7. পাকিস্তানের হাসপাতালে মারা গেলেন সর্বজিৎ সিং ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৫ মে ২০১৩ তারিখে, বিডিনিউজ২৪.কম। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ২০১৩-০৫-০২ খ্রিস্টাব্দ।
  8. লাহোর কারাগারে বন্দি ভারতীয় গুপ্তচর সর্বজিত হামলায় আহত ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৮ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে, নতুন বার্তা। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ২৭ এপ্রিল ২০১৩ খ্রিস্টাব্দ।
  9. 'সর্বজিতের মৃত্যুর ন্যায় বিচার হোক'[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], ব্যুরো রিপোর্ট,এবিপি আনন্দ। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ০২ মে ২০১৩ খ্রিস্টাব্দ।

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা