সন্ন্যাসীর ধাপ বগুড়া জেলার সদর উপজেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের অন্যতম একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা ও দর্শনীয় স্থান।[] সন্ন্যাসীর ধাপে দুটি ধাপ রয়েছে যার মধ্যে একটি অপরটি থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দুরুত্বে অবস্থিত। এর মধ্যে একটি ধাপ অবস্থিত উপজেলার নামুজা ইউনিয়নে, বড় ট্যাংরা নামক গ্রামে এবং অপরটি অবস্থিত গোকুল ইউনিয়নে, সরলপুর নামক গ্রামে।

সন্ন্যাসীর ধাপ
স্থানীয় নাম
হাটিকুমরুল নবরত্ন মন্দির
বড় ট্যাংরা সন্ন্যাসীর ধাপ
ধরনপ্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন
অবস্থানসদর উপজেলা
অঞ্চলবগুড়া জেলা
মালিকবাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর

ইতিহাস

সম্পাদনা

সন্ন্যাসীর ধাপ দুটি কে বা কারা নির্মাণ করেছিলেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায় তবে প্রত্নতত্ত্ববিদগণ ধারণা করেন, এ অঞ্চলের তৎকালীন সনাতন হিন্দু সন্ন্যাসীগণ তাদের আখড়া হিসেবে এই ধাপ দুটি ব্যবহার করতেন। যেহেতু সন্ন্যাসীদের দ্বারা নির্মিত হয়েছিল তাই এদের সন্ন্যাসীর ধাপ নামে ডাকা হয়।

বড় ট্যাংরা সন্ন্যাসীর ধাপ

সম্পাদনা
 
বড় ট্যাংরা সন্ন্যাসীর ধাপ।

নামুজা ইউনিয়নের বড় ট্যাংরার সন্ন্যাসীর ধাপটি বর্তমানে গাছাপালা ও ঘাস, লতাপাতায় আবৃত। তবে ধাপটির মাঝের অংশ উঁচু এবং চারদিকে ক্রমশ ঢালু হয়ে নেমে গিয়েছে। এর আয়তন প্রায় ২১৫ মিটার × ১৪৮ মিটার × ৭.৫ মিটার। এ ধাপটির চারপাশে বেশ কিছু পুরাতন ইটের ধ্বংসাবশেষ দেখতে পাওয়া যায়।

সরলপুর সন্ন্যাসীর ধাপ

সম্পাদনা
 
সরলপুর সন্ন্যাসীর ধাপ।

গোকুল ইউনিয়নের সরলপুরের সন্ন্যাসীর ধাপটি অপেক্ষাকৃত ছোট আকৃতির। এর আয়তন প্রায় ৩৩ মিটার × ২৭ মিটার × ৬.৫ মিটার। যদিও মূল ঢিবিটি বর্তমানেও দেখতে পাওয়া যায় তবে স্থানীয় গ্রামবাসী এর উপরের অংশ ঈদগাহ মাঠ হিসেবে ব্যবহার করে থাকে।

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা