শ্লেষ্মা এক ধরনের পিচ্ছিল নিঃসরণ যা স্তন্যপায়ী প্রাণীদের শ্বাসতন্ত্র, পৌষ্টিক তন্ত্র ইত্যাদি হতে নিঃসরিত হয়। একে ইংরেজি পরিভাষায় মিউকাস (ইংরেজি: Mucus) বলে। শ্লেষ্মা বিশেষ ধরনের ক্ষরণকারী গ্রন্থি থেকে নিঃসরিত হয়। সাধারণত শ্লেষ্মা বা মিউকাস গ্লাইকোপ্রোটিন এবং জল দিয়ে তৈরি।

Mucous cells on the stomach lining

কাজ ও গুরুত্ব সম্পাদনা

শ্লেষ্মা শ্বাসনালি, ফুসফুস ইত্যাদিকে ভাল রাখে। নাক ও শ্বাসনালির গ্রন্থি দিনে দুই কোয়ার্ট শ্লেষ্মা বা মিউকাস তৈরি করে যা একটা পাতলা স্তর হয়ে নাক ও শ্বাসনালিকে শুকিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে। শ্লেষ্মা ফুসফুসকে ময়লা ধূলিকণা, জীবাণু, ধোঁয়া, ভাইরাস ও অন্যান্য বাহ্যিক বস্তু ঢোকা থেকে রক্ষা করে। ঠাণ্ডা বা জীবাণুর আক্রমণে শ্লেষ্মা বা মিউকাস নিঃসরণ বেড়ে যায়। সর্দি হলে ঠান্ডায় শ্লেষ্মা বা মিউকাস নিঃসরণ। কোন কোন কাশিতে শ্লেষ্মা বের হয়। আবার কোন কোন কাশিতে শ্লেষ্মা বের হয়না। সুতরাং কাশি সাধারনত দুই প্রকার। সহজে আমরা বলতে পারি- শুকনো কাশি এবং ভেজা কাশি।[১]

যারা ধূমপান করে, তাদের শ্লেষ্মা শক্ত হয়ে যায় এবং এতে করে এর স্বাভাবিক প্রবাহে বিঘ্ন ঘটে।

শ্বসনতন্ত্র সম্পাদনা

 
শ্বাসতন্ত্রে শ্লেষাসমূহের আন্দোলনের বর্ণিত চিত্র

মানবদেহের শ্বাসতন্ত্রে, শ্লেষ্মা বাতাসে ভাসমান তরল ছাড়াও এপিথেলিয়াল আস্তরণ তরল হিসেবেও পরিচিত যার বেশিরভাগ পথই শ্বাসনালিতে

তথ্যসূত্র সম্পাদনা