সন্ধ্যা একনেলিগোদা
সন্ধ্যা একনেলিগোদা হলেন শ্রীলঙ্কার একজন মানবাধিকার কর্মী। তিনি দেশটিতে নিখোঁজ হওয়া হাজারো মানুষের খোঁজ জানতে কাজ করে চলেছেন।[১] ২০১৭ সালে তার কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে আন্তর্জাতিক সাহসী নারী পুরস্কার প্রদান করেছিল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর
সন্ধ্যা একনেলিগোদা | |
---|---|
জাতীয়তা | শ্রীলঙ্কান |
পরিচিতির কারণ | মানবাধিকার কর্মী |
দাম্পত্য সঙ্গী | প্রগিথ একনেলিগোদা |
সন্তান | দুই |
জীবনী
সম্পাদনাতিনি শ্রীলঙ্কার প্রগিথ একনেলিগোদার সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন, যিনি পেশায় ছিলেন একজন সাংবাদিকের। প্রগিথ একনেলিগোদা দেশটির দুর্নীতি বিষয়ক প্রতিবেদনের সাথে যুক্ত ছিলেন। একদা তিনি সন্ধ্যা একনেলিগোদাকে বলেছিলেন যে, তিনি হুমকি পেয়েছেন এবং তাকে কলম বন্ধ করতে বলা হয়েছে। এরপর ২০০৯ সালে প্রগিথ একনেলিগোদা অপহৃত হন এবং ২০০৯ সালে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন।[২] তিনি ২০১০ সালে শ্রীলঙ্কায় গৃহযুদ্ধ চলাকালে দেশটির তামিল বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে দেশটির সামরিক বাহিনীর রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ বিষয়ক প্রতিবেদনের সাথে যুক্ত থাকাকালীন সময়ে নিখোঁজ হন এবং আর বাড়ি ফিরে আসেন নি।[৩][৪][৫][৬][৭]
এরপর থেকে সন্ধ্যা একনেলিগোদা নিখোঁজ হওয়া মানুষদের খোঁজ জানতে কাজ শুরু করেন। তার কর্মকাণ্ড শ্রীলঙ্কায় নিখোঁজ হওয়া বহু মানুষের গল্প গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরেছে। তিনি নব্বই বারেরও বেশি সংখ্যক বার আদালতে উপস্থিত হয়েছেন তার স্বামীর খোঁজ জানার জন্য কিন্তু, তার স্বামীর ভাগ্যে কী ঘটেছে তিনি আজও জানতে পারেন নি।[৩]
সম্মাননা
সম্পাদনাতার কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৭ সালে তাকে আন্তর্জাতিক সাহসী নারী পুরস্কার প্রদান করা হয়।[৩][৪]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Sandya Eknaligoda speaks for Sri Lanka's disappeared"। Bob Dietz। Committee to Protect Journalists। ৪ সেপ্টেম্বর ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০১৭।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ Committee to Protect Journalists (CPJ) (৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৩)। Attacks on the Press: Journalism on the World's Front Lines। John Wiley & Sons। পৃষ্ঠা 31–। আইএসবিএন 978-1-118-61129-6।
- ↑ ক খ গ "Biographies of the Finalists for the 2017 International Women of Courage Awards"। US Department of State। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ ক খ "Sandya Eknelygoda: 'International Woman of Courage'"। Daily Mirror। ৩০ মার্চ ২০১৭। ৪ মে ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ "Voices in Danger: 'Prageeth is my courage. He always worked for peace and unity'"। Evgeny Lebedev। The Independent। ২৮ এপ্রিল ২০১৩। ২০ জুন ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ "Prageeth missing due to 'chemical weapon probe'"। BBC Sinhala। ২৮ জানুয়ারি ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ "Sri Lanka's missing thousands: one woman's six-year fight to find her husband"। Amantha Perera। The Guardian। ২৯ জানুয়ারি ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০১৭।