শ্যামল দত্ত
শ্যামল দত্ত একজন বাংলাদেশী সাংবাদিক এবং ভোরের কাগজ পত্রিকার সম্পাদক।[১] তিনি বাংলাদেশের জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক।[২] তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সহকারী চেয়ারম্যান।[৩] তিনি ক্যাপিটাল মার্কেট স্টেবিলাইজেশন ফান্ডের বোর্ড অব গভর্নরের সদস্য।[৪]
প্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনাদত্ত ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সাংবাদিকতায় ডিপ্লোমা করেছেন।[৫] তিনি লিংকন জার্নাল স্টারে ইন্টার্ন হিসেবে কাজ করেছেন।[৫]
কর্মজীবন
সম্পাদনাদত্ত ১৯৮৭ সালে সাংবাদিকতায় তার কর্মজীবন শুরু করেন।[৬]
দত্ত বাংলাদেশ কূটনৈতিক সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।[৫] তিনি কমনওয়েলথ সাংবাদিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।[৫] ২০০৫ সালের জানুয়ারিতে তিনি ভোরের কাগজ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এবং ২০০৬ সালের মার্চ মাসে পূর্ণ সম্পাদক নিযুক্ত হন।[৫]
দত্ত বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।[৭] তিনি ওয়াটারএইডের একজন পরামর্শদাতা।[৬]
২০১৮ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের বইয়ের উপর একটি সমালোচনামূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করার পর ভোরের কাগজ হুমকি পাওয়ার পর দত্তকে রক্ষা করার জন্য বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক ফোরাম, কমনওয়েলথ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন এবং ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব জার্নালিস্টস বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়।[৮][৯] বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশাকে নিয়ে প্রকাশিত একটি সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে মানহানির মামলায় দত্তের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ।[১০]
দত্ত ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।[১১] ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের একটি আপিল বোর্ডে বসেন যেটি শনিবার বিকেল চলচ্চিত্র মুক্তির জন্য ছাড়পত্র দেয়।[৩] তিনি ৪৯৬ ভোট পেয়েছেন এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী ইলিয়াস খান পেয়েছেন ৪৭৪ ভোট।[১১] তিনি কমনওয়েলথ সাংবাদিক সমিতির সহ-সভাপতি।[১২] ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ ও কুমিল্লার মেয়র আরফানুল হক রিফাতের বিরুদ্ধে দায়ের করা মানহানির মামলার নিন্দা জানায়।[১৩] ২০২৩ সালের অক্টোবরে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সাংবাদিকের উপর হামলার নিন্দা করেন।[১৪] তিনি সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেন এবং প্রশ্ন তোলেন কেন একজনকে এতগুলো ব্যাংকের মালিক হতে দেওয়া হলো।[১৫]
দত্ত তাকে এবং সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনকে পদ থেকে সরিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের নিয়ন্ত্রণ অবৈধভাবে দখলের অভিযোগে সহ-সভাপতি হাসান হাফিজ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।[১৬] তাকে অপসারণের দাবিতে ছাত্ররা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন করে।[১৬] সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর ২০২৪ সালের ৬ আগস্ট তাকে ভারত ভ্রমণে বাধা দেওয়া হয়।[১৭]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Bhorer Kagoj denies 'misleading' reports on editor Shyamal Dutta"। The Financial Express (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৯।
- ↑ "Five journalists receive DMF awards"। Prothomalo (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০৬-০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৯।
- ↑ ক খ "'Shonibar Bikel' finally gets censor board clearance on Saturday afternoon"। Prothomalo (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০১-২১। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৯।
- ↑ "Welcome to CMSF"। cmsfbd.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৯।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "Shyamal Dutt appointed Editor of Bhorer Kagoj"। Bdnews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৯।
- ↑ ক খ "Young Media Fellowship on WASH '2022-2023 | WaterAid Bangladesh"। www.wateraid.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৯।
- ↑ "Director (Syamal Dutta)"। www.iclds.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৯।
- ↑ "Bangladeshi editor faces death threats / IFJ"। www.ifj.org (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০১-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৯।
- ↑ "Commonwealth journalists' forum concerned over death threats to Bangladeshi journo"। Business Standard। ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৯ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ "Editors' Council condemns arrest warrant against Bhorer Kagoj editor"। Dhaka Tribune। ৭ জানুয়ারি ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৯ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ ক খ "Farida Yasmin elected President, Shyamal Dutta Gen Secy of Jatiya Press Club"। Daily Sun (ইংরেজি ভাষায়)। ৩১ ডিসেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৯।
- ↑ "Respect media freedom – our urgent message to the new regime in Bangladesh – C J A"। commonwealthjournalists.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৯।
- ↑ "DRU condemns case against Bhorer Kagoj editor, others"। The Business Standard (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-০৫-১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৯।
- ↑ "JPC strongly condemns attacks on journalists"। unb.com.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৯।
- ↑ "Journalists decry BB's restrictive measures"। The Financial Express (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৯।
- ↑ ক খ "Farida Yasmin, Shyamal Dutta accuse members of forcefully trying to take over National Press Club"। Dhaka Tribune। ১১ আগস্ট ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১৯ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ "Bhorer Kajog editor Shyamal Dutta barred from travelling to India"। The Financial Express (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৯।