শ্বেত দূতী
উদ্ভিদ জগৎ
শ্বেত দূতী (বৈজ্ঞানিক নাম: Wrightia antidysenterica) হচ্ছে এপোসিনাসি পরিবারের একটি গাছ। এটি মূলত একটি গুল্ম। অনেকে শ্বেত দূতীকে কুরচি বা গিরিমল্লিকাও বলে ভুল করে থাকে, কারণ এটিকে Holarrhena pubescens হিসেবে বিভিন্ন প্রকাশনায় ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
শ্বেত দূতী Wrightia antidysenterica | |
---|---|
Flower | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Plantae |
শ্রেণীবিহীন: | Angiosperms |
শ্রেণীবিহীন: | Eudicots |
শ্রেণীবিহীন: | Asterids |
বর্গ: | Gentianales |
পরিবার: | Apocynaceae |
গণ: | Wrightia |
প্রজাতি: | W. antidysenterica |
দ্বিপদী নাম | |
Wrightia antidysenterica (L.) R.Br. |
আকার
সম্পাদনাবাংলাদেশ ও ভারতের প্রজাতি ৬-৭ মিটার উচু, পত্রমোচী গাছ। এর কাণ্ড সরল, বাকল অমসৃণ ও হালকা ও ধূসর রঙের হয়ে থাকে। পাতা বেশ বড় ১২-২০ সেমি লম্বা। ভল্লাকার বা লম্ব-ডিম্বাকার।
ফুল
সম্পাদনাবসন্তের শেষে সমস্ত গাছে ছোট ছোট থোকার সাদা ফুলে ভরে ওঠে এবং শরৎ পর্যন্ত কিছু গাছে ফুল দেখা যায়। ২-৪ সেমি চওড়া ফুলের ২-৩ সেমি লম্বা নলের আগায় ৫ পাপড়ি, সুগন্ধি। ফল সজোড়, সরু, ২০-৩৫ সেমি ৫-৬ মিমি।[১]।
বীজ
সম্পাদনাবীজ ১-১.৩ সেমি লম্বা, বাদামি রোমে জড়ানো। বীজ ও শিকড় থেকে গজান চারার মাধ্যমে চাষ।
গুনাগুণ
সম্পাদনা- কুরচির ছালে রয়েছে হোলাডিনেমাইন, কুরচাসিন, কোনিমাইন, হোলডিসিন আর সিটেস্টেরল নামক অ্যালকালয়েড।
- কুরচির ছাল রক্ত আমাশয় ও রক্তপিত্তের ঔষধ। এছাড়া পাতা, শিকড় ও বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়।[২]
- সর্পদংশন এবং বিছার কামড়ে এ গাছের বাকল ব্যবহার করা হয়।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ দ্বিজেন শর্মা লেখক; বাংলা একাডেমী ; ফুলগুলি যেন কথা; মে ১৯৮৮; পৃষ্ঠা- ১৯, আইএসবিএন ৯৮৪-০৭-৪৪১২-৭
- ↑ আঃ খালেক মোল্লা সম্পাদিত;লোকমান হেকিমের কবিরাজী চিকিৎসা; আক্টোবর ২০০৯; পৃষ্ঠা- ১১১-১১২