সবুজঠোঁট মালকোআ
সবুজঠোঁট মালকোআ বা বন কোকিল (বৈজ্ঞানিক নাম: phaenicophaeus tristis) কোকিল প্রজাতির লম্বা লেজের পাখি। পাহাড়ি বন ও প্রাকৃতিক বনগুলোতেই বেশি দেখা যায় এদের।[২][৩][৪]
সবুজঠোঁট মালকোআ Phaenicophaeus tristis | |
---|---|
![]() | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | প্রাণীজগৎ |
পর্ব: | কর্ডাটা |
শ্রেণী: | পক্ষী |
বর্গ: | কুকুলিফর্মিস |
পরিবার: | কুকুলিডি |
গণ: | Phaenicophaeus |
প্রজাতি: | P. tristis |
দ্বিপদী নাম | |
Phaenicophaeus tristis (Lesson, 1830) |
আকার সম্পাদনা
স্বভাবে কুকোর মতো—দেখতেও অনেকটা একই ধরন-গড়নের, লেজটা তুলনামূলকভাবে বেশি লম্বা। লেজ-পিঠ নীলচে ধূসর, চওড়া লেজের ডগা ও প্রান্তদেশে সাদা রং মাখানো। বুক-পেট-ঘাড়-গলা ধূসর ছাই। কালচে পা, সবুজাভ ঠোঁট। চোখের ওপরে যেন লাল কাজল লেপটানো। মাপ ৫১ সেন্টিমিটার।[২]
বাসা সম্পাদনা
কোকিল গোত্রীয় পাখি হয়েও এরা বাসা বানায় গাছের ডালে কাঠি ও ডালপালা দিয়ে। ডিম পাড়ে দু-তিনটি। নিজেদের বাসার ত্রিসীমানায় ঘেঁষতে দেয় না অন্য কোনো পাখিকে। [২]
খাদ্য সম্পাদনা
পোকা মাকড়, পতঙ্গ, ছোট পাখি ও পাখির ডিম-ছানাও খায় এরা।[২]
স্বভাব সম্পাদনা
বুদ্ধিমান, সাহসী এবং লড়াকু স্বভাবের পাখি এরা। গিরগিটি, নির্বিষ সাপ, ব্যাঙ, তক্ষক ইত্যাদি যথেষ্ট কৌশল খাঁটিয়ে শিকার করে এরা। পায়ের ব্যবহার এরা ভালো জানে।[২]
গ্যালারি সম্পাদনা
-
সবুজঠোঁট মালকোআ
-
-
উড়ন্ত অবস্থায়
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ BirdLife International (২০১২)। "Phaenicophaeus tristis"। বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা। সংস্করণ 2012.1। প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০১২।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ বন কোকিলের কথা[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], শরীফ খান, দৈনিক প্রথম আলো। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: আগস্ট ১৪, ২০১৩ খ্রিস্টাব্দ।
- ↑ Grimmett, Richard, 1960-। Birds of northern India। Inskipp, Tim,। London। আইএসবিএন 978-1-4081-8874-3। ওসিএলসি 1050448468।
- ↑ Ali, Sálim (১৯৬৪)। The Book of Indian Birds (ইংরেজি ভাষায়)। Bombay Natural History Society।